আজকাল করোনার সময়ে আমরা স্বাস্থ্য সম্পর্কে খুবই সচেতন হয়ে গিয়েছি। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর রাখছি সেটা হল অক্সিজেন। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কত, এটাই এখন ঠিক করছে কে কতটা সুস্থ থাকবে। এখন আপনার করোনা হোক বা না হোক, অক্সিজেন শরীরে যাতে ঠিক পরিমাণে থাকে তা দেখার দায়িত্ব কিন্তু সব সময়ে থাকে। আমাদের হাতের কাছে থাকা কিছু খাবার অনায়াসেই শরীরে রক্তের মাত্রা বজায় রাখে, ফলত অক্সিজেনও সেই রক্তের মাধ্যমে শরীরের সব কোষে পৌঁছে যায়।
আমরা যে নিঃশ্বাস নিই তার মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরে যায়। কিন্তু অক্সিজেন শরীরে থাকে কীভাবে! শরীরের সব অঙ্গে যায় কীভাবে! উত্তর- রক্তের মাধ্যমে। রক্তের মধ্যে লোহিত রক্ত কণিকা বা হিমোগ্লোবিন এই অক্সিজেন সরবরাহে খুব বেশি গুরুত্ব রাখে। আর হিমোগ্লোবিন ভাল রাখে আয়রন। তাই আমাদের সেই সব খাবার খাওয়া উচিত যাতে রক্তে আয়রনের পরিমাণ ভাল হয়, রক্ত বৃদ্ধি পায়।
বেদানা অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য অব্যর্থ একটি ফল। বেদানায় আছে পলিফেনল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা রক্ত শুদ্ধ রাখতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এক্সারসাইজ করার ৩০ মিনিট আগে বেদানার রস খেলে শরীরে রক্তের সরবরাহ অনেকটা বাড়ে। ফলে শরীরের কোষ অক্সিজেন পায়।
পেঁয়াজে আছে ফ্লেভোনয়েড অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি আমাদের হার্টের জন্য ভাল। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্ত সরবরাহ ভাল করে আর হার্ট যাতে ঠিক ভাবে রক্ত পাম্প করতে পারে তাতে হার্টকে সাহায্য করে। এভাবেই পেঁয়াজ হার্ট ভাল রাখে। আর যেহেতু রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, তাই অক্সিজেনও প্রত্যেক কোষে পৌঁছে যায় ভাল করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দারচিনি রক্ত প্রবাহী শিরা-উপশিরাকে রিল্যাক্স করে। ফলে ব্লাড প্রেশার ঠিক থাকে। করোনারই আর্টারির মাধ্যমে রক্ত যাতে হার্টের মাধ্যমে শরীরের সঙ্গে ঠিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, সেই দিক থেকেও দারচিনি খুব ভাল উপকার দেয়।
পেঁয়াজের মতো রসুনেরও রক্ত আর অক্সিজেন বৃদ্ধি করার ক্ষমতা অনেক বেশি। রসুনের মধ্যে থাকা সালফার, বিশেষ করে অ্যালিসিন নামের উপাদান রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, রক্ত যাতে ভাল ভাবে সব অঙ্গে যেতে পারে তার দিকে নজর দেয়। ফলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ভাল পরিমাণে থাকে।
বীট হল সেই সবজি যা আমরা অনেকেই খেতে পছন্দ করি না কিন্তু আমাদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে বীট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বীটের মধ্যে থাকে নাইট্রেট। এই নাইট্রেট আমাদের শরীরে গেলে শরীর একে রূপান্তরিত করে নাইট্রিক অক্সাইডে। এই নাইট্রিক অক্সাইড হিমোগ্লোবিন মজবুত করে। ফলে শরীরে অক্সিজেন বৃদ্ধি পায়। রক্তের ঘনত্ব ঠিক পরিমাণে রেখে হার্টের ওপর চাপ কম করে।
রোজকার জীবনে হলুদ নিয়ম করে গ্রহণ করলে শরীর সব দিক থেকে ঠিক থাকে। এই সব দিক থেকে ঠিক থাকার অন্যতম দিক হল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে যথাযথ পরিমাণে যাওয়া। এতে রক্ত শুদ্ধ হয় আর রক্তের প্রবাহ ক্ষমতা বেড়ে যায়। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।
এই ধরণের সবজি খুবই নাইট্রেট সমৃদ্ধ হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়ম করে যদি লেটুস পাতা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে অক্সিজেনের বা রক্তের পরিমাণ বেশ বাড়ে। শুধু লেটুস কেন, আমাদের হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন শাক, বিশেষ করে লাল শাক বা পাতা জাতীয় ডাঁটা খেলেও অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে। আপনি বাঁধাকপিও খেতে পারেন, সমান উপকার পাবেন।
সাইট্রাস ফ্রুটস মানে হল লেবু জাতীয় ফল। আমরা তো এমনিতেই জানি যে পাতিলেবু খাওয়া খুবই ভাল। এর সঙ্গে মুসম্বি লেবু খেতে পারেন। এখন মাল্টা নামের এক ধরণের টক ফল পাওয়া যাচ্ছে কমলালেবুর মতো দেখতে। শীতের সময়ে কমলালেবু খেতে পারেন। আঙুরও এই শ্রেণির মধ্যে আসবে। এই জাতীয় ফল অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। এর পাশাপাশি রক্তের ঘনত্ব বজায় রেখে রক্ত প্রবাহ ভাল করে।
টম্যাটো, বিশেষ করে টম্যাটোর বীজ রক্তের বৃদ্ধিতে খুব ভাল কাজ দেয়। রক্তের শোধন, রক্তের ঘনত্ব বজায় রাখা, রক্তের প্রবাহ ঠিক রেখে সব জায়গায় রক্তের প্রবাহ বজায় রাখা, সবচেয়ে বড় কথা, হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর ক্ষেত্রেও টম্যাটোর গুরুত্ব অনেক। তাই যত বেশি পারবেন টম্যাটো খাবেন, তবে বীজ সমেত। অবশ্যই মনে রাখবেন, ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে টম্যাটো কম খাওয়াই ভাল।
আদার গুণ নিয়ে নতুন করে কথা বলার কোনও মানেই হয় না। সেই প্রাচীন কাল থেকে আদা ব্যবহার হয়ে আসছে আমাদের সুস্থ রাখতে। রোজ যদি আমাদের ডায়েটে আদা রাখা যায় তাহলে রক্তের চাপ হার্টের ওপর অনেক কম হয়। আয়রনের পরিমাণ বাড়ে রক্তে। অক্সিজেনের মাত্রাও ভাল হয়।
এই খাবারগুলি এই করোনার সময়ে নিয়ম করে খান। অক্সিজেনের মাত্রা আর রক্তের মাত্রা খুব ভাল থাকবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…