অফিসে ক্লায়েন্ট মিটিং খুব ভালো হল।মিটিং শেষে অপরজন হাত বাড়িয়ে দিল হ্যান্ডসেকের জন্য।কিন্তু আপনি পড়ে গেলেন বিপদে,হাত বাড়াবেন কি করে?লজ্জায় পড়ে যাবেন যে,বা অফিস পার্টি,যে কোনো জায়গায় এই সমস্যায় পড়তে হতে পারে আপনার হাতের জন্য।কারণ শীত এলেই এই সমস্যা হয়।দুটো হাতেরই চেটোয় চামড়া উঠে সে এক বিচ্ছিরি অবস্থা।কিন্তু তা বলে কি এই হাত নিয়ে বাইরে বেরোবেন না?তা তো সম্ভব নয়।তাহলে উপায়?।চিন্তা কি!’দাশবাস’ তো আছেই।কিছু অসাধারণ উপায় আছে আমাদের কাছে।হাত সেই খারাপ অবস্থায় যাবার আগে আজই দেখে নিন কি করবেন।
চামড়া উঠতে শুরু করলে,প্রথমে ওই ছালগুলো আলতো করে যতটা পারবেন তুলে নিন।যেগুলো উঠছে না ছেড়ে দিন।জোর করে তুলবেন না।এবার স্ক্রাবার তৈরি করুন।কিভাবে করবেন দেখুন।
উপকরণ
দুধ গুড়ো,চিনি ও অলিভ তেল।
পদ্ধতি
সব উপকরণ ১চামচ করে মিশিয়ে নিন।এবার এই মিশ্রণটা হাতে লাগান।২০ মিনিট রাখুন।এরপর ঠাণ্ডা জলে হাত ধুয়ে নিন।জলে হাত ঘষে ঘষে ধুয়ে নিন।হয়ে গেলে হাত ভালো করে মুছে নিন।বাড়িতে নারকেল তেল নিশ্চয়ই আছে?সেটার সঙ্গে অলিভ তেলটা একটু মিশিয়ে নিন।হাতে লাগান।এর ফলে হাত শুকিয়ে যাবে না।সপ্তাহে ছুটির দিনে এটা করে ফেলুন।
হাত সুন্দর রাখতে আর মোলায়েম রাখতে এই শীতে অলিভ তেল ম্যাসাজ করুন।
উপকরণ
২চামচ অলিভ তেল।
পদ্ধতি
স্নানের আধঘণ্টা আগে অলিভ তেল হাতে ম্যাসাজ করুন।আর এমনিতে এটা দিনে দু থেকে তিনবার করতে পারেন।অলিভ তেলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,যা স্কিনকে হেলদি ও ময়েশ্চারাইজড রাখে।অলিভ তেল না পেলে,একইরকমভাবে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল।এটাও খুব ভালো কাজ করবে।দুপুরে স্নানের পর রোজ হাতে ম্যাসাজ করুন।সমস্যা কমবে।
দুধ স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করে।ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে এবং স্কিনকে নরম কোমল রাখে।
উপকরণ
হাফ কাপ দুধ,হাফ কাপ গরমজল ও একটা ছোট কাপড়।
পদ্ধতি
ছোট একটা কাপড় দুধে ভিজিয়ে রাখুন।এবার এই ভেজা কাপড়টা যে জায়গায় চামড়া উঠছে সেই জায়গায় দিন।১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন।তারপর কাপড়টি ধুয়ে নিন।এবার একটু গরম জল নিন।তাতে কাপড়টি ভিজিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।এটা রোজই করতে পারেন ভালো ফল পাবার জন্য।
ফেটে যাওয়া হাতকে সুন্দর মসৃণ করতে ব্যবহার করুন এই তিনটি জিনিস।দুধে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা এই সকল ইনফেকশন রোধ করতে পারে,এবং লেবুর রস ও গোলাপজল হাতের হারিয়ে যাওয়া সেই ময়েশ্চারকে ফিরিয়ে আনবে।
উপকরণ
চার চামচ দুধ,কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও গোলাপজল।
পদ্ধতি
সবকটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন।এবার এই মিশ্রণটা হাতে লাগান।বিশেষত যেখানে চামড়া উঠছে সেই অংশে।এবার হালকা হাতে একটু ঘষুন।১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।তারপর গরমজলে হাত ধুয়ে নিন।এটা দিনে দুবার করতে পারলে খুব ভালো।কিন্তু সময় না থাকলে একবারই করুন।আস্তে আস্তে হাতের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
দই খুব সুন্দর ভাবে স্কিনকে হাইড্রেড করে ও এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ও ল্যাকটিক অ্যাসিড হাতের এই সকল ইনফেকশন হওয়া থেকে স্কিনকে রক্ষা করে।এছাড়া পেঁপে স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করে।
উপকরণ
এক কাপ দই ও ৪চামচ পেঁপে।
পদ্ধতি
পেঁপে প্রথমে ব্লেণ্ড করে নিন।এবার ৪চামচ পেঁপের সাথে এক কাপ টক দই মেশান।এই পেস্ট হাতে লাগান।১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।তারপর গরমজলে হাত ধুয়ে নিন।এটা সপ্তাহে দু থেকে তিনদিন করুন।এতে শুধু হাত নরম আর কোমলই হবে না,স্কিন উজ্জ্বলও হবে।
১.হাতকে শুকোতে দেবেন না।তার আগেই নারকেল বা অলিভ তেল মাখবেন।
২.খুব বেশি ক্ষার যুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না।গ্লিসারিন বা ময়েশ্চারাইজার যুক্ত সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
৩.রাতেও ঘুমতে যাবার আগে অলিভ বা নারকেল তেল মেখে শোবেন।
৪.রাস্তায় গ্লাভস পরে থাকবেন।ধুলোবালি থেকে হাতকে বাঁচাবেন।
৫.জলের কাজ হয়ে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে হাত মুছে নিন।
৬.শীতে বেশি জল খান।জল স্কিনকে হাইড্রেড রাখে।তার সঙ্গে ফল,শাকসবজিও নিয়মিত খান।
আশা করি,এই সবকটি বিষয় মাথায় রাখলে এই শীতে আপনার হাতের চামড়া আর উঠবে না আর আপনিও কনফিডেন্টলি হাত বাড়াতে পারবেন সবার দিকে।যত্ন নেওয়াটা কিন্তু শুরু করতে হবে আজ থেকেই।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…