গরমকাল পরে গিয়েছে। গরম পরার সাথে সাথে বাঙ্গালীর রোজকার খাদ্য তালিকায় যোগ হয়েছে ‘লাউ’। আমাদের দেশে, বিশেষ করে বাংলায় ‘লাউ’ একটি জনপ্রিয় সব্জি। লাউ সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি সব্জি। নানা রেসিপি হয় লাউের। তবে আজ আমরা ঠিক লাউের রেসিপি নিয়ে কথা বলবো না। লাউের উপকারিতা নিয়ে কথা বলবো।
শরীরের জন্য লাউ খুবই উপকারি। গরমকালে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে লাউ খাওয়া হয় বেশি করে। প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে আছে কার্বোহাইড্রেট- ২.৫ গ্রাম, প্রোটিন- ০.২ গ্রাম, ফ্যাট- ০.৬ গ্রাম, ভিটামিন-সি- ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ২০ মি.গ্রা.,ফসফরাস- ১০ মি.গ্রা.,পটাশিয়াম- ৮৭ মি.গ্রা., নিকোটিনিক অ্যাসিড- ০.২ মি.গ্রা। এছাড়াও লাউয়ে রয়েছে খনিজ লবন, ভিটামিন বি-১, বি-২, আয়রন। এই প্রত্যেকটি উপাদান মানবদেহের জন্য প্রয়োজন।
লাউ খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। লাউের মুল উপাদান যেহেতু জল তাই লাউ শরীর ঠাণ্ডা করে। গরমকালে শরীরের উষ্ণতা স্বভাবতই বেশি থাকে। যাদের রোদে বেড়িয়ে কাজ করতে হয় তাদের নিয়মিত গরমকালে লাউ খাওয়া উচিত। গরম থেকে স্বস্থি পাবেন। কাজ করার উৎসাহ পাবেন। গরমের জন্য আমাদের শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় ঘাম হয়ে। লাউ মানবদেহের জলের কমতি পূরণ করতে সাহায্য করে। গরমের কারনে গরমকালে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গরমকালে নিয়মিত লাউ খেলে হিট স্ট্রোক হওয়ার ভয় থাকে না।
ওজন কমাতে লাউ সাহায্য করে। লাউ হল একটি কম ক্যালোরি সম্পন্ন ডায়েট। ওজন কমাতে চাইলে খাবার তালিকায় লাউ রাখুন। লাউে ৯৬% জল থাকে। লাউে প্রচুরপরিমানে ডায়েটারি ফাইবার থাকে। ক্যালোরি কম থাকায় ওজন কমে লাউ খেলে। তাই দেরি না করে লাউ খান। পেট ঠাণ্ডা রাখুন সাথে ওজন কম করুন।
গরমকালে নানা কারনে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে হজমের সমস্যা হয়। লাউ হজমে সাহায্য করে। লাউে থাকে প্রচুর পরিমানে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার। দ্রবণীয় ফাইবার সাহায্য করে খাবার হজম করতে। হজম ও হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে বাঁচতে দ্রবণীয় ফাইবার সহায়তা করে। গরমকালে তাই লাউ খাওয়া উচিত। পরিপাকতন্ত্র ঠিক থাকে। রোজ লাউ খেলে অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান হয়।
লাউে আছে প্রচুর ভিটামিন ও প্রোটিন। ত্বকের জন্য এই দুই খুবই প্রয়োজনীয়। লাউ খেলে ত্বক ভিতর থেকে ভালো থাকে। গরমকালে রোদেরে জন্য ত্বক পুড়ে যায় শুষ্ক হয়ে যায়। তাই লাউ এই সমস্যা থেকে ত্বককে ভালো রাখে। লাউ খেলে হজম ভালো হয়। পেট পরিষ্কার থাকে ফলে ব্রণও হবার সুযোগ কম থাকে। মুখ পরিষ্কার ও উজ্জ্বল দেখায়।লাউের জুস খাওয়া খুবই ভালো।
গরমকালে শরীর কোষে যায় জলের অভাবে। প্রসাবের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে জল কম মাত্রায় থাকায় প্রসাবের সময় জ্বালা করে। এই সমস্যা থেকে লাউ সাহায্য করে মুক্ত হতে। জল কমের কারনে হলুদ প্রসাব হয়। শরীরের জন্য যা খুবই ক্ষতিকারক। লাউে প্রচুর পরিমানে জল থাকায় লাউ খেলে শরীরে সেই জল যায়। যা আমাদের শরীরের জলের ঘারতি পূরণ করে। ফলে প্রসাবের সমস্যা দূর হয়। শরীর ঠাণ্ডা থাকে।
জ্বর, ডাইরিয়া, আরও সমস্যায় গরমকালে অনেকেই ভুগে থাকেন। লাউ নিয়মিত খেলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। কিডনির সমস্যা হলে লাউ খাওয়া ভালো। পেটের সমস্যার থেকে সমাধানে লাউের ভুমিকা রয়েছে। গরমকালে সুস্থ্য ও সতেজ থাকতে চাইলে নিয়মিত লাউ খান। সে লাউের ডাল হোক বা লাউের তরকারি।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…