ভিটামিন সি ,যাকে আমরা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড নামেও চিনি, এই ভিটামিন সি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং অবশ্যই দরকারী। আমাদের শরীর সরাসরি ভাবে ভিটামিন সি কে সংশ্লেষণ করতে পারেনা। তাই আমাদের ভিটামিন সি যুক্ত খাওয়ার খেয়ে শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদা মেটাতে হয়। টক জাতীয় ফল বা প্রচুর ধরণের শাক সবজিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। তাহলে এখন কিছু ফল,সবজি বা অন্য ধরণের খাওয়ার দেখে নেওয়া যাক যেইখানে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
সবচেয় বেশী পরিমানের ভিটামিন সি পাওয়া যায় টক জাতীয় ফলে। টক ফল যেমন লেবু,আঙুর ইত্যাদি খেলে আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব হয় না।
ফুলকপিতেও প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যদিও ফুলকপি শীত কালের সবজি কিন্তু এখন মোটামুটি সারা বছর ধরেই ফুলকপি পাওয়া যায়। তাই ফুলকপি যেমন সুস্বাদু তেমনই আমাদের স্বাস্থ্যের ও খেয়াল রাখে কারণ ফুলকপিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে।
আনারস ফলটি আমাদের সবারই প্রিয়। আনারসের রস খেতে কে না ভালোবাসে? আবার আনারসের টুকরো করে সেটাতে নুন ছিটিয়ে দিলে আনারস থেকে আর দূরে থাকা সম্ভব হয় না খাওয়ার ইচ্ছে বেড়ে যায়। আচ্ছা এইবার যদি জানতে পারি যে আনারসে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি পাওয়া যায় তাহলে? আর কিছু না ভেবে কালকেই অনারস কিনে নিয়ে আসবেন তাই তো?আমিও কিন্তু তাই করব।
টমেটোতে অফুরন্ত ভিটামিন সি থাকে। টমেটো আমরা নানান ভাবে খেতে পারি যেমন রান্না করে,সালাডে দিয়ে ইত্যাদি। তাই টমেটো যখন একটি সুস্বাদু খাবারের সাথে সাথে ভিটামিন সি এরও ভান্ডার তখন টমেটো খেতে দোষ কি?
ব্রকোলিতে ভিটামিন সি থাকে।তাই সবুজ রঙের এই সবজিটি আমরা খেতেই পারি আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করার জন্য।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সবজি এবং ফলে ভিটামিন সি আছে যেমন আম,তরমুজ, পেপে।
তাহলে আমরা জেনে নিলাম যে কোন কোন খাবারে সবচেয় বেশী পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। এইবার জানা যাক ভিটামিন সি এর অভাব আমাদের শরীরে কি কি রোগ ডেকে আনে। ভিটামিন সি এর অভাবে প্রথম কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহে বোঝা যায় না। বছরের পর বছর যদি আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব থাকে তাহলে সেটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে। বহু বছর ধরে ভিটামিন সি এর অভাব হলে স্কার্ভি রোগের জন্ম হতে পারে। স্কার্ভি রোগটি আমাদের শরীরকে অত্যন্ত দুর্বল করে তোলে। স্কার্ভি সবসময়ই আমাদের প্রচন্ড ক্লান্তু এবং এক অনুভূতি এনে দেয়।
স্কার্ভির বাইরেও ভিটামিন সি এর অভাবে এমন কয়েকটি রোগ হয় যা সহজে ধরা যায় না। যেমন শুষ্ক চুল, চুলের ডগা ভেঙে যাওয়া, শুষ্ক ত্বক, দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং মাড়িতে খুব ব্যাথা হওয়া, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, সন্ধিস্থলে ব্যাথা হওয়া, নাক থেকে রক্ত পরা ইত্যাদি।
শুধু উপরের কয়েকটি উল্লেখিত রোগ না, ভিটামিন সি এর অভাব আমাদের শরীরে আরো মারাত্বক রকমের রোগ নিয়ে আসে যেমন হাই ব্লাড প্রেসার, স্ট্রোক, গলব্লাডারের অসুখ ইত্যাদি।
আমাদে শরীরকে সুস্থ্য রাখতে এবং বিভিন্ন জীবাণুর সাথে লড়তে আমাদের উচিত প্রচুর পরিমানের ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া। কিছু ফল যেমন পেয়ারা, কলা, লেবু, আঙুর, স্ট্রবেরি খাওয়া খুবই দরকার যার মধ্যে অতিরিক্ত পরিমানে ভিটামিন সি আছে। এই ফলগুলো কিন্তু কাঁচা খাওয়াই উচিত। সিদ্ধ করে খেলে ফলের অনেকটা পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করতে হবে যে সেই সব ফল বা সবজি কাঁচা খাওয়া যাতে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…