চা এক প্রকার উপকারী পানীয়, যা পান করলে দেহ মন সতেজ থাকে, ক্লান্তি দূর হয়। ‘চা’ শব্দটি ইংরেজি ‘TEA’ এর প্রতিশব্দ। অনেকের ধারণা, প্রাচীন গ্রীকদের বিশ্বাস অনুযায়ী গ্রীক দেবী ‘Thea’-এর নাম থেকে এর নামকরণ হয়েছে। চা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো ‘ক্যামেলিয়া সিনেনসিস’; এটি একটি কৃষিজাত পণ্য।
চা পৃথিবীতে সর্বাধিক ব্যবহৃত পানীয়। সব বয়সের মানুষের মাঝে এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন চা পানের অভ্যাসে গায়ের রঙ কালো হয়ে যায়। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কেউ কেউ আবার বলেন চা পান করলে ত্বক খসখসে হয়ে যায়, এটিও ভ্রান্ত ধারণা। মূলত চা একটি প্রাকৃতিক উপাদান যাতে মানব দেহের জন্য বহু উপকারী গুণাগুণ রয়েছে।
লাল চায়ের মধ্যে অনেক গুণাগুণ রয়েছে। এতে বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ট্যানিন, এক্সামিন, পিউরিন, গুয়ানিন ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়া ক্যাফেইন, কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, মিনারেল, ফ্লোরাইড ইত্যাদি পাওয়া যায়।
গবেষণায় জানা যায়, ‘চা’ পানের মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও-র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ গবেষণা চালানো হয়। এটি মানসিক অবসাদ দূর করে।সর্দি-কাশিতে চা বেশ উপকারী।
তবে জানার বিষয় কোন চা বেশী উপকারী। জার্মানির বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ মানুষের উপর একটি পরীক্ষা চালান।
কয়েকজন মহিলাকে এক একবার করে রঙ চা, দুধ চা এবং শুধু গরম পানি পান করনো হয় এবং আল্ট্রা-সাউন্ডের মাধ্যমে রক্তনালীর সঞ্চালন পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায় যে, রঙ চা পান করায় রক্তনালীর প্রসারণ বেশী হওয়ায় হৃদরোগ নিয়ন্ত্রিত হয়। চায়ের ফ্লোরাইড উপাদান দাঁতের সুস্থতা নিশ্চিত করে । চা রক্তনালীও পরিষ্কার রাখে। ফলে হার্ট-অ্যটাকের ঝুঁকি কমে। মানবদেহের ৪৫% ম্যাঙ্গানিজের যোগান পূরণ হয় যদি নিয়মিত চা পান করা হয়।
চা পান করলে যদি গায়ের রঙ পরিবর্তন হতো, তবে ইউরোপিয়ানদের গায়ের রঙ সবার আগে পরিবর্তন হতো, কিন্তু এমনটা কি হয়েছে? হয় নি। ত্বকে রঙ নির্ভর করে ‘মেলানিন’ নামক উপাদানের উপস্থিতির ওপর! ত্বকে মেলানিন যত কম হবে, ত্বক তত ফর্সা হবে। যদি মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে ত্বক কালো হয়ে যাবে। কোনো গবেষণাতেই এটা প্রমাণিত হয় না যে ‘চা’ ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
চায়ে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মুখের ঘা, ক্যানসারজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেয়িাল উপাদানগুলো মুখের ব্যাকটেরিয়া প্রতিহত করে এবং দাঁতের ক্ষয় সমস্যাও দূর করে।
আপনি যদি চায়ের প্রতি আসক্ত হয়ে থাকেন, সময়ে-অসময়ে চা পান করেন, তবে এটি আপনার জন্য শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হবে। আপনার স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস নষ্ট হয়ে যাবে, খিদের ইচ্ছেও চলে যাবে। এছাড়া অতিরিক্ত চা পান অনিদ্রার কারণ। পরিপাকে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় নানা সমস্যার ঝুঁকি থাকে। তাই খুব বেশী পরিমাণে ‘চা’ পান স্বাস্থের ক্ষতি করে।
তাহলে জেনে নিলেন চায়ের ভালো-মন্দ নানা দিক! এবার চা খান, কিন্তু বুঝে!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…