আমরা সকলেই খেতে খুব ভালোবাসি। যখনই আমরা ফাঁকা থাকি তখনই কিছু না কিছু আমরা জাঙ্ক ফুড খেতেই থাকি। যখন আমাদের বয়স কম থাকে, তখন আমরা এটা নিয়ে কিছুই ভাবি না। কিন্তু যতই আমাদের বয়স বাড়তে থাকে ততই আমরা নানা চিন্তায় ডুবে যাই। আমরা শরীর সম্বন্ধে ভাবতে শুরু করি। এর কারণ হল যত আমাদের বয়স বাড়ে ততই আমরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হই। এর মধ্যেই একটি হল কোলেস্টেরলের সমস্যা যেটা অনেক তেলতেলে খবার বা জাঙ্ক ফুড খেলে হয়। সমাধান খোঁজার আগে আসুন জানি কোলেস্টেরল কী।
কোলেস্টেরল হল একটি ফ্যাটি অ্যাসিড যা লিভারে তৈরি হয় আর এটি আমাদের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগে। কিছু যখন এটি পরিমাণে বেড়ে যায় তখন এটি শরীরের জন্য ক্ষতি ডেকে আনে। আয়ুর্বেদ কিন্তু কোলেস্টেরলকে শরীরের জন্য অপকারী নয়, বরং উপকারীই বলেছে। তবে কোলেস্টেরলের সঙ্গে টক্সিন বা আম বেশি যুক্ত হয়ে গেলে কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়।
মূলত হজমের সমস্যা হলে আম তৈরি হয় আর এটি সহজে শরীর থেকে বেরোয় না। যখন এই আমের পরিমাণ বেড়ে যায় তখন আমাদের শরীরের টিস্যুর উপর এর প্রভাব পড়ে আর তখনই কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা হয়। তবে আপনি নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানলে আর ভালো জীবন যাপন করলে কিন্তু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
না না, খাবার পর আপনাকে দৌড়তে বলছি না। কিন্তু তৈলাক্ত বা বেশি জাঙ্ক ফুড খাবার পর আপনি একটু হাঁটতে পারেন। ভারী ব্যায়াম তখন না করাই ভালো। এতে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরিও কিন্তু বার্ন হবে। ফলে খাবার পর হাঁটুন খানিক ক্ষণ।
খাবারের পর গরম জল খান। এটি আপনার তৈলাক্ত খাবারের প্রভাব অনেকটা কমিয়ে দেবে। অতিরিক্ত তেল আর ভাসবে না। ফলে লিভার, পাকস্থলী সবই খুব ভালো থাকবে। গ্যাসের সমস্যাও আর হবে না।
খাবার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমোতে যাবেন না। চেষ্টা করুন খাবার অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমোতে যাবার। খবারের পর সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোতে গেলে খাবারের থেকে এনার্জি পুরোটা কনসিউম হয় না আর তা ফ্যাট আকারে শরীরে জমা হয়। এটি কিন্তু কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়।
তৈলাক্ত কিছু খাবারের সঙ্গে সঙ্গেই যদি ঠাণ্ডা পানীয় বা আইস ক্রিম খান, তাহলে কিন্তু বিপরীত প্রভাব পড়ে লিভার আর পাকস্থলীর উপর। গ্যাসের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। আর কোলেস্টেরলও মাত্রা ছাড়াতে পারে।
এখানে কয়েকটি আয়ুর্বেদিক জিনিসের কথা বলা হল যা আপনার কোলেস্টেরলের সমস্যার থেকে আপনাকে সহজেই মুক্তি দেবে।
তেলতেলে খাবার বেশি খাওয়া হয়ে গেলেই গরম জলের সঙ্গে ত্রিফলার গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন। সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি খুব কার্যকরী হজমের ক্ষেত্রে।
এটিও একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা কোলেস্টেরল কম করে আর কোলেস্টেরলের ক্ষতিকর প্রভাব কমায়। আপনি বাজারে ট্যাবলেটের আকারে এটি পাবেন। তবে খাবার আগে ডাক্তারের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
এটি ফ্যাট জমার থেকে আপনার লিভারকে রক্ষা করে। যেহেতু এটি খানিক ঝাল হয়, তাই আপনি এটি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু বার খান। তিন থেকে চার দিন এটি আপনি খেতে পারেন।
আয়ুর্বেদ মতে মধু নাকি খুব ভালো অ্যান্টিডট তৈলাক্ত খাবারের জন্য। তাই যখনই মনে হবে সমস্যা হচ্ছে জাঙ্ক ফুড খেয়ে, মধু খেয়ে নিন গরম জলে গুলে। সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা মিটবে।
এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই আপনার হজমের সমস্যা থাকবে না আর আপনি কোলেস্টেরলের থেকে মুক্ত হয়ে চলতে পারবেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…