হাতের কাঁপুনির চোটে সাধ করে কেনা আইলাইনার ভাল করে লাগিয়ে উঠতে পারেনা অনেকেই। এবার থেকেই এই সমস্যা আর হবে না। এভাবে লাগান আইলাইনার। হাত কাঁপলে লাইনার বেঁকা হবে না।
আইলাইনার অ্যাপ্লাই করতে গিয়ে হাত কাঁপা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। দিশার মতো অনেকেই আছেন, যারা আইলাইনার কিনেও এই সমস্যার জন্যে কখনও অ্যাপ্লাই করতে পারেন না সেটি। অথচ চোখের কমপ্লিট মেকআপের জন্য কাজল, মাস্কারার পাশাপাশি আইলাইনার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
তাই আইলাইনার না লাগালে অনেকসময়েই মনে হয় মেকআপ যেন সম্পূর্ণ হল না! তাই আইলাইনার লাগাতে গিয়ে আপনার হাত কাঁপলেও কীভাবে সেটাকে ম্যানেজ করবেন, তার গুরুত্বপূর্ণ টিপসের হদিশ থাকল আজকের লেখায়।
জানেন কি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা আই মেকআপ আয়নার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে করার চেষ্টা করি। আর এর ফলেই আইলাইনার লাগানো আরও কঠিন হয়ে ওঠে আমাদের কাছে! আইলাইনার লাগানোর সময় সবসময় চেয়ারে বসেই সেটি অ্যাপ্লাই করাই বাঞ্ছনীয়। এতে হাত কাঁপার সমস্যা অনেকটা কমে। চেয়ারে বসে সামনের কোনও একটি টেবিলে একটি ছোট আয়না সেট করুন। তারপর কনুই দিয়ে টেবিলে সাপোর্ট দিন এবং আপনার হাতের কবজিকে স্থির করার চেষ্টা করুন। এবার হাতের পাতাটি চিবুকে সাপোর্ট দিয়ে আইলাইনার লাগাতে থাকুন। দেখবেন, হাত আর আগের মতো কাঁপবে না।
আইলাইনার অ্যাপ্লাই করার এটি একটি অন্যরকম পদ্ধতি। চোখের বাইরের কোণ থেকে একটি উইং আঁকুন। আইলাইনার লাগানোর ক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে কঠিন কাজ। দু’চোখেই উইং আঁকা হয়ে গেলে চামচটি উপর থেকে উলটে নিয়ে তার বাঁকা অংশটি চোখের উপর রেখে আইলাইনার লাগিয়ে নিন।
ফ্ল্যাগ স্টিকারের সাহায্যেও কিন্তু আপনি আইলাইনার দিয়ে আপনার চোখকে পারফেক্টলি এঁকে নিতে পারবেন। দু’টি স্টিকার নিয়ে চোখের আপার আই ল্যাশের একটু অংশ (যেখানে আইলাইনার অ্যাপ্লাই করবেন) ছেড়ে সেঁটে নিন। তারপর আপার আই ল্যাশের ফাঁকা অংশে নিশ্চিন্তে আইলাইনার অ্যাপ্লাই করুন। এভাবে আইলাইনার লাগালে ধেবড়ে যাওয়ার ভয় একেবারেই থাকবে না। আইলাইনার শুকিয়ে গেলেই স্টিকার দু’টি চোখ থেকে খুলে ফেলতে পারেন।
ফ্ল্যাগ স্টিকার অনেকের বাড়িতে না থাকলেও সেলোটেপ কিন্তু সকলের বাড়িতেই থাকে। চোখের বাইরের কোণায় পারফেক্ট উইং আঁকার জন্যে সেলোটেপের একটি ছোট টুকরো সামান্য বেঁকিয়ে লাগিয়ে নিন, যেখানে উইং আঁকবেন, সেই অংশটি ফাঁকা ছেড়ে রাখুন। তারপর সেই ফাঁকা অংশে উইং এঁকে নিন। এতে হাত কাঁপলেও উইং ধেবড়ে যাওযার ভয় থাকবে না। এবার উইং আঁকার পর চোখের বাকি অংশে আইলাইনার লাগিয়ে নিন।
আই ল্যাশ কার্লারের সাহায্যেও কিন্তু খুব সুন্দরভাবে আইলাইনার চোখে অ্যাপ্লাই করা যায়। আপনার লিকুইড লাইনার কার্লারের বেকানো অংশে লাগিয়ে চোখে প্রেস করুন। দেখবেন ইঙ্ক স্ট্যাম্পের মতো চোখে লাইনারের ছাপ পড়ে যাচ্ছে। ফলে এক্ষেত্রে আপনার হাত কাঁপার সমস্যা থাকলেও তা নিয়ে আপনাকে একেবারেই চিন্তা করতে হবে না। তবে এই পদ্ধতিতে আপনি কেবল লিকুইড লাইনারই ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে আপনি পেনসিল লাইনারও কিন্তু ব্যবহার করতে পারেন।
তাহলে এবার আইলাইনার লাগাতে গিয়ে হাত কাঁপলেও সে নিয়ে মন খারাপ করে একেবারেই বসে থাকবেন না। আমাদের দেওয়া দুর্দান্ত টিপসগুলি ফলো করে বাকি সকলের মতো পারফেক্টলি লাইনার অ্যাপ্লাই করুন, আর চোখকে করে তুলুন মোহময়ী।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…