কম্পিউটার আমাদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এটা ছাড়া আমরা আজকের দুনিয়ায় চলার কথা ভাবতেই পারি না। কম্পিউটার না জানলে আমাদের অনেকসময় অনেক ছোট কাজের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়। আমরা আমাদের একদম ছোটবেলায় তাও কম্পিউটারটা পাইনি। মনে আছে স্কুলে গিয়ে, ক্লাস ফোরে প্রথম কম্পিউটারের সামনে গেলাম। কিন্তু, আজকের প্রজন্ম তো তা নয়। আজ সবার বাড়িতেই মোটামুটি কম্পিউটার আছে। তাই একদম ছোট বাচ্চারাও এটা প্রায় জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছে। যেহেতু একদম ছোট বাচ্চা, তাই আমাদের ভাবতেও হচ্ছে তাদের সাবধানতাজনিত নানা বিষয়। আসুন, কোন বয়সে বাচ্ছাদের এই অসাধারণ দরকারি যন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করানো যায় তা দেখে নি।
এটা তো আমরা বুঝতেই পারছি যে একদম ছোট বাচ্চার কম্পিউটার দিয়ে কোন কাজ নেই কারণ কম্পিউটার ব্যবহার করতে হলে তার একটা সামান্য বাক্যের গঠনের বোধ, কিছু বিষয়ের বোধ থাকতে হবে, যেটা ওই ছোট বয়সে হয়ে ওঠে না। একদম ছোট বাচ্চাদের কাছে এটা একটা যাদুবাক্স ছাড়া কিছুই নয় যার মধ্যে সে দেখতে পারছে অনেক আলো, রঙ ইত্যাদি। একদম ছোট বয়সে এই মুগ্ধতাটুকুই কম্পিউটার থেকে বাচ্চাদের হতে দিন দূর থেকে। এইভাবে আঠারো মাস পর্যন্ত তারা স্ক্রিনে হাত রাখুক, কি-বোর্ডে হাত রাখুক, মাউসটা একটু নাড়াচাড়া করুক। এটুকুই তাদের সম্পর্ক হোক কম্পিউটারের সঙ্গে।
এরপর দু’বছর বয়সের মধ্যে তাদের আরেকটু সামান্য বোধের বিকাশ হয়। তাদের সামান্য অক্ষরের জ্ঞান হয়। তাই এই সময় তাদের কি-বোর্ড ব্যবহার করতে দিন। তারা সদ্য শেখা অক্ষর জ্ঞান দিয়ে কিছু লিখুক, খাতাতেও, এখানেও। এইসময় থেকে যদি মেইল চেক বা বিভিন্ন ব্লগ দেখা এগুলোর সময় বাচ্চাদের সঙ্গে রাখেন তাহলে দেখবেন যে তারা কিছু কিছু করে শিখে যাচ্ছে ব্যবহার। কিন্তু, এখনো বেশি ব্যবহার না করতে দেওয়াই ভাল।
৩ বছর বয়স থেকে আমরা কিছু কথা ভাবতে পারি তাদের কম্পিউটার ব্যবহার করা নিয়ে। এই সময়টা তাদের স্কুলে যাবার সময়। তাই তাদের সামান্য হলেও বেশি বিকাশ হয়েছে ধরা যায় আগের থেকে। এই সময় কম্পিউটার অন ও অফ করা, মাউস কী সেটা বোঝানো, puzzle solve করা এইগুলো করা যেতে পারে। তারা কিছু কিছু শব্দও এই সময় থেকে জানতে শুরু করে।
বর্তমান গবেষণা বলছে এই সময়ে বাচ্চাদের কম্পিউটারের সঙ্গে পরিচয় করানোটা ভালো কারণ তাদের পরিণতমনস্কতা আনতে সাহায্য করে। বাড়ি ও স্কুল দু’ জায়গাতেই যারা এই সময় ব্যবহার করছে কম্পিউটার তাদের ক্ষেত্রে এই পরিণতির হার আরও বেশি। তবে মনে রাখতে হবে এই ব্যবহার যেন ১৫/২০ মিনিটের বেশি না হয়।
ইংল্যন্ডের এক সাইকোলজিস্ট এরিক সিগম্যান গবেষণায় দেখাচ্ছেন যে নির্দিস্ট সময়ের আগে কম্পিউটার ব্যবহার বাচ্চাদের বিকাশে বাধা আনতে পারে। যেহেতু কম্পিউটারে চাইলেই একসঙ্গে অনেক কাজ করা যায় তাই বাচ্চাদের নির্দিস্ট একদিকে মনোযোগ দেবার অভ্যেস বাধা পেতে পারে। ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আমেরিকার Duke University’র গবেষকরা গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে এই সময়ে অতিরিক্ত নেট ব্যবহার পরীক্ষায় ফল ভালো হতে দেয় না।
৫/৬ বছর বয়সে তারা নেট ব্যবহার করতে পারে কিন্তু, তা শুধুই স্কুলের প্রজেক্টের জন্য। তারা সামান্য ভিডিও গেম খেলতে পারে।
বেশি ব্যবহারে মাইয়পিয়া হতে পারে যার জন্য দূরের জিনিস দেখতে অসুবিধা হতে পারে। কম্পিউটার থেকে ক্ষতিকারক ব্লু লাইট বেরোয় যা চোখের ক্ষতি করে।
তবে সবই ব্যবহার করতে পারে নির্দিষ্ট সময় মেনে। বেশি সামনে থেকে কম্পিউটার ব্যবহার না করাই ভালো। ৯/১০ বছর বয়সে এসে তারা নেটে খানিক অন্যান্য বিষয় দেখতে পারে, তাও অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে। ব্যবহারের সময় পিঠ ও ঘাড় সমান রাখতে হবে। স্ক্রিনগার্ড লাগানো যেতে পারে ব্লু লাইটের থেকে বাঁচার জন্যে।
তাই আসুন আমাদের বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করি। তাদের যখন এই বিষয়টার সঙ্গে বড় হয়ে উঠতেই হবে তখন আমরা বড়রা সাবধানতার সঙ্গে তাদের পাশে থেকে তাদের এই আশ্চর্য জগতের শরিক হতে শেখাই।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…