আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমরা সকলেই চাই একটা চাকরি। নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী এবং ভালো করে দিন কাটাবার মতো একটা চাকরি না পেলে তাই আমাদের সকলেরই খুব একটা যে ভালো পরিস্থিতি থাকে তা নয়। তার উপর আবার থাকে পারিবারিক চাপ, সামাজিক চাপ। সব সময়ে যে প্রথাগত পড়াশোনার মাধ্যমেই চাকরি আমরা পাব তা নাও হতে পারে। এর জন্য দরকার হয় কিছু বিশেষ প্রশিক্ষণ। একজন চাকরিপ্রার্থী ঠিক যে যে ভাবে নিজেকে তৈরি করতে পারে বা করা উচিৎ সেই সব দিক খুলে দিতেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রয়াস যুব উৎসাহ প্রকল্প। এর মাধ্যমে সহজেই সাহায্য পেতে পারেন যুবক-যুবতীরা। তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক ঠিক কীভাবে আপনি পেতে পারেন এই সুবিধে।
এই প্রকল্পটি সম্বন্ধে আগে একটু জেনে নেওয়া দরকার। ২০১৩ সালে এই প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমাদের সামনে আনেন। যুবক-যুবতীদের সাহায্য করার জন্য একটি ‘এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক’ তৈরি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। মূলত এটি একটি ওয়েব পোর্টাল। এর মাধ্যমে আপনি আপনার নাম নথিভুক্ত করাতে পারবেন। আর সেখান থেকেই আপনি সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য পাবেন। এই সমগ্র বিষয়টি দেখাশোনা করা হয় শ্রম দফতরের তরফ থেকে।
এই প্রকল্পের আওতায় সাহায্য পাওয়ার জন্য আপনাকে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
১. যে বছর আপনি আবেদন করছেন সেই বছরের ১ এপ্রিল আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর আর সর্বোচ্চ ৪৫ বছর হতে হবে।
২. আবেদনকারীকে অন্তত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করতেই হবে।
৩. আবেদনকারী যদি ইতিমধ্যেই কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের আওতায় সাহায্য পান বা কোনও লোন নিয়ে থাকেন তাহলে তিনি এই সাহায্য পাবেন না।
৪. পরিবারের একজনই এই সাহায্য পেতে পারেন।
৫. আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসী হতে হবে।
৬. আবেদনকারীকে অবশ্যই ‘এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক’এ নাম নথিভুক্ত করাতে হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় আপনি অর্থ আর শিক্ষা দুইই পেতে পারেন।
১. আবেদন যিনি করছেন তিনি প্রতি মাসে সরকারের পক্ষ থেকে ১৫০০ টাকা করে পাবেন।
২. আবেদনকারীর থেকে এই আশা করা হবে যে বিভিন্ন সরকারি আর বেসরকারি তরফে যে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম হয় তাতে তিনি অংশগ্রহণ করবেন। কাজ শিখবেন আর তা ব্যবহার করে নিজের পেশার দিকে এগিয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে আবেদন করার পদ্ধতি খুবই সহজ। শুধু কয়েকটি ধাপ আপনাকে মেনে চলতে হবে।
১. গুগুলে ‘Yuva Utsaha Prakalpa’ বলে সার্চ করুন। দেখবেন ‘Employment Bank’ বলে একটি পেজ খুলবে।
২. সেখানে গিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম বা Annexure II ডাউনলোড করুন। এই ফর্মে এবার আপনার নাম, ঠিকানা সহ যা যা জানতে চাওয়া হয়েছে তা সব পূরণ করুন।
৩. Annexure III ডাউনলোড করে তা কোনও গ্রুপ এ অফিসারের থেকে সই করাতে হবে।
৪. এই সব আপনি উপযুক্ত নথি সহ জমা দিন এস.ডি.ও অফিসে বা কলকাতার ক্ষেত্রে ডাইরেক্টর অফ এমপ্লয়মেন্ট অফিসে।
৫. যারা আবেদন করার পর মনোনীত হয়েছেন তারা প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর Annexure III এস.ডি.ও অফিসে বা কলকাতার ক্ষেত্রে ডাইরেক্টর অফ এমপ্লয়মেন্ট অফিসে জমা করবেন যাতে আপনার আবেদন যথাযথ থাকে।
৬. আবেদনকারীর অবশ্যই নিজের নামে একটি সরকারি ব্যাঙ্কে বই থাকতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রথম এক লক্ষ আবেদন দেখা হয় মনোনয়নের জন্য। সমস্ত তথ্য এস.ডি.ও বা কলকাতার ক্ষেত্রে জয়েন্ট ডাইরেক্টর অফ এমপ্লয়মেন্ট খতিয়ে দেখেন। তারপর চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়। সেই তালিকায় আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, এনরোলমেন্ট নম্বর, বাড়ির প্রধানের নাম, আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আর এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকে। সব তথ্য যথাযথ হলে তবেই কিন্তু এই অর্থ বা সাহায্য পাওয়া সম্ভব।
তাহলে এখন আর সময় নষ্ট নয়। এক্ষুনি গিয়ে আবেদন করুন আর আপনার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের সাহায্যের হাত আঁকড়ে ধরুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…