মহালয়ার দিন আশ্বিনের শারদ প্রাতে শুনলেই পুজো পুজো গন্ধ আমাদের নাকে আসে। আর তো এক সপ্তাহ পরেই পুজো। কিন্তু এই সব হিসেব ২০২০ সালে খাটবে না। মহালয়ার প্রায় ৩৫ দিন পর এবার পুজো শুরু হচ্ছে। কিন্তু এমন হওয়ার কারণ জানেন কী? বিশেষ কারণেই এই ১৪২৭ বঙ্গাব্দে মহালয়ার এক মাস পর শুরু হচ্ছে দুর্গা পুজো।
২০২০ সালে বা বাংলা ১৪২৭ বঙ্গাব্দে মহালয়া ১৭ সেপ্টেম্বর। আর দেবীর বোধন বা মহাষষ্ঠী পড়ছে ২২ অক্টোবর। এবার তাই আর আশ্বিনে পুজো হচ্ছে না। ২২ তারিখ মহাষষ্ঠী হল ৫ই কার্তিক। শরতের দুর্গাপুজো এবার তাই হেমন্তে হচ্ছে। তবে এই যে প্রথম এমন হচ্ছে তা কিন্তু নয়। জানা গেছে, ১৯৮২ আর ২০০১ সালেও নাকি এরকম মহালয়ার বেশ পড়ে দুর্গাপুজো হয়েছিল।
আমাদের হিন্দু শাস্ত্র মতে যদি কোনও মাসে দুটি অমাবস্যা পড়ে যায়, তাহলে সেটি হয় মলমাস। ১৪২৭ বঙ্গাব্দ বা এই ২০২০ সালে আশ্বিন মাস হয়ে গেছে মলমাস। আশ্বিন মাসের ১ তারিখ পাচ্ছে মহালয়া অমাবস্যা। আর আশ্বিনের ২৯ তারিখ বা ১৬ অক্টোবর হল আরেক অমাবস্যা। এই দুই অমাবস্যার মধ্যে পড়ে দুর্গাপুজো এবার পিছিয়ে হয়ে যাচ্ছে কার্তিকে।
মলমাসে যে কোনও শুভ কাজ নিষিদ্ধ। আর বাঙালি জীবনে দুর্গাপুজোর মতো শুভ তো আর কিছু নেই। আর এই বছরে ১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে চতুর্মাস। চতুর্মাস কী! হিন্দু নিয়ম অনুযায়ী, দেবশয়নী একাদশী থেকে শুরু করে দেব প্রবোধিনী একাদশী পর্যন্ত এই চার মাস হল চতুর্মাস। এই সময়ে কোনও মঙ্গল কাজ করতে নেই।
দেবশয়নী একাদশীর দিন নাকি বিষ্ণু পাতালে চলে যান নিদ্রা যোগে। সেই সময়ে নাকি মহাদেব শিব আমাদের পৃথিবীর পালন করেন। এবার এই চতুর্মাস চারমাসের পরিবর্তে হয়ে গেছে পাঁচ মাসের। তাই আশ্বিনের পরিবর্তে এবার পুজো কার্তিকে। এই চতুর্মাসকেই মলমাসও বলা হয়।
প্রতি তিন বছরে নাকি একবার মলমাস আসে। হিন্দু ক্যালেন্ডার মতে, একটি সূর্যবর্ষ ৩৬৫ দিন আর প্রায় ৬ ঘণ্টা মতো হয়ে থাকে। মানে সূর্যের চারদিকে পৃথিবী একবার ঘুরতে এই সময় নেয়। আর চন্দ্রবর্ষ হয় ৩৫৪ দিনের। এই দুইয়ের মধ্যে মোটামুটি পার্থক্য হয় ১১ দিনের। তিন বছর পর এই ১১ দিন তিনবারে ৩৩ দিন হয়ে যায়। অর্থাৎ প্রায় এক মাসের একটা পার্থক্য তৈরি হয়ে যায়। এই অতিরিক্ত মাসের পার্থক্য দূর করার জন্য তিন বছর পর একবার অধিমাস বা মলমাস ধরে নেওয়া হয়। এই বছর আশ্বিন মাসে সেই অধিমাস বা মলমাস পড়ে গেছে।
মলমাস অশুভ ধরা হয় কারণ এই সময়ে কোনও শুভ কাজ হয় না। মলমাসে বলা হয় দেবতারা নিদ্রিত থাকেন। এমনিতেই যে সময়ে দুর্গাপুজো হয় সেই সময়টাই দেবতাদের নাকি নিদ্রার সময়। দেবতাদের জাগরণের সময় বসন্তকাল। তাই দেবীর অকালবোধন হয় এই শরতে। তার মধ্যে আবার যদি মলমাস পড়ে তাহলে তা অতীব অশুভ ধরা হয়। দেবতাদের ক্ষমতাও নাকি এই সময়ে ক্ষীণ থাকে। সেই কারণেও এই মলমাসে পুজো করা বিধেয় নয় শাস্ত্র মতে।
তবে যাই হোক, আমরা বাঙালিরা দুর্গাপুজো আসলেই মেতে উঠবো তা বলাই বাহুল্য। করোনার মধ্যে যদিও আমরা সাবধান থেকেই উৎসব পালন করব। আর বলে না, মা যা করেন ভালোর জন্যই করেন। একমাসের মধ্যে করোনাও হয়তো খানিক প্রকোপ কমাবে। তাই আমরা এখন দিন গুনতে শুরু করি বরং।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…