এই দিনে এই খাবে না, ওই দিনে ওই করবে না! বলুন তো, কাঁহাতক এই অত্যাচার মানা যায়? একটা হ্যাঁ বললে সঙ্গে দশটা না। তা মনে মনে হালুম হুলুম করে আর কি করবো! ভাবলুম দল পাকাই, নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা নিই। তাই আপনাদের সামনে দরবার করতে এসেছি বোগাস কাস্টমের বিরুদ্ধে। আমার হিট লিস্টে আছে এই পাঁচটি। দেখে নিন চটপট।
নিষেধ পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ কেউ মারা গেলে এক বছর চলে অশৌচ। এমনিতেও মৃত্যুর পরদিন থেকেই ছেলেকে সাদা কাপড় পরতে হয় দু’টুকরো করে। তাকে সবসময় হবিষ্যি খেতে হয়, তেল খাওয়া বারণ। মাথায় তেল মাখা, শ্যাম্পু করা বারণ। শ্রাদ্ধের দিন মাথা ন্যাড়া হয়ে শোক প্রকাশ করতে হয়, চুল রাখা যাবে না, দাঁড়ি রাখা যাবে না। যিনি মারা গেলেন তার স্ত্রীকে সাদা থান পরতে হবে ও নিরামিষ খেতে হবে। এক বছর কোনো মন্দিরে যাওয়া যাবে না। কোনো শুভ অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে না।
নিষেধ বাচ্ছা জন্মানোর পর এক মাস চলে আঁতুড়। এই সময়ে বাচ্ছা ও মা’কে এক সঙ্গে একটা আলাদা ঘরে রাখা হয়। বাড়ির সর্বত্র তাদের যেতে দেওয়া হয় না। এই সময়ে তাদের পুজোর কাজেও আসতে মানা করা হয়। উৎসব-অনুষ্ঠানেও যেতে দেওয়া হয় না। এই সময়ের পর পুজো করে বাচ্ছাকে ভালো ভাবে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পড়িয়ে সবার সামনে আনা হয়।
আমরা বৃহস্পতি বারে চুল কাটতে গিয়ে দেখেছি বাড়ির বড়রা আমাদের মানা করেন। এই একই বারণ আমরা শুনি শনি ও মঙ্গলবার সূত্রেও। বৃহস্পতি বার ধরা হয় লক্ষীর বার। তাই এই দিন কোনো রকম কাটাকাটি বা অঙ্গ থেকে কিছু বাদ দেওয়া খারাপ বলে মানা হয়। শনি বার দিন এই কাজগুলো করলে নাকি শনির দৃষ্টি লাগে, যাতে সংসারের অমঙ্গল হয়। আর, মঙ্গলের সঙ্গে দুর্ঘটনা, রক্তপাতের একটা যোগ করে থাকেন জ্যোতিষীরা। তাই চুল বা নখ কাটতে গিয়ে যাতে রক্তপাত না হয়, তার জন্যই প্রচলিত বিশ্বাস থেকে এই দিনগুলোতে চুল ও নখ না কাটার কথা বলা হয়।
বাড়ির বড়রা বলে থাকেন যে সন্ধ্যেবেলা মেয়েদের চুল খুলে রাখতে নেই, তা নাকি অশুভ। বরং সন্ধ্যেবেলা ভালো করে চুল বেঁধে পরিস্কার পোশাক পড়ে পুজো দিতে হয়। এবার এর পিছনে কি কারণ তা তো জানা নেই আমাদের। ধরা হয়, সন্ধ্যেবেলা মেয়েরা চুল খুলে রাখলে অশুভ শক্তি তাদের ওপর আক্রমণ করে, খারাপ হয় তাদের। এছাড়াও, আমরা তো জানি যে এই বিশ্বাসগুলো অনেক আগে থেকে তৈরি, সেই যখন গ্রাম ছিল সব। গ্রামে তো আলো ছিল না। তাই চুল খুলে রাখলে যদি চুল উড়ে এসে খাবারে পরে, তাই বলা হয় যে চুল বেঁধে রাখতে।
রাস্তার মাঝে সিঁদুর মাখানো লেবু-লঙ্কা পড়ে থাকলে তা মাড়াতে বারণ করা হয়। লেবু-লঙ্কা নজর দোষ কাটাতে ব্যবহার করা হয়। তাই সেই লেবু-লঙ্কা আপনার পায়ে লাগলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া লেবু-লঙ্কা সাধারণত পুজো করে লাগানো হয় দোকানে বা বাড়িতে। পুজোর জিনিস পায়ে দেওয়া আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। আর আমাদের তন্ত্র বা কালো যাদুতে বড় বিশ্বাস। কালো যাদু’তে লেবুর খুব প্রয়োগ। তাই লেবু-লঙ্কায় পা দিতে মানা করা হয়।
এই সবই আমাদের মধ্যে প্রচলিত ধারণা। আজ অবশ্য আমরা অনেক কিছুই মানি না। তাও বিশ্বাসগুলো যে একেবারে চলে গেছে তা তো নয়। যদি এই ধরনের সব বিধি-নিষেধ উঠে যায়, কি ভালোই না হয়!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…