আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই লক্ষ্য করছেন তো জিনিসটা? আর ভাবছেন কী বাজে লাগছে মুখটা! অতিরিক্ত কী একটা ঝুলছে! আজ্ঞে হ্যাঁ, আমি গলায় জমে থাকা মেদের কথাই বলছি। আপনি ধরুন অনেক ব্যায়াম করলে, আপনার পেটের চর্বি কমে গেল। সুন্দর স্লিম, সেক্সি হয়ে উঠলেন আপনি। কিন্তু আপনার সৌন্দর্য পুরো মাটি করে দেবে ওই গলায় জমে থাকা মেদ। আসলে ওই মেদ কমানোর জন্য কিছু বিশেষ যত্নের প্রয়োজন, যা আপনাকে নিতে হবে। আজকে দাশবাসের ঝুলি থেকে রইল ১০টি এমনই ধামাকেদার উপায়।
আপনাকে গলার মেদ কমাতে হলে কিছু ব্যায়াম করতে হবে, যার মধ্যে এটি অন্যতম।
ক. মাটিতে শুয়ে নিন পিঠের উপর ভর দিয়ে আর পা রাখুন ৬০ ডিগ্রি কোণ করে।
খ. একটি হাত রাখুন বুকের উপর আর আরেকটি হাত দিয়ে আপনার ঘাড়ের কাছে নিয়ে গিয়ে সাপোর্ট দিন।
গ. এবার ঘাড়ের কাছে যে হাত আছে সেই হাত দিয়ে যতটা সম্ভব প্রেসার দিয়ে গলা তোলার চেষ্টা করুন, যাতে গলার উপর চাপ আসে।
ঘ. দশ পর্যন্ত গুনুন আর তারপর শুয়ে পড়ুন। এভাবে ১৫ বার করুন, ৫ সেকেন্ড বিরতি নিয়ে নিয়ে।
এটি শুধু গলার মেদই কমাবে না, পিঠ আর মাসলের ব্যথা থাকলে তাও কমাবে।
গলায় মেদ কিন্তু সামনে আর পিছনে দু দিকেই জমে। তাই দু দিক থেকে মেদ কমাতে এই ব্যায়াম করুন।
ক. সোজা হয়ে দাঁড়ান আর হাত দু দিকে পাশে রাখুন সোজা করে।
খ. এবার আপনার গলা সামনের দিকে আস্তে আস্তে নামান, কিন্তু কাঁধ সোজা রাখবেন।
গ. এভাবে দশ গুনুন আর তারপর গলা সোজা করে যতটা সম্ভব পিছনের দিকে নিয়ে যান।
ঘ. এই অবস্থায় দশ গুনুন আবার।
এই প্রক্রিয়া আপনি দশ বার করুন নিয়মিত। এতে উপকার অবশ্যই পাবেন।
এটি ডবল চিন কমানোর জন্য অব্যর্থ। এর পাশাপাশি ঘাড়ে যদি ব্যথা থাকে তাও কমে যাবে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে।
ক. একটি চেয়ারে বসুন আর পিঠ একদম সোজা করে রাখুন।
খ. এবার ক্লক ওয়াইস গলা ঘোরাতে থাকুন, কিন্তু কাঁধ নয়। গুনতে থাকুন ২০ পর্যন্ত।
গ. এবার অ্যান্টি ক্লক ওয়াইস ঘোরান আর এভাবে গুনুন ২০ পর্যন্ত।
এভাবে ২০ বার করতে থাকুন রোজ। কয়েক সপ্তাহেই ফল পাবেন হাতেনাতে।
আপনি এই ব্যায়াম যে কোনও সময়ে করতে পারেন। চাইলে দিনে যত বার খুশি করতে পারেন।
ক. কোথাও পারলে আগে বসুন আর পিঠ সোজা রাখুন।
খ. এবার আপনার ডান হাতের তালুর পিছন দিক দিয়ে ডবল চিনে আস্তে আস্তে মারুন।
গ. ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়াতে থাকুন কিন্তু আপনার সহ্যের সীমা পার করা ঠিক হবে না।
ঘ. এভাবে দশ বার পর্যন্ত করতে পারেন।
এই ব্যায়ামের সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, আপনি যে কোনও সময়েই এটি করতে পারেন, আলাদা কোনও সময় এটির জন্য লাগবে না।
এটি গলার পেশি মজবুত করে আর অতিরিক্ত মেদ সহজেই কমিয়ে আনে।
ক. সোজা ভাবে দাঁড়িয়ে সামনের দিকে তাকান।
খ. এবার মাথা সামান্য তুলুন আর ফুঁ ফুঁ করতে থাকুন। এটি আপনার চোয়ালে আর গলায়, দু দিকেই চাপ দেবে।
গ. ১০ সেকেন্ড ফুঁ দেওয়ার পজিশনে মুখ রাখুন।
ঘ. আবার ফুঁ দিতে শুরু করুন।
এভাবে রোজ ২০ বার করে করলে সহজেই কমে আসবে গলার মেদ।
আমরা সারা দিনে অনেক বার মুখ খুলি আর বন্ধ করি। কিন্তু ঠিক পদ্ধতিতে সেটা করলে গলার মেদ অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।
ক. প্রথমে মাথা সোজা রেখে দাঁড়ান।
খ. এবার ঘাড় সোজা রেখে যতটা সম্ভব পিছনের দিকে গলা নিয়ে যান।
গ. তারপর বড় করে হা করুন আবার মুখ বন্ধ করুন। এটি খুবই আস্তে আস্তে করতে থাকুন।
ঘ. ১০ থেকে ১৫ বার এটি করুন।
দিনে ৩ থেকে ৪ বার এটি করুন আর দেখুন আপনার গলার অতিরিক্ত মেদ কোথায় চলে যায়!
গলার সাইডের মেদ কমানোর জন্য এটি আরেক খুব ভালো ব্যায়াম।
ক. প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।
খ. এবার ডান হাত পিঠের পিছনে রেখে বাঁ দিকে কোমর খানিক বেঁকাতে হবে।
গ. এবার বাঁ হাত দিয়ে মাথা বাঁ দিকে ঘোরান আর গুনুন দশ পর্যন্ত।
ঘ. এভাবে বিপরীত দিকেও করতে থাকুন।
এভাবে ৩০ বার পর্যন্ত করতে পারেন। তবে ১০ সেকেন্ডের একটি বিরতি অবশ্যই নিতে পারেন।
আপনি কী জানেন, একটি সাধারণ টাওয়েল কত ভালো করে আপনার গলার মেদ কমাতে পারে? সাধারণ কয়েকটা স্ট্রেচ টাওয়েলের সাহায্যে করলে সহজেই পাবেন স্লিম চিন।
ক. প্রথমে টাওয়েল পেঁচিয়ে নিন। গলার পিছন দিকে নিয়ে উপর দিক করে দুটি মুখ যোগ করুন। তারপর গলা আস্তে আস্তে উপরের দিকে টেনে তুলুন। এভাবে দশ বার করতে পারেন। তবে খুব বেশি চাপ দেবেন না গলায়।
খ. আরেকটি পদ্ধতি আছে টাওয়েল নিয়ে। টাওয়েল পেঁচিয়ে নিন আর গলায় জড়িয়ে নিন। এবার স্ট্রেস দিন সাইডের দিকে। এতে পাশের চর্বি কমবে।
সামনে, পিছনে, আর দুই পাশে ঘাড় বেকিয়ে এই ব্যায়াম করতে হয়। এতে খুব ভালো এক্সারসাইজ হয় ব্যায়ামের।
ক. সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ঘাড় যতটা সম্ভব শক্ত করে রাখুন।
খ. গলা বাঁ দিকে ঘোরান আর ৫ সেকেন্ড রাখুন।
গ. ঠিক এভাবেই ডান দিকে ঘোরান আর ৫ সেকেন্ড রাখুন।
এভাবে দশ বারের একটি সেট করুন।
ঘ. এবার সামনের দিকে গলা যতটা সম্ভব ঘাড় সোজা রেখে নিয়ে যান আর ৫ সেকেন্ড রাখুন।
ঙ. আবার পিছনের দিকেও এভাবে নিয়ে গিয়ে ৫ সেকেন্ড রাখুন।
এভাবেও দশ বারের একটি সেট তৈরি করুন।
অনেক ব্যায়ামের কথা বলেছি। এবার একটা পছন্দের আর সহজ উপায় বলি। গাম চিবোলে একটা স্ট্রেস পড়ে গালে আর গলায়, সেটা দেখেছেন নিশ্চয়ই। এবার এটা ব্যায়ামের মতো করেই করুন। সপ্তাহে দু দিন গাম নিন মুখে আর চিবোন। তবে মিষ্টি খুব কম আছে এরম গাম নেবেন। মনে রাখবেন আপনি গাম খাচ্ছেন না, উদ্দেশ্য হল ব্যায়াম।
এই দশটি ব্যায়ামের মধ্যে যে কোনও একটি বা দুটি সময় করে করুন। সব করতে পারলে তো খুবই ভালো। নিয়ম করে করলে গলার অতিরিক্ত মেদ কিন্তু কমতে বাধ্য।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…