গরমকাল চলে আসার সাথে সাথে নানা চিন্তা মাথায় ঘুরছে! বাইরে বেড়তে হবেই, কিন্তু রোদের হাত থেকে চুলকে বাঁচাই কি ভাবে? কি ঠিক ধরেছি! ভাবছেন তো এসব কথাই? এসব ভাবা খুব স্বাভাবিক। তবে বন্ধুরা চিন্তা না করে আজকের লেখা ঝটপট পড়ে নিন। দেখবেন নিমেষে মুশকিল আসান হয়ে যাবে। না না কোন জ্ঞান দেব না। যে, ‘ছাতা নিয়ে বাইরে যাও, বা টুপি মাথায় রেখো সব সময়’। এগুলো আপনারা করেই থাকেন। কিছু সহজ ঘরোয়া টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, যা আপনাদের কাজে আসবে।
একেবারে ঠিক বুঝেছেন। দইয়ের ব্যবহার চুলের জন্য খুবই জরুরি। তবে মিষ্টিদই নয়। টকদই। সে খেতে ইচ্ছে হলে মিষ্টি দই খান কিন্তু চুলের জন্য টক দই হল বেস্ট। টকদই তো আনলেন বাজার থেকে এবার কি করতে হবে সেই প্রশ্ন জাগছে? সব বলে দেব বাবা, কিছু লুকবো না। নীচে ব্যবহারের পদ্ধতি দেখুন।
পদ্ধতি
চুলের পরিমান মত টকদই নিন। সাথে একটি পাতিলেবুর রস মেশান ভালো করে। এরপর চুলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন হেয়ার প্যাক লাগানোর মত করে। ভালো করে চুলের আগায় ডগায় দইয়ের প্যাকটি লাগান। এবার ৩০মিনিট মত রেখে নিন। ততক্ষণ আপনার ঘরের অন্য কাজ সেরে নিন। কাজ না থাকলে বসে বসে আমাদের হোমপেজে নানা ধরনের লেখাও পড়ে নিতে পারেন।
যাইহোক ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা জল নিয়ে অল্প অল্প করে মাথায় দিন ও হালকা ভাবে ম্যাসাজ করুন। ৫মিনিট এরকম ভাবে ম্যাসাজ করার পর। ভালো করে জল দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। বেস্ট রেজাল্ট পাওয়ার হলে এদিনকে শ্যাম্পু না করে পরের দিন শ্যাম্পু করুন। আর যদি বাইরে বেরোনোর থাকে তাহলে শ্যাম্পু করে নিন।
কি একদম সহজ উপায় না! তবে খেয়াল রাখবেন শ্যাম্পু করলে ভালো কোন ব্যান্ডের শ্যাম্পু ব্যবহার করাই ভালো। তাছাড়া যদি পারেন রিঠাকে শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে সময় হয়তো একটু বেশি খরচ হবে, কিন্তু এর ফলাফল চুলের জন্য খুবই ভালো। ভাবছেন রিঠা শ্যাম্পু আবার কি? নীচের লিঙ্কটা পড়ে নিন বলা আছে কি ভাবে রিঠা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হয়।
➡ রিঠা শ্যাম্পুর বদলে লাগান চুলে
তেলের তালিম না দিলে চুলের বারোটা বাজার হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। আরে আরে তেলের তালিম শুনে আবার ঘাবড়ে যাবেন না। মজা করে শব্দটা বললাম। তবে তেল চুলের কেয়ার বা যত্ন যাই বলি না কেন নেয় একেবারে ১০০ শতাংশ। তাই গরম বলে তেলকে চুলের থেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন না। হালফিলের ফ্যাশানে তেল শুনলেই কেমন সেকেলে মনে হয়। কিন্তু পুরনো চাল ভাতে বাড়ে জানেন তো। তাই রোজ সম্ভব না হলেও সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার স্নানের আগে ঘণ্টাঘানেক ভালো করে চুলে তেল দিয়ে মালিশ করে নিন। তারপর শ্যাম্পু। ব্যাস তেল ও মাখা হল আর ফ্যাশানও নষ্ট হল না। ওই সাপ মরলো লাঠি ভাঙলো না টাইপের আর কি।
তাহলে এই দুটো সহজ টিপস আজকে থাকছে আপনাদের জন্য। নিয়ম মেনে যদি ট্রাই করেন কথা দিলাম হতাশ হবেন না। বাকি আপনাদের মর্জি। আজ তাহলে চলি। জলদি কথা হবে আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে। তাছাড়া আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে বা কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে যখন খুশি জানতে পারেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…