এইডস এক ভয়াবহ রোগ। যা আস্তে আস্তে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এটি এইচ আই ভি নামক এক ভাইরাস দ্বারা হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে যে, চুম্বনের দ্বারা কি ভাইরাস শরীরে ছড়াতে পারে? আসুন জেনে নি। এইচ আই ভি নামক এই ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করলে এই রোগ হয়। যেহেতু এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একদম কমে যায়, সেহেতু যেকোনো রোগে খুব সহজেই আক্রান্ত সম্ভবনা থাকে। আস্তে আস্তে এটি বাড়তে থাকে। চরম পর্যায়ে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এইচ আই ভি শরীরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই যে এইডস হয় তা নয়। তবে এই ভাইরাসকে শরীর থেকে পুরোপুরি দূর করাও এখনো সম্ভব হয়নি। তাই এইডস হয়েই থাকে। তবে এইডস এর পর্যায়ে পৌঁছতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে। কয়েক বছর লাগে। ওষুধ দিয়ে এই সময় সীমাকে বাড়িয়ে দেওয়া যায়। বা একে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এই ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই যেহেতু কিছু হয় না, তাই বোঝাও যায়না। বেশ কিছু বছর পর এইডস ধরা পরে।
এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে, প্রথম দিকে তেমন কিছু হয় না। তবে আস্তে আস্তে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। এবং শেষে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। তার ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বাক্তি মারা যায়। তবে কিছু লক্ষণ আস্তে আস্তে ধরা পরে।
প্রথম দিকে তেমন কিছু বোঝা যায় না। তবে ঘন ঘন জ্বর আসতে থাকে। তার সঙ্গে মাথা ব্যাথা করে। এবং ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়ির মত হতে থাকে।
জ্বর বাড়তে থাকে। শুকনো কাশি হয়। ওজন আস্তে আস্তে কমতে থাকে। এবং গাঁটে গাঁটে বাথা, ফুলে ওঠা এসব হয়।
শেষের দিকের লক্ষণ গুলো তীব্র হয়। জ্বর প্রায় দু থেকে তিন সপ্তাহ থাকে।
শরীরে প্রচণ্ড অস্বস্তি হয়। ডায়রিয়ার সমস্যা বেড়ে যায়। খুব ঘাম হয়। দৃষ্টিশক্তি চলে যায়।
এটি মূলত তরল থেকে ছড়ায়। যেমন, মা যদি আক্রান্ত হন তার মাতৃদুগ্ধ থেকে শিশুর শরীরে যেতে পারে। এবং এইডস হতে পারে।
রক্তের মাধ্যমে ছড়ায় এটি। যদি আক্রান্তের রক্ত কোন ভাবে সুস্থ্য মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। বা সিরিঞ্ছ থেকে ছড়ায়।
যোনিরস থেকে।
বীর্যের মাধ্যমে।
মশার কামড়ে।
একসাথে খাওয়া দাওয়া করলে।
একই থালায় খেলে।
একসাথে হাঁটলে হাত ধরলে।
একই জামাকাপড় পড়লে।
একই ঘরে থাকলে।
তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে চুম্বন কি এইডস ছড়ায়? সেক্ষেত্রে বলব না চুম্বনে এইডস ছড়ায় না। তাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে চুম্বন যায়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চলাই ভালো। যেমন, সাধারন চুম্বনে কিন্তু কিছুই হয়না।
তবে যদি ফ্রেঞ্চকিস বা ডিপ কিস হয় তাহলে সম্ভবনা থাকতে পারে। কারণ এর দ্বারা অনেক সময় ঠোঁটে রক্ত বেরিয়ে যায়। আর এই দুষিত রক্ত যদি একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যায়, তাহলে আক্রান্ত হবার সম্ভবনা থাকে। এছাড়াও যদি মুখে কোন ক্ষত, ঘা না থাকে তাহলে ছড়াবার কোন সম্ভবনাই নেই। তাই সাধারন চুম্বনে এইডস ছড়ায় না। তাই চুম্বনে ভয় পাবার কোন কারণ নেই।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…