গোপন অঙ্গ, সোজা কথায় যাকে বলে প্রাইভেট পার্ট। আপনার প্রাইভেট পার্ট কিন্তু আপনার শরীরের একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আর এমন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে আপনি কেমনভাবে যত্নে রাখবেন, সে নিয়ে কিন্তু কোথাও কোনো আলোচনাই হয় না। তাই আপনিও বুঝতে পারেন না ঠিক কেমনভাবে এর যত্ন করা উচিত। আর প্রপার কেয়ারের অভাবে মাঝে মাঝেই দেখা যায় ইনফেকশন। তাই তো? দুশ্চিন্তা করবেন না। আপনার গোপন অঙ্গকে সবসময় কীভাবে পরিষ্কার রাখবেন, তার হাইজিন টিপস নিয়ে এবার হাজির আমরা। দেখুন।
আপনার যদি সিন্থেটিক মেটিরিয়ালের আন্ডার গারমেন্ট পরার অভ্যেস থাকে, তাহলে তা আজই ত্যাগ করুন। টাইট আর সিন্থেটিক কাপড় কিন্তু আপনার গোপন অঙ্গে বায়ু চলাচলকে বাধা দেয়। আর তার ফলে ঘাম জমতে থাকে। এমনিতেই আমাদের দেশে গরমকালে প্রাইভেট পার্টে ঘাম জমা খুবই বিচ্ছিরি একটা সমস্যা, তার ওপর আপনি যদি সিন্থেটিক ফেব্রিক ব্যবহার করেন, তাহলে তো আর কথাই নেই! ব্যাকটেরিয়া জমে ইনফেকশন হতে কিন্তু বাধ্য। তাই খোলামেলা সুতির ইনার গারমেন্টস ব্যবহার করুন, যাতে হাওয়া-বাতাস সহজে খেলবে, ঘামও বসবে কম।
➡ প্রাইভেট পার্টের হাইজিন বজায় রাখুন।
আজ্ঞে গোপন অঙ্গের ক্ষেত্রে এই জিনিসটা কিন্তু মাস্ট। টয়লেটের পর নিয়ম করে গোপন অঙ্গকে জল দিয়ে ধোওয়া কিন্তু দরকার। তবে বেশী ভিজে রাখবেন না। আর আপনার যদি অতিরিক্ত ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জের সমস্যা থাকে, তাহলেও ভিজে ভাব থেকে ইনফেকশন হতেই পারে। এর জন্য আপনি ‘দাশবাসে’র ঘরোয়া উপায় ট্রাই করতে পারেন। আর গোপন অঙ্গের পি.এইচ. লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই দরকার। বেশী সাবান বা কেমিক্যাল যুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করলে কিন্তু পি.এইচ.-এর ভারসাম্যর সমস্যা ঘটে। ফলে স্থায়ীভাবে আপনার গোপনাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন ইনফেকশন, প্রদাহ তো হতেই পারে। তাই হালকা সাবান দিয়ে গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করুন। আর যদি ইনফেকশন হয় বা বাজে স্মেল পান, তাহলে দেরী না করে ডাক্তার দেখান।
পিরিয়ডের সময় আপনি কি একই ন্যাপকিন ৭-৮ ঘণ্টা ব্যবহার করেন? তাহলেই কিন্তু বিপদ! টি.ভি.-তে যতই বলুক না কেন ৯-১০ ঘণ্টা একটা প্যাড ব্যবহার করার কথা, আপনি কিন্তু ভুলেও ওই ভুলের চক্করে পা দেবেন না। একই ন্যাপকিন অনেকক্ষণ ব্যবহার করলে গোপনাঙ্গে র্যাশ তো হতে পারেই, আর স্বাস্থ্যের পক্ষেও কিন্তু এটা একদম ভালো না। তাই চেষ্টা করুন ঘণ্টা পাঁচেক ছাড়া ছাড়াই ন্যাপকিন বদলাতে। এমনকি দরকার না হলেও!
গোপনাঙ্গে হেয়ার রিমুভ করা তো মাস্ট। কিন্তু তাই বলে ওয়াক্স? একদম নয়। এমনিতেই আপনার প্রাইভেট পার্ট খুবই নরম আর সেনসিটিভ একটা জায়গা। আর ওয়াক্সিং-এর ফলে ওই নরম জায়গায় ব্যথা তো লাগবেই, এমনকি ফুলে গিয়ে ইনফেকশন বা র্যাশও হতে পারে। আর রেজরও ব্যবহার না করাই ভালো। ওতেও কেটে যেতে পারে। বরং কাঁচি দিয়ে কেটে নিন।
দেখবেন আপনার গোপন অঙ্গে যেন কোনো রকম বডি ফ্লুইড লেগে না থাকে। কারণ ওটা থেকেও ইনফেকশন ছড়াতে পারে। তাই ইন্টারকোর্সের পর সবসময় জায়গাটা ধুয়ে নেবেন মাইল্ড সাবান ব্যবহার করে। আর পরিষ্কার করার সময় কিন্তু একদম ঘষাঘষি করবেন না। ওতে কিন্তু নরম চামড়া খুব সহজে ছড়ে যেতে পারে। আর জায়গাটাকে শুকনো রাখার জন্য ট্যালকম পাওডার ব্যবহার করুন। স্নান করার পর হালকা করে লাগিয়ে নিন। দেখবেন একটা সুন্দর ড্রাই ফিলিংস তো আসছেই, আর জায়গাটা পরিষ্কারও থাকছে।
আর হ্যাঁ, যখন তখন যেখানে সেখানে বাথরুম যাওয়া আটকান। ইনফেকশন কিন্তু ওখান থেকেও ছড়াতে পারে। আর কোনো সমস্যা হলে তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখাতে ভুলবেন না। আফটার অল আপনার সুস্বাস্থ্য কিন্তু আপনারই হাতে। তাই প্রাইভেট পার্টকে ‘দাশবাস’ টিপসে ভালো রাখুন, আর সুস্থ থাকুন সবসময়।
https://dusbus.com/bn/ston-jhule-jacche-fit-rakhun-koyekti-byayamer-sahajye/
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…