জিভে জল আনা রকমারী তরিতরকারি হোক বা সর্দিকাশি, রক্তচাপ কমানোর টোটকা,
রসুনে ভরসা না রেখে উপায় নেই। স্বাদে-গন্ধে কিংবা ভেষজ উপকারিতার নিরিখে এই
মসলাটি অদ্বিতীয়। প্রাত্যহিক জীবনে এটি অপরিহার্য বলা চলে। তাই মসলাটি
নির্ঝঞ্ঝাটে বাড়ির ছাদ বা বারান্দায় চাষ করতে অসুবিধে কোথায়? উপায় বলে
দিচ্ছি আমরা।
বাড়িতে থাকা প্লাস্টিক এর গামলা অথবা কাঠের পাত্র বা সাবেক মাটির টব হলেই কার্যসিদ্ধি হবে। তবে মাথায় রাখবেন বেশি বড় আকারের কন্টেনার যেন না হয়। মাঝারি সাইজ দেখে নির্বাচন করুন। পাত্রের তলায় ড্রিলিং করে ফুটো করে নিন ২-৪টা ও সেগুলো মার্বেলের নুড়ি দিয়ে কভার করে নিন। কারণ এটি একদিকে যেমন টবে জল জমতে দেবে না অপরদিকে মাটি ধোয়া আটকাবে। মনে রাখবেন, একেকটি টবে ১০-১৫টি রসুন গাছ চাষ করা সম্ভব।
মাটি তৈরির জন্য নার্সারি থেকে ভার্মিকম্পোস্ট ও অর্গানিক সয়েল সংগ্রহ করে নেবেন। অনুপাত হবে ৬০% ভার্মিকম্পোস্ট ও ৪০% অর্গানিক সয়েল। দুটোকে ভালো করে মিশিয়ে ঝুরঝুরে করে নেবেন। জৈব উপাদানে সমৃদ্ধ মাটি রসুন চাষে সর্বোত্তম। টবে মাটি ৩-৪” পরিমাণ জায়গা ছেড়ে ভর্তি করে দিন।
রসুন গাছ জন্ম নেয় রসুন এর কোয়া থেকে। যেহেতু এটি মাটির ভেতরে বাড়ে তাই এটির জন্য উপযুক্ত হবে যদি বড়ো শল্কযুক্ত কন্দের রসুন বাজার থেকে নির্বাচন করে কেনেন। রসুন নিয়ে এরপর কোয়া গুলো আলাদা করে নিন। আঙ্গুল দিয়ে মাটির উপর চাপ দিয়ে গর্ত করে রসুনের ভোঁতা বা ফ্ল্যাট দিকটি প্রবেশ করান। ৩-৪” গ্যাপ দিয়ে একেকটি কোয়া বপন করুন কারণ প্রত্যেক কোয়া থেকে একটি গোটা রসুন বেরোবে।
সবগুলো পোঁতা হয়ে গেলে আঁজলা ভরে জল নিয়ে ছিটিয়ে দিন বেশ কয়েকবার। সারফেস ভিজে রাখলেই যথেষ্ট। অতিরিক্ত জল দিলে রসুন পচে যাবার সমূহ সম্ভাবনা।
অক্টোবর এর মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বর অব্দি ঘরোয়া চাষের পক্ষে এটি যথোপযুক্ত।
ইউরিয়া, টিএসপি ইত্যাদি সার এই চাষে খুব কাজ দেয়। অধিক ফলনের জন্য ব্যবহার করতেই পারেন।
জল যাতে মাটির উপর না জমে সেটা লক্ষ্য রাখুন। পার্পল ব্লচ, স্মাট রোগ রসুন গাছের কমন রোগের মধ্যে পড়ে। এগুলোর মোকাবিলার জন্য রোভিরাল ও রিডোমিন স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। চেষ্টা করুন সর্বদা আলো বাতাসপূর্ণ জায়গায় গাছ রাখার।
সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই মাটি ভেদ করে ওঠা সবুজ কাণ্ডের চারা আপনার চোখে পড়বে টব জুড়ে। তার খানিকদিন পর দেখবেন সেগুলোর উচ্চতা ও বাড়বে। ওগুলো বাদামি বর্ণ ধারণ করলে তুলে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…