শীতকালে বিয়েবাড়ি থাকলে,শাড়ির সাথে সোয়েটার বা জ্যাকেট পরা নিয়ে কনফিউশনে ভোগেন নি এরম কাউকে খুঁজে পাওয়াই মুশকিল।শাড়ির সাথে কিভাবে জ্যাকেটটা পরব?নাকি শাড়িই পরব না!কিন্তু মন চাইছে শাড়ি।কিন্তু শাড়ির সাথে সোয়েটার বা জ্যাকেট পরা যায় নাকি?না পরলে আবার ঠাণ্ডাও লাগবে।ধুর!কি যে করি।এই সব ভাবতে ভাবতে অর্ধেক সময় শেষ। আরে জানি জানি এইরকম কনফিউশনে আমরা মেয়েরা সবাই ভুগি।কিন্তু আমি বলব,শাড়ির সাথেই আপনার জ্যাকেট বা ব্লেজারটা পরে নিন।কি ভাবছেন স্টাইলের দফারফা?না এটাই হবে আপনার এবারের স্টাইল স্টেটমেন্ট।জানেন কি এখন শাড়ির সাথে ব্লেজার বা জ্যাকেট পরাটা একটা নিউ ট্রেণ্ড?শাড়ির সাথে একটা জ্যাকেট বা ব্লেজার বা হাইনেক গেঞ্জি পুরো লুকটাই পাল্টে দিতে পারে।করে দিতে পারে আপনাকে আরও বেশি স্টাইলিশ।শাড়ির সাথে আপনার জ্যাকেটটা এমন ভাবে নিন,যাতে বিয়েবাড়িতে সবার চোখ আপনার স্টাইলের দিকে আটকে যায়।কিভাবে নেবেন?দেখে নিন।
শাড়ির সাথে ব্লেজার।কেউ ভেবেছে কখনও?কিন্তু দাশবাস শেখাচ্ছে আপনাকে কিভাবে স্টাইলিশ ভাবে নেবেন ব্লেজারটা শাড়ির সাথে।তবে এর জন্য শর্ট ব্লেজার হলে বেশি ভালো লাগবে।কিচ্ছু না।জাস্ট শাড়ি যেভাবে পরেন সেই ভাবেই পরে নিন পিনআপ করে।আঁচলে ছোট ছোট পিনআপ করবেন।সামনে অনেক ছোট ছোট কুঁচি করলে ভালো লাগবে।শাড়ি পরে ব্যাস এর ওপর শর্ট ব্লেজারটা পরে নিন।অবশ্যই বোতাম খুলেই রাখবেন।দারুণ স্টাইলিশ একটা লুক।তার সাথে ঠাণ্ডাও গেল।
জ্যাকেট তো হল,কিন্তু যদি সেটা হয় হাইনেক সোয়েটার তাহলে?তাহলেও চিন্তা নেই।এটাও খুব স্টাইলিশ করে পরা যাবে।গেঞ্জিটা ব্ল্যাক হলে বেশি ভালো লাগবে।শাড়ির কুঁচিটা আগে করে নিন।তারপর হাইনেক সোয়েটারটা পরে নিন।এবার আঁচলটা করুন পিনআপ করে।সরু করে পিনআপ করুন।এর সাথে পরে নিন একটা সিলভার নেকলেস।দুর্দান্ত স্টাইল!শাড়ির সাথে হাইনেক গেঞ্জিও যে এরম স্টাইলিশ করে পরা যায়,সেটা আগে কেউ দেখেছে?বিয়েবাড়িতে অনেকেরই কিন্তু চোখ আটকে যাবে আপনার দিকে।
শর্ট জ্যাকেট নেই?সবই লং?তাহলেও চিন্তা নেই।এটাও হতে পারে আপনার স্টাইল স্টেটমেন্ট।এর জন্য প্রথমে শাড়ির কুঁচি করে নিন।ছোট ছোট করে কুঁচি করবেন।তারপর আঁচলটা করে রাখুন।করে কাঁধের ওপর রাখুন।এবার লং জ্যাকেটটা পরুন।পরে আঁচলটা বাইরে বার করুন।বাইরে জ্যাকেটের ওপর পিনআপ করুন।ব্যাস শীতও গেল,আবার স্টাইলটা জম্পেস হল।
সোয়েটার বেল্ট দেওয়া?কিন্তু তাতে কি,শাড়ির সাথে যদি ম্যাচ করে তাহলে পরতে আপত্তি কোথায়।তবে হ্যাঁ এমন সোয়েটার কিনবেন,যাতে তার বেল্ট খোলা যায়।এটা দুরকম ভাবে পরা যায়।শাড়ি পরে নিন।আঁচলটা ছোট করে কুঁচি করে নিন।এবার কোমরে জ্যাকেটের বেল্টটা পরে নিন।আর সোয়েটারটা তার ওপর পরে নিন।বোতাম খোলা রেখে দিন সোয়েটারের বা যদি একান্তই বেল্ট খোলা সম্ভব না হয় তাহলে প্রথমে শাড়ি পড়ে নিন।তার ওপর সোয়েটার বা জ্যাকেটটা পরুন।এবার আঁচলটা সোয়েটারের ওপর দিয়ে বাইরে লাগান।এরপর বেল্টটা লাগান।বিয়েবাড়িতে আপনার স্টাইলের প্রশংসায় ঝুলি ভরে যাবেই।
সোয়েটার বা জ্যাকেট যদি হাতকাটা শর্ট হয়,তাহলে প্রথমে শাড়ির কুঁচি করে নিন।এরপর জ্যাকেটটা পরে নিন।জ্যাকেটের বোতাম আটকে দিন।তার ওপর এবার আঁচলটা পিনআপ করুন।আঁচল সরু করে করবেন।ভালো লাগবে।দুর্দান্ত স্টাইল।
সোয়েটার যদি হয় একটু ডিজাইন করা,তাহলে তো কোনো চিন্তাই নেই।বিশেষত যদি সামনেটা কাজ থাকে,তাহলে শাড়ির আঁচলটা অন্যরকম করে নিন।শাড়ির কুঁচিটা আগে করে নিন।তারপর জ্যাকেট বা সোয়েটার পরে নিন।এরপর আঁচলটা সামনে দিকে পিনআপ না করে,আঁচলটা পিছন দিক দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে আসুন।আপনার বাম কাঁধের ওপর পিনআপ করুন।তারপর সামনের দিকে ঝুলিয়ে দিন।অসাধারণ একটা লুক।
যদি একান্তই শাড়ির সাথে জ্যাকেট বা সোয়েটার পরতে মন না চায়,তাহলে এক কাজ করুন,একটা জ্যাকেট ব্লাউজ তৈরি করে রেখে দিন।শাড়ির সাথে জ্যাকেট ব্লাউজ কিন্তু এখন ফ্যাশনে মারাত্মক ইন।ব্যাস এবার আপনার ইচ্ছা মত শাড়ি পরুন জ্যাকেট ব্লাউজের সাথে।হাই ফ্যাশনেবল লুক,সঙ্গে শীতের জন্যও বেশ ভালো অপশন।
কি এবার আর কনফিউশন নেই নিশ্চয়ই।শিখে গেলেন তো কিভাবে আপনার জ্যাকেটটা নেবেন শাড়ির সাথে?ব্যাস স্টাইলও দুর্দান্ত আবার ঠাণ্ডায় নো চিন্তা।এভাবেই আপনাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে থাকবো।আর দুর্দান্ত স্টাইলের সন্ধান দিতে থাকবো।তাই চোখ রাখুন আমাদের দিকে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…