কোকাকোলা বা পেপসি খেতে খুব ভালো লাগে? আপনি কি খুব খান এই জাতীয় নরম পানীয়? তাহলে হতে পারে মারন রোগ। এখন অনেকে হয়তো রাস্তায় জল তেষ্টা পেলে জল খাবার পরিবর্তে, এইসব পানীয় খেয়ে তেষ্টা মেটান। কিন্তু এটা জানেন কি? এর বিভিন্ন উপাদান শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছে? আসলে সেটি এত ধীরে ধীরে হয় যে আমরা বুঝতেও পারি না।
এইসব নরম পানীয়তে থাকে অতিরিক্ত চিনি। যা শরীরের জন্য মারাত্মক খারাপ। এর অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে স্থুলতা বাড়ায় ভীষন ভাবে। আর এতে ওবেসিটির মত সমস্যাও বাড়ে। এছাড়াও ওজন বাড়লে আরও নানা সমস্যা হয় যেমন ডায়াবেটিস্, এটি ছাড়াও রক্ত চাপ বাড়িয়ে দেয় ভীষনভাবে। গবেষণায় দেখা গেছে এই পানীয়গুলিতে যে অতিরিক্ত চিনি থাকে, সেটি অগ্নাশয়ের জন্যও খুব খারাপ। আপনি ডায়াবেটিস্ কমানোর জন্য যা যা করছেন কোন লাভ হয় না। আপনার ডায়াবেটিস্ বেড়েই যায়। তাই এসব থেকে বাঁচতে নরম পানীয় কম খান।
এই নরম পানীয়গুলিতে শুধু অতিরিক্ত চিনি নয়, আরও নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করা হয়। যা শুধু ডায়াবেটিস্ নয়, হৃদরোগের ঝুঁকিও বেশ বাড়িয়ে দেয়। এগুলোর ফলে শরীরের ভেতরে প্রোটিন, ভিটামিন, যেগুলি আমাদের শরীরকে বাঁচায় বিভিন্ন রোগের হাত থেকে, সেগুলির পরিমান শরীর থেকে কমতে থাকে। তার ফলে রোগ প্রতিরোধের শক্তি কমে যায়। এই পানীয়গুলিতে যে সব উপাদান বাবহৃত হয় সেগুলি শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। দেখা যায় যারা এই পানীয় কম পান করেন, বাড়িতে ফলের রস খান তারা অনেক বেশি সুস্থ্য। যদিও ফলের রসে থাকা উপাদানগুলি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই কোমল পানীয়তে কার্বন থাকে, যা দাঁতের জন্য খারাপ। এর খারাপ উপাদানগুলি মুখের ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিশে দাঁতের এনামেলকে নষ্ট করে। তার ফলে দাঁতে গর্ত ও আরও নানা সমস্যা হয়। মুখে দূর্গন্ধ হয়। দাঁতের এনামেল ভেঙ্গে যাবার ফলে দাঁত দুর্বল হয়ে যায়। তাই দাঁত ভালো থাকতে থাকতে দাঁতের যত্ন নিন।
আগেই বলেছি এই জাতীয় পানীয় ভীষণ ভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইড দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। তাই এই পানীয় খেলে শরীরতো বটেই হাড়েরও ভীষন ক্ষতি হয়। কারন এতে থাকা উপাদানগুলি হাড়ের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়ামকে নষ্ট করে। এর ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায় ভীষণ ভাবে। এই সমস্যা বিশেষ করে হয় মহিলাদের। কারন বয়স ৩০ পেরলেই হাড়ের জোড় আস্তে আস্তে কমতে থাকে। আর এই পানীয় খেলে আরও মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই হাড় ক্ষয় হবার আগে সাবধান হন।
অনেকের দেখা যায় নরম পানীয় খাবার পড়ে সেটি হজম হয় না। এর একটি কারন আছে। এই জাতীয় পানীয়তে কার্বন-ডাই-অক্সাইড দ্রবীভূত থাকার ফলে, সেটি যখন পেটে যায় তখন সেটি গ্যাসের আকার ধারন করে ওপর দিকে ওঠে। যার ফলে খুব ঢেঁকুর ওঠে। আবার অনেক সময় টক ঢেঁকুরও ওঠে।
এই নরম পানীয় গুলিতে এত খারাপ কিছু উপাদান থাকে যা ভাবাও যায়না। এতে মেশানো হয় কোক পাউডার, স্যাকারিন, রঙ, কিছু পরিমান কীটনাশকও থাকে। এছাড়াও থাকে জল। এর ফলে গ্যাস্ট্রিক, ফুড পয়জনিং হয়। এছাড়াও খিদে কমে যায়। এটা শরীরকে ভেতর থেকে এত দুর্বল করে দেয় যে, আমরা যে খাদ্য খাই তা থেকে শক্তি গ্রহণ করার ক্ষমতা একদম কমে যায়। শরীরে চর্বির পরিমান যথেষ্ট বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চর্বির ফলে হার্ট ব্লক হয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে এছাড়াও আরও নানান সমস্যায় পড়তে হয়।
তাহলে দেখলেনতো নরম পানীয় খেতে খুব ভালো লাগলেও, এটি কতটা ক্ষতিকারক? তাই শরীরকে বাঁচান আর নিজেও ভালো থাকুন। কোককলা বা পেপসি বা এই জাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকুন।
https://dusbus.com/bn/blackberry-benefits-qualities-bengali/
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…