চকলেট। আজ্ঞে হ্যাঁ। ঠিকই শুনেছেন। অ্যাদ্দিন তো আপনি শুধু চকলেট খেয়েই এসেছেন রসিয়ে রসিয়ে। আপনার চকলেট বেশী খাওয়া নিয়ে আপনাকে কেউ জ্ঞান দিতে এলে গুগল খুলে তাঁকে দেখিয়েও দিয়েছেন চকলেটের উপকারিতা।
কিন্তু জানেন কি, আপনার শরীরের পক্ষে তো বটেই, এমনকি আপনার ত্বকের যত্নেও চকলেট এক এবং অদ্বিতীয় হয়ে উঠতে পারে? ঘাবড়ে যাচ্ছেন তো? আরে না না। চমকাবার কিছুই নেই। তার থেকে আজকের আর্টিকল পড়ুন আর জেনে নিন আপনার ত্বকের যত্নে চকলেটের নানান উপকারিতার খাস খবর!
চকলেট, বিশেষ করে ডার্ক চকলেটে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। তাই আপনার ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যাল ড্যামেজের থেকে রক্ষা করে চকলেট ত্বককে নরম আর মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
আর আপনার ত্বক অয়েলিই হোক কি ড্রাই—যেকোনো ত্বকে যদি দারুণ ফল পেতে চান, তাহলে নিশ্চিন্তে চকোলেট ব্যবহার করুন। কারণ চকলেটে থাকা ভিটামিনস আর মিনারেলস আপনার ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে।
রাস্তায় তো হরদম বেরোতেই হয়। সান স্ক্রিন মেখে আর কতই বা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকে নিজেকে বাঁচাবেন? তার থেকে এবার আপনার সান স্ক্রিনে বা বিউটি প্রোডাক্টে এস.পি.এফ.-এর পাশাপাশি চকলেট আছে কিনা দেখে নিন।
কারণ চকলেট কিন্তু সূর্যের আলো আর অতিবেগুনী রশ্মি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা তো করেই, তাছাড়া সান বার্ন, ট্যান, স্কিন ক্যান্সারের হাত থেকেও আমাদের বাঁচায়।
আপনার শরীরের মতো আপনার ত্বকেরও কিন্তু চাই পুষ্টি। আর সেক্ষেত্রে আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড হতে পারে ডার্ক চকলেট। সমীক্ষা বলছে, আপনি যদি নিয়ম করে ডার্ক চকলেট খেয়ে যান, তাহলেই কিন্তু স্মুদ আর উজ্জ্বল, নিদাগ ত্বকের অধিকারী হতে পারবেন। অগত্যা বুঝতেই পারছেন, যারা ডার্ক চকোলেট খেতে ভালবাসেন, তাঁদের তো ষোলো কলা পূর্ণ হল বলে!
নামী দামী কোম্পানির ময়েশ্চারাইজার তো একগাদা ব্যবহার করে দেখলেন। এই শীতে আপনার ত্বককে নরম মাখনের মতো রাখতে চকলেটকে কাজে লাগান। চকলেট ত্বকের পুষ্টি জুগিয়ে ত্বককে ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে তোলে। ফলে এই শীতেও আপনি থাকতে পারেন অল টাইম ময়েশ্চারাইজড!
জানেনই চকলেটের অন্যতম প্রধান উপাদান ক্যাফেইন। আর ক্যাফেইন কিন্তু আপনার ত্বককে ডি-টক্সিফাই করতে দারুণ উপকারী। ত্বকের মরা চামড়াই বলুন আর যাই বলুন—সব বাজে জিনিস ভ্যানিশ হয়ে যাবে চকলেটের দৌলতে। তারপর দেখবেন আপনার ত্বক আবার আগের মতো হাসছে।
গ্লোয়িং স্কিনের দিকে নজর তো আমাদের সবারই। আর স্কিনকে গ্লো করাতে গেলে কিন্তু আপনাকেও হাসিখুসি থাকতেই হবে। আজকাল যা কাজের চাপ আর স্ট্রেস, তাতে আপনার আনন্দের ওখানেই অর্ধেক শেষ হয়ে যায়। আর আপনার স্ট্রেসের পাল্লায় পড়ে আপনার স্কিনেরও নিশ্চয়ই খুব খারাপ হাল?
এবার আর চাপ নেবেন না। ডার্ক চকলেট কিন্তু আপনার স্ট্রেসকে দারুণ ভাবে তাড়িয়ে আপনাকে আগের ফর্মে ফিরিয়ে আনতে পারে। তাই হাসিখুসি থাকতে বরং চকলেটে মন দিন এবার থেকে। দেখবেন আপনার গ্লোয়িং স্কিন আপনারই মতো হাসছে।
আগেই বলেছি ডার্ক চকলেটে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা আপনার ত্বকের ক্লান্ত ভাব কাটিয়ে ত্বককে আরও ইয়ং করে তোলে। আর চকলেটে থাকা অ্যান্টি-এজিং প্রপার্টি আপনার ত্বকের দাগ, বলিরেখা, ফাইন লাইনস কমিয়ে ত্বকের বসয় কমিয়ে দেয়। তাই চল্লিশেও চির তরুণী থাকতে চাইলে ট্রাই করুন ডার্ক চকলেট।
ব্রণ আর ব্রণর দাগে আপনার ত্বকের নিশ্চয়ই খুব খারাপ অবস্থা। গুচ্ছ ক্রিম ব্যবহার করেও কোনো ফল পাননি তো? এবার ক্রিমকে টাটা বলে চকলেট খান। দেখবেন মুখের দাগ, সে দাগ যত জেদিই হোক না কেন, সব বাপ বাপ বলে পালাচ্ছে।
বাজারে চকলেটের গুচ্ছ বিউটি প্রোডাক্টস তো পাবেনই। কিন্তু ওগুলোতে তো শুধু চকলেটই থাকবে না, থাকবে একগাদা কেমিক্যালও। তার থেকে এবার বাড়িতেই দেখুন না চকলেট ফেসিয়াল করে!
চকোলেটের পেস্ট পরিমাণ মতো।
মুখ ভালো করে ধুয়ে আপনার পছন্দের স্ক্রাবার দিয়ে ভালো করে মুখ স্ক্রাব করে নিন। তারপর চকলেটের পেস্ট মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগান। ২০ মিনিট মতো রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চকোলেট ফেসিয়াল ফিনিশ! সপ্তাহে বার দুয়েক মতো করেই দেখুন।
তাহলে এবার ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন চকোলেট, আর এই নিউ ইয়ারেই হয়ে উঠুন রূপের রানী! পার্টিতে তারপর সব্বাই আপনার বিউটি সিক্রেটের টিপস জানতে চাইলে ‘দাশবাস’কে ধন্যবাদ দিতে কিন্তু ভুলবেন না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…