তেল রান্নার একটি অত্যন্ত্য প্রয়োজনীয় উপাদান। ভারতীয় যে কোনো রান্না, তেল ছাড়া সম্ভব নয়। আমরা অনেক সময়ই একবার রান্নায় ব্যবহৃত তেল নষ্ট না করে সেটিকে বার বার ব্যবহার করি। কিন্তু এর ফলাফল শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর সেটা কখনো ভেবে দেখেছি কি ?আসুন জেনে নি এর ক্ষতিকারক দিকগুলি।
রান্না করা তেল যদি আমরা বারবার ব্যবহার করি তবে তাতে ফ্রি রাডিক্যালস তৈরী হয়। যা আমাদের শরীরের কোষগুলির সাথে মিলিত হয়ে যায়। ফ্রি রাডিক্যালস সাধারণত কার্সিনোজেনিক হয় যা আমাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। এছাড়া এই কার্সিনোজেনিক আমাদের শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলকে বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে নানা রকমের হৃদয়জনিত সমস্যা দেখা দেয়।
আমরা যখন একবার ব্যবহার করা তেল পুনরায় আবার ব্যবহার করি তখন অপূর্ববর্তী খাবারের কিছু অংশ তেলের মধ্যে থেকে যায়, এই তেলকে বারবার ব্যবহার করতে থাকলে তার মধ্যে থাকা খাবারের অংশগুলি ডিকম্পোস হতে শুরু করে , এর ফলে ঐগুলোর মধ্যে নানা রকম রাসায়নিক পরিবর্তন দেখা যায়। ওই তেল যখন আমরা আবার ব্যবহার করি অন্য খাবার বানানোর সময়, তখন ওই খাবারটি তার স্বাদ এবং পুষ্টি দুটোই হারায়, এবং আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে।
আমরা যখন একবার ব্যবহৃত তেল বারবার করে ব্যবহার করতে থাকি, তখন প্রত্যেক বার তেল গরম হওয়ার সাথে সাথে তেল পুড়তে থাকে। এই পোড়া তেল থেকে নক্সিয়াস গ্যাস উৎপন্ন হয় যার ফলে আমাদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া পোড়া তেল থেকে সালফার ডাইঅক্সাইড ,কার্বন মনোক্সাইডএবং নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয় যা (Asthma) আস্থামা অ্যাটাক হওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়া এই গ্যাসগুলি যে রান্না করে তার এবং তার আশেপাশে যারা থাকে তাদের সবার ক্ষেত্রে একইরকম ভাবেই ক্ষতি করে।
সাধারণত কোনো কিছু ডিপ ফ্রাই করার সময় ব্যবহৃত তেলকে আমরা পুনরায় ব্যবহার করি। এই তেল প্রতি বার ব্যবহার করার সময় এতে এইচএনই তৈরি হয়। অতিরিক্ত মাত্রায় তৈরী হলে তা আমাদের শরীরে অত্যন্ত্য ক্ষতি করে। এইচএনই একধরণের টক্সিক সাবস্টেন্স। যা অতিরিক্ত মাত্রায় আমাদের শরীরে গেলে নানা করকম রোগ যেমন পার্কিনসন ,আইলেইমার হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া এর ফলে আমাদের লিভার জনিত নানা রকম সমস্যা এমন কি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।
পোড়া তেল বা একবারের বেশি ব্যবহার করা তেল আমাদের শরীরে নানা রকম ক্ষতি করে তা আমরা দেখলাম। তাই এর সমাধান গুলিও আমাদের জেনে রাখা দরকার। কারণ অনেক সময়ই এমন হয় যে একবার ব্যবহার করা তেলের পরিমান এতো বেশি হয় যে সেটা ফেলে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই আসুন জেনে নেই ঠিক কি কি সাবধানতা অবলম্বন করলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও কম করা সম্ভব।
সঠিক তেল সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনাকে কম করা যেতে পারে। কতগুলি তেল আছে যেগুলি অনেক বেশি গরম হয়ে গেলেও পুড়ে যায় না, যেমন সানফ্লাওয়ার অয়েল, সয়াবিন অয়েল, রাইস ব্র্যন অয়েল, পিনাট অয়েল, সেসমে অয়েল, এছাড়া সর্ষের তেল ও খাদ্যযোগ্য নারকেল তেল গরম হলেও পুড়ে যায় কম। আবার অলিভ অয়েল খুব তাড়াতাড়ি পুড়ে যায়। ফলত এই তেলগুলি সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…