আপনার কি অল্পেতেই শরীর খারাপ হয়? বা ঠাণ্ডা লাগে? আসলে বাইরের দূষণ ও আমাদের রোজকার অনিয়মিত জীবনযাত্রা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু খাবার আছে যা প্রতিদিন খেলে, আমরা শুধুই ভালো থাকব না, এইসব রোগের হাত থেকে বাঁচাও সম্ভব হবে। কি সেটি? সেটি হল বিট। অনেকেরই অপছন্দ নিশ্চয়ই? কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে চমকে যেতে হয় বইকি। আসুন তাহলে দেখেনি বিট কেন উপকারি এত।
বিটে আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ক্লোরিন, আয়রন ও সোডিয়াম সহ নানা উপকারি উপাদান। যা ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে অ্যানিমিয়া, উচ্চ রক্তচাপ ও থাইরয়েডের মত সমস্যার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উপকারি।
যাদের রক্তাল্পতার সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিট খুব উপকারি। কারন এতে আছে প্রচুর আয়রন। রক্তাল্পতা কমায়। শরীরে প্রয়োজনীয় রক্তের যোগান দেয়। এবং অনিয়মিত খুব কম পিরিয়ড যাদের হয় তাদের খেত্রেও উপকারি। অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও বিট শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। কিন্তু হাতের কাছে এমন একটি খাবার আছে যা এই সমস্যার ক্ষেত্রে দারুন উপকারি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি করে বিট খেলে বা বিটের রস পান করলে, উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। এটি ওষুধের থেকেও ভালো কাজ করে। এতে থাকা নাইট্রেট নামক উপাদান এই কাজটি করে। শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। স্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচায়।
এখন ফাস্ট ফুডে অভস্ত্য জীবনে লিভারের অবস্থা খুবই খারাপ হয়। বিট হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বদহজম ছাড়াও, এটি পেটের অন্যান্য রোগ যেমন জন্ডিস, ডায়রিয়া, প্রভৃতি রোগের ক্ষেত্রে খুব উপকারি। এটি ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে। লিভারের ফাংশানকে ভালো রাখে।
বিটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার হাত থেকে বাঁচায়। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বার করতে সাহায্য করে।
শরীরকে সুন্দর এবং ফিট রাখার জন্য রোজ জিম? তার সঙ্গে খান বিট। এটি পেশীর শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও খুব তাড়াতাড়ি এনার্জি আনতে খেতে পারেন বিটের রস। জিমের পর খুব ক্লান্ত লাগলে খেয়ে নিন একগ্লাস বিটের রস। মুহূর্তে এনার্জি আসবে।
বিট হাড়ের জন্যও উপকার। হাড়কে মজবুত রাখতে রোজ বেশি করে খান বিট। এটি ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে। হাড়ের যেকোনো সমস্যা রোধ করতে উপকারি। বেশি করে বিট খেলে, বয়স বাড়লে হাড়ের সমস্যায় ভুগতে হয়না।
ডিপ্রেশন দূর করতে বিটের বিটের মত উপকারি উপাদান খুব কমই আছে। মন ভালো না থাকলে খান বিটের সরবত। এতে থাকা বিটেইন ও ট্রিপটোফোন নামক উপাদান মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এটা কি জানেন বিট অ্যান্টি-এজিং হিসাবে কাজ করে? অবাক লাগছে? হ্যাঁ বিট ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে বেশ উপকারি। এছাড়াও বিট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ও অন্যান্য সমস্যা যেমন ব্রন, বলিরেখা দূর করে। উজ্জ্বল ত্বক পেতে রোজ একগ্লাস করে বিটের সরবত খেলে দারুন উপকার হবে।
তাহলে জেনে নিলেন বিটের উপকারিতা। এবার থেকে নিজেকে সুন্দর ও হেলদি রাখতে রোজ ডায়েট চার্টে রাখুন বিটের রস।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…