আপনি কি জানেন হলুদ এবং গুড় রোজ খেলে তা আপনার ত্বক উজ্জ্বল করে তুলতে পারে?বিশ্বাস হচ্ছে না তো?আজকের লেখা পড়লে কিন্তু আপনিও এ বিষয়ে আমার সাথে একমত হতে পারবেন।হলুদ এবং গুড় এই দুটি উপাদানই আমাদের শরীরের জন্য,বিশেষ করে আমাদের ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী।রূপচর্চার উপাদান হিসেবে হলুদের কিন্তু জুরি মেলা ভার।তবে মুখে মেখে নয়,এখন থেকে রোজ হলুদ এবং গুড় খাওয়া শুরু করুন ত্বকের রং উজ্জ্বল করে তোলার জন্য।তবে মনে যদি কোনো সংশয় থাকে বা হলুদ এবং গুড় কিভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে কিন্তু আজকের লেখা মিস করলে চলবে না।
ছোটবেলায় কিন্তু আমাদের অনেকেরই মা দিদিমারা আমাদেরকে সকালে কাঁচা হলুদ,ছোলা গুড় খাওয়াতেন।অনেকেই হয়ত সোনা মুখ করে খেয়েছি,আবার অনেকেই জানলা দিয়ে ফেলেও দিয়েছি।তখন যদি জানতেন যে হলুদ ও গুড়ের এই গুণ তাহলে কি ভালই না হত।তখন না জানলেও এখন জেনে নিন হলুদ ও গুড় কিভাবে আমাদের ত্বক উজ্জল হতে সাহায্য করে।
হলুদ কিন্তু প্রাচীনকাল থেকেই নিজ গুণে রূপচর্চার বেশ জনপ্রিয় একটি উপাদান।প্রাচীনকালে তো আর সাবান বা হোয়াইটেনিং ক্রিম ছিলনা ত্বক উজ্জল করার জন্য।তাই রানী বা রাজকুমারীরা কিন্তু এই হলুদ বা আরো কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের গুণেই এমন সুন্দর হতেন।হলুদে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,অ্যান্টি-সেপ্টিক বা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে যা আমাদের ত্বকের সমস্ত ধরনের সমস্যাগুলি দূর করে গোড়ার থেকে।এটি কার্কিউমিনের গুণে স্কিন টোনকে হালকা করে এবং ত্বকের ভেতরের কোষগুলিকে রিজুবিনেট করে।এতে ত্বকের দাগ ছোপ গুলি দূর হয়,বলিরেখা দূর হয় এবং ত্বক অনেক বেশি মসৃণ হয়|ফলত প্রতিদিন হলুদ যদি আমরা খাওয়া অভ্যেস করতে পারি তাহলে আমাদের ত্বক কিন্তু অনেক বেশি উজ্জল ও সুন্দর হয়ে উঠবে।খাওয়ার সাথে সাথে কিন্তু হলুদ মুখে মাখলেও তা বেশ উপকারী।তবে হলুদ খেতে চাইলে সব থেকে বেশি উপকারী হলো কাঁচা হলুদ।তবে হারবাল পাউডারড হলুদও কিন্তু খাওয়া যেতে পারে।
১.সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়া সব থেকে বেশি উপকারী ফর্সা হতে চাইলে।
২.১ ইঞ্চি কাঁচা হলুদ দুধে ১৫ মিনিট মত ফুটিয়ে তুলে নিন।এবার ঠান্ডা হলে ওই দুধটি পান করতে পারেন।
৩.দুকাপ দুধে ১/২ চা চামচ হার্বাল হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দুধ গরম করে নিন।হালকা ঠান্ডা হয়ে গেলে তা পান করুন।
ফর্সা হতে গুড়—শুনতে অবাক লাগলেও তা কিন্তু ১০০% সত্যি।গুড় আমাদের রক্তকে পরিশুদ্ধ করে|এছাড়া গুড়ে বর্তমান গ্লাইকলিক অ্যাসিড কিন্তু প্রায় সমস্ত রকম রূপচর্চার উপাদানে ব্যবহৃত একটি মূল উপাদান।এই গ্লাইকলিক অ্যাসিড আমাদের ত্বকের সমস্ত রকম দাগ,ছোপ,পিগমেন্টেশন,ইত্যাদি সমস্ত কিছুকে দূর করে।এছাড়া এটি ভেতর থেকে কাজ করে স্কিন টোনকে হালকা করার ক্ষেত্রে।তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে বা ফর্সা হতে গুড় কিন্তু খুব উপকারী।এছাড়া গুড় আমাদের ত্বকের বলিরেখা,সান ট্যান ইত্যাদিকেও কিন্তু দূর করে।তাই প্রতিদিন নিয়মিত গুড় খেলে কিন্তু ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ নেই।হলুদের মতই গুড় কিন্তু ফেস মাস্ক হিসেবে মুখেও মাখতে পারেন ত্বকের কন্ডিশন ভালো রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে।
প্রতিদিন সকালে খালিপেটে উঠে গুড় খাওয়া সবথেকে বেশি উপকারী স্কিন টোন হালকা করার ক্ষেত্রে।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনার মনের সন্দেহ দূর হয়েছে।শুধু পিঠে,পুলি, পায়েসের স্বাদ বাড়াতেই নয় গুড় কিন্তু আপনার ফর্সা হওয়াকেও ত্বরান্বিত করে।আর হলুদের গুণ ত্বকের জন্য অনস্বীকার্য|তাই এখন থেকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই হলুদ আর গুড় খাওয়ার অভ্যেস শুরু করে দিন।কিছুদিনের মধ্যেই পার্থক্য আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…