পিজা, পাস্তা, নুডলস, বার্গার, ডোনাট, কেক, পেস্ট্রি, লুচি, পরোটা, মোগলাই, সিঙ্গারা সকলেরই প্রিয়। এই সবেরই মূল উপাদান হলো ময়দা। ময়দা আমাদের নিত্য দিনের খাবারে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। কিন্তু জানেন কি এই ময়দা আমাদের দেহে স্লো পয়সনিং এর কাজ করে। অবাক হচ্ছেন তো। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। অপরদিকে আটাতে তৈরী খাবারে খুব বেশি স্বাদ না থাকলেও তা শরীরের জন্য উপকারী। আজ জেনে নিন ময়দা না আটা কোনটি বেছে নেওয়া উচিত। আটা ও ময়দা উভয়ই গম থেকে তৈরী হয়। গম খোসা সমেত পিষে আটা তৈরী হয় আর গম খোসা ছাড়া পিষে ময়দা তৈরী হয়।
গম পিষে যখন আটা তৈরী হয় তখন তাতে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপদানগুলি মজুদ থাকে। যেমন ফাইবার, এই ফাইবার থাকার কারণে আটা দিয়ে তৈরী খাবার সহজ পাচ্য হয়। এছাড়া ফাইবার আমাদের হজমে সাহায্য করে, মেটাবলিসমকে বাড়িয়ে তোলে এছাড়া কনস্টিপেশনের সমস্যা হতে দেয় না। এছাড়া এই ফাইবার আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়তে দেয়না। অপর দিকে ময়দা তৈরী করার সময় গমের সমস্ত খাদ্যগুণগুলি নষ্ট হয়। ফলত হজম করার সমস্যা হয়। এছাড়া এই ময়দা অতিরিক্ত পরিমানে খেলে আমাদের শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। যা আমাদের হৃদযন্ত্র জনিত রোগের জন্ম দেয়।
আটাতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি ৩, ভিটামিন বি ৫ বর্তমান। এগুলি প্রত্যেকটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এগুলি শরীরে এনার্জি প্রদান করে এছাড়া নতুন রক্তকোষের জন্ম দেয়। ময়দাতে এই সমস্ত জরুরি ভিটামিন প্রায় সমস্তই নষ্ট হয়ে যায়। ফলত ময়দা আমাদের শরীরের কোনো উপকারেই লাগে না।
ময়দা আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে ইন্সুলিন কম মাত্রায় তৈরী হয়। ফলত আমাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাকে ত্বরান্নিত করে। এছাড়া ময়দা আমাদের খিদেকে বাড়িয়ে দেয়। এটি আমাদের শরীররে মেদ জমার একটি অন্যতম কারণ এর ফলে আমাদের ওজন বৃদ্ধি পায়। এই কারণে ডায়াবেটিক রোগীদের আটার রুটি খেতে বলা হয়ে থাকে।
ময়দা অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যাসিডক। কারণ ময়দা তৈরি করার সময় জরুরি নিউট্রিশনস ও ভিটামিন গুলি বেশিরভাগ মাত্রায় নষ্ট হয়ে যায় এবং একে অ্যাসিডক প্রকৃতির করে তোলে। যার ফলে এটি আমাদের শরীরে বর্তমান ক্যালসিয়ামকে ক্ষয় করতে থাকে, ফলত আমাদের শরীরে হাড়গুলির ঘনত্ব কমে যেতে থাকে। তাই ময়দা জাত দ্রব্য বেশি মাত্রায় খেলে আর্থারাইটিস এছাড়া আরো নানা ধরনের রোগের জন্ম দেয়। ওপর দিকে আটাতে ভিটামিন নিউট্রিশনসগুলি পুরো মাত্রায় বর্তমান থাকে। তাই শরীরের সামগ্রিক উন্নতির জন্য ভালো।
আটাতে খাদ্যগুণ বর্তমান থাকে তাই আমাদের রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে, ফলত হৃদযন্ত্র ভালো থাকে, এছাড়া নিয়মিত আটাজাত খাবার আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় আয়রনের অভাব পূরণ করে, এমন কি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ময়দাতে এই সমস্ত গুনগুলি অনুপস্থিত।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…