আদা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। যেকোনো খাবার বানানোর জন্য আদা প্রয়োজন। খাদ্য গুনের দিক থেকেও আদা অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ। এর খাদ্য গুনের কারণে একে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। আজ আমরা জানবো আদার তেল সম্পর্কে। আদার তেল আমাদের চুল, ত্বক এবং শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সুন্দর, ঘন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য আদার তেলের কোনো প্রতিদ্বন্দী নেই। জেনে নিন ঘন কালো চুল পেতে আদার তেল কিভাবে সাহায্য করে।
খুসকি অল্পবিস্তর আমাদের সকলকেই বিব্রত করে। এর ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং এটি চুল পড়ার অন্যতম কারণ। অতিরিক্ত খুশকির ফলে আমাদের ত্বকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আদা প্রাকৃতিক ভাবেই এন্টিসেপ্টিকের কাজ করে। এছাড়া এতে বর্তমান উপাদানগুলি খুশকি হওয়ার কারণকে নির্মূল করতে সাহায্য করে। আদার তেল নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে ফাঙ্গি যা খুশকি হওয়ার মূল কারণ তা নির্মূল হয়। ফলত খুশকি থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। আদা তেলের সাথে অলিভ অয়েল বা তিলের তেল মিশিয়ে মাথায় ভালো করে মালিশ করলে খুশকির সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যেতে পারে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার তেলের মিশ্রণটি ব্যবহার করলে ভালো।
আদার তেলের নিয়মিত মালিশ মাথায় রক্ত চলাচলকে ঠিক রাখে। ফলত চুলের গোড়াগুলিতে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। যার ফলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া আদার তেলে থাকা বর্তমান ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আদার তেল ও জোজোবা তেল মিশিয়ে মাথায় ও চুলের গোড়ায় ভালো করে মালিশ করে ৩০ মিনিট পর ভালো করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এতে নতুন চুল গজায় ও চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়।
চুলের রুক্ষতার কারণে প্রায় আমাদের চুলের আগা গুলি ফেটে যায়। ফলে চুল খুব তাড়াতাড়ি পড়তে শুরু করে, দেখতেও খুব খারাপ লাগে। ইচ্ছে থাকলেও খোলা চুলে স্টাইল দুস্কর হয়ে ওঠে। আদার তেল এই সমস্যার খুব ভালো সমাধান। মাথায় শ্যাম্পু করার সময় ৩-৪ ফোঁটা আদার তেল মিশিয়ে শ্যাম্পু নিয়মিত করলে স্প্লিট এন্ড সমস্যাটি হয় না। চুল নরম এবং মসৃন হয়।
আদতে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম ,ম্যাগনেসিয়াম এছাড়া ভিটামিন উপস্থিত। ফলত আদার তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে আমাদের চুল পড়া কম করে। চুলের স্বাস্থ বৃদ্ধি করে। চুলের গোড়া মজবুত করে।
আদতে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট বর্তমান, ফলত আদার তেল নিয়মিত মালিশ ত্বকের ফ্রি রেডিক্যালগুলি থেকে লড়তে সাহায্য করে। যার ফলে স্কাল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, যার ফলে খুশকি এবং চুলপড়া কম হয়।
আদার তেল আমাদের চুলের জন্য প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। এতে বর্তমান জরুরি মিনারেলস এবং ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি দান করে। ফলত চুল নমনীয়তা হারাতে পারে না। চুল নরম, মসৃন এবং জেল্লাদার হয়ে ওঠে। নারকেল তেলের সাথে কয়েক ফোঁটা আদার তেল মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…