শীতের মরসুম মানেই সাজগোজ করার অনেক সুযোগ। কারণ শীতকাল মানেই দু-চারটি বিয়ে বাড়িতে নেমন্তন্ন থাকবেই, তা সে নিজের বাড়িতেই হোক বা বন্ধুর বাড়িতেই হোক বা নিকট আত্মীয়ের বাড়িতেই হোক। বিয়েবাড়িতে কিন্তু বেশ একটা জমকালো সাজ না হলে একেবারেই চলে না।
বিশেষ করে বিযে যদি শীতকালে হয় তাহলে সাজগোজ একটু জম্পেশ করে করাই যায়। কারণ শীতে মেকআপ গলবার কোনো চান্স থাকে না। তাই শীতের বিয়েবাড়ির সাজ কিন্তু আমার বেশ পছন্দের। আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে চলে এসেছি বিয়েবাড়ির সাজের সহজ ৫ টি টিপস। এই টিপস আপনি মেনে চললে কিন্তু আপনার সাজ হবে একেবারে পারফেক্ট।
বিয়েবাড়িতে কিন্তু ম্যাড়মেড়ে সাজ একেবারেই ভালো লাগে না। বিশেষ করে পার্টি যদি রাতে হয় তাহলে তো একেবারেই নয়। তবে তার জন্য সব মিলিয়ে আপনার সাজ হতে হবে একেবারে টিপটপ। তাই প্রথমেই বেছে নিন কী পরতে চাইছেন। যদি আপনার পছন্দের তালিকায় থাকে শাড়ি, সেক্ষেত্রে একটু ব্রাইট রং কিন্তু বেশ ভালো মানাবে। যদি শাড়ি প্লেন ও হালকা হয় তাহলে ব্লাউজ কিন্তু হতে হবে ব্রাইট। কারণ এখন কিন্তু মিক্স অ্যান্ড ম্যাচই হিট। এছাড়া আপনার চয়েস সালোয়ার বা লেহেঙ্গাও হতে পারে। বিয়ে বাড়ি যাবার আগে যাতে গালে হাত দিয়ে ভাবতে বসতে না হয় তার জন্য আগে থেকেই কিন্তু ড্রেস পরিপাটি করে ঠিক করে রাখা উচিত।
বিয়েবাড়ি যাচ্ছেন অথচ আপনার হাত ও পা দুটি একেবারে কাজ করে করে বিশ্রী অবস্থায় আছে তা কিন্তু চলবে না। হাত-পা ভালো করে পরিষ্কার করুন। পারলে একবার ‘দাশবাসে’র টিপস ফলো করে বাড়িতেই ১ দিন বা দু’দিন আগে ম্যানিকিওর, পেডিকিয়র করে ফেলুন। হাতে ও পায়ের নখে সুন্দর করে নেলপলিশ লাগিয়ে নিন।
কী গয়না আপনি পরতে চান তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন এবং তা অবশ্যই হওয়া চাই আপনার ড্রেসের সাথে একেবারে ম্যাচিং। সোনার গয়না যেমন ভালো লাগে তেমনি জাঙ্ক বা সিলভার ওর্নামেন্টও আজকাল ফ্যাশনে ইন। যেমন আপনার শাড়িটি যদি প্লেন এবং সিম্পল হয় সেক্ষেত্রে তার সাথে হেভি জাঙ্ক জুয়েলারি সবথেকে বেশী ভালো লাগবে। তা নেকপিস হতে পারে বা একটু লম্বাও হতে পারে। এছাড়া হাতে কী পরতে চাইছেন আপনার শাড়ি বা সালোয়ার বা অন্য কিছুর সাথে তা ম্যাচ করে গুছিয়ে রাখুন আগের থেকেই।
শাড়ি বা গয়না যতটা ইম্পর্টেন্ট ততটাই ইম্পর্টেন্ট হলো তার সাথে ম্যাচ করা জুতো ও ব্যাগ সিলেক্ট করা। আপনার জুতো ও ব্যাগও কিন্তু হওয়া চাই আপনার সাজের সাথে একেবারে ম্যাচ। তাহলেই কিন্তু বিয়েবাড়ির সাজ কমপ্লিট হবে।
এবার সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হলো আপনার মেকআপ। এটা নির্ভর করে আপনার সময়ের ওপর। মেকআপ করতে পার্লারে যেতেই পারেন। না হলে বাড়িতেই ব্যাপারটা সেরে ফেলতে পারেন।
প্রথমেই আপনার ত্বক পরিষ্কার করে স্ক্রাব করে নিন। এতে ডেড সেলগুলি পরিষ্কার হয়ে যায়। এবার মুখ ধুয়ে ভালো করে মুখ ময়েশ্চারাইজ করে নিন। ১০ মিনিট পর প্রথমে প্রাইমার এবং পরে ফাউন্ডেশন প্রয়োগ করুন। শীতকালে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করাই ভালো। এতে আপনার ত্বক রুক্ষ দেখতে লাগবে না। মেকআপ ভালো করে ব্লেন্ড করে চোখের মেকআপ করে নিন। আইশ্যাডোর শেড আপনার ড্রেসের সাথে ম্যাচ করে বেছে নিন। নেক্সট, লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। মুখের মেকআপ শেষ।
এবার পছন্দ মত হেয়ার স্টাইল করে ফেলুন এবং সব শেষে শাড়ি বা যে ড্রেস আপনি বেছে রেখেছেন সেটা পরে একবারে রেডি হয়ে নিন।
বিয়ে বাড়িতে সাজগোজ করুন এই টিপসগুলি মাথায় রেখে। এতে আপনার সাজতেও সময় লাগবে না এবং সাজও হবে একেবারে টিপটপ। এবং সবার নজর শুধু নববধু বা বর নয়, থাকবে আপনার ওপরেও!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…