বহুকাল ধরেই রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে হলুদ। সত্যি, হলুদ কিন্তু একেবারে বিনা সাইড এফেক্টে দারুন কাজ করে থাকে ত্বকের যত্ন নিতে। কারণ হলুদে আছ ভিটামিন সি ও বি-৬, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তো করেই।
বিশেষত ড্রাই স্কিনের ঘরোয়া সমাধান হচ্ছে হলুদ। এছাড়াও এটা স্কিনকে টাইট রাখে, মুখের যে কোনো দাগ দূর করার পাশাপাশি স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্কিনকে গ্লোয়িং করে তোলে এবং ভিটামিন বি-৬ মৃত কোষ সরিয়ে, নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। তার ফলে স্কিন হয়ে ওঠে হেলদি।
কি! হলুদের এত গুণ নিশ্চয়ই জানা ছিলনা? বুঝতে পারছেন তো হলুদ ব্যবহার করলে, আপনার স্কিন কত সুন্দর হয়ে উঠতে পারে? চটপট দেখে নিন কিভাবে ব্যবহার করবেন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দারুণ একটা ফেসপ্যাক। তবে ড্রাই স্কিন যাদের তারাও ব্যবহার করতে পারেন। কোন সমস্যা নেই। এটা অতিরিক্ত তেল যেমন কন্ট্রোল করবে, তেমনই ব্রণ কমাতেও সাহায্য করবে। আর স্কিনকে গ্লোয়িং তো করবেই।
কাঁচা হলুদ ভালো করে বেটে নিন। এবার এতে লেবুর রস ও মধু যোগ করুন। ভালো করে মেশান। চাইলে এতে চাল গুঁড়ো দিতে পারেন ১চামচ। মিশ্রণ আরও ঘন হবে। এবার মুখ সহ গলা, ঘাড়ে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর দেখবেন, কেমন গ্লোয়িং লাগছে। সপ্তাহে একদিন করুন। দুমাসের মধ্যেই স্কিন হয়ে উঠবে গ্লোয়িং আর হেলদি।
অনেকেই কাঁচা হলুদের সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে মাখেন। এর সাথে যোগ করুন একটু মধু। তাহলে আরও ভালো ফল দেবে কারণ মধু স্কিনকে হাইড্রেড ও নরম রাখবে। স্কিনের ব্রণর মত অন্যান্য সমস্যাও রোধ করবে।
প্রথমে কাঁচা হলুদ বেটে নিন। তারপর অন্য উপকরণগুলি ভালো করে মিশিয়ে নিন।এবার এই ঘন পেস্টটা মুখে, গলায়, পিঠেও লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন করলেই উপকার পাওয়া যাবে।
এটাও একটা দারুণ ফেসপ্যাক, যেটা আপনার স্কিনকে দেবে একটা রেডিয়েন্ট লুক!
অ্যাভোকাডো আগে ভালো করে ব্লেণ্ড করে নিন। যেন স্মুথ পেস্ট হয়। এবার অ্যাভোকাডোর সাথে বাকি উপকরণ গুলো মেশান। এবার এই ঘন স্মুথ পেস্টটা মুখে লাগান। হালকা হাতে একটু ম্যাসাজ করুন। এরপর এটা রেখে দিন মাত্র ১০ মিনিট।তারপর ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন করুন। ব্যাস, তারপর নিজের স্কিন দেখে নিজেই খুশী হবেন।
এটা হল স্কিন হোয়াইটনিং ফেসপ্যাক। বেসন এমনিতেই অনেকে ব্যবহার করেন মুখ পরিষ্কার করার জন্য। আর এর সাথে হলুদ যোগ হলে তো কোন কথাই নেই।স্কিনের ব্ল্যাকহেডস বা কোনোরকম ব্ল্যাকস্পট যদি থাকে, সেটা দূর করে স্কিনকে করে তুলবে উজ্জ্বল।
এক্ষেত্রেও কাঁচা হলুদ ব্যবহার করবেন। ২চামচ হলুদের সঙ্গে ২চামচ বেসন ভালো করে মিশিয়ে নিন। কাঁচা দুধ দিতে পারেন স্মুথ পেস্ট বানানোর জন্য। এবার এই পেস্টটা মুখে, গলায় লাগান। এবার ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর হাতে একটু জল নিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার করুন।
সারাদিন বাইরে কাজ করে খুব ট্যান পড়ে গেছে? চিন্তা নেই। নিমেষেই এই সমস্যার সমাধান করবে হলুদ। রোদে পুড়ে যাওয়া কালচে স্কিন সরিয়ে, সহজেই গ্লো আনতে পারবে হলুদ।
সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। একটা ঘন পেস্ট বানান। এবার এটা মুখে লাগান।১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’দিন করুন। কথা দিচ্ছি, কালচে ভাব দূর হতে বাধ্য।
এই সব ক’টি ফেসপ্যাকই অসাধারণ কাজ করবে স্কিন টোন গ্লোয়িং করতে। এক এক সপ্তাহে এক একটা ট্রাই করুন। ব্যাস, তারপর দেখবেন হলুদের জাদু।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…