সুন্দর, কোমল, নিটল হাত দেখতে যেমন সুন্দর লাগে, তেমনি যেকোন গয়না হাতে বেশ মানিয়ে যায়। হাতের ত্বক সুন্দর, কিন্তু নখের যাচ্ছেতাই অবস্থা, তাহলে কিন্তু হাতের আসল সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে যায়, সেইসাথে সার্বিক সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তখন নেইলপলিশ লাগালেও নখ বিশ্রী দেখায়।
তেল-মশলা থেকে হাতের নখ হলুদ হয়ে যায়, নখের নিচে ময়লা জমে নখ কালো দেখায়। অতিরিক্ত নেইলপলিশ ব্যবহার, রোগবালাই, বা সঠিক যত্নের অভাবেও নখ বিবর্ণ হয়ে যায়, ভেঙে যায়। ঘরে থাকা উপাদান দিয়ে অল্প সময়ে পাবেন সুন্দর নখ এবং সেইসাথে আকর্ষণীয় হাত। আজকের আয়োজনে থাকছে নখ পরিষ্কার ঝকঝকে সাদা বানানোর ঘরোয়া টিপস।
বেকিং সোডা নখ সাদা করার আরেকটি কার্যকরী উপাদান৷ সাথে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ব্যবহার করলে পাবেন ধবধবে সাদা নখ। তবে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ঘন ঘন ব্যবহার করা উচিত না, অনেকদিন গ্যাপে করলে ভালো হয়। আর বেকিং সোডা ব্যবহারের পর অবশ্যই নখের কোণাগুলো ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে, নয়তো সোডা জমে নখের ক্ষতি হবে।
• ছোট একটি প্লাস্টিকের বাটিতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা, ১ চা চামচ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, এবং ১২৫ মিলি গরম পানি মেশান। পাউডারগুলো পানিতে ভালোমতো না মেশা পর্যন্ত চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন। তারপর এই মিশ্রণে নখ ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। এরপর হাত শুকিয়ে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগাবেন। নয়তো হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড হাতের ত্বক রুক্ষ বানিয়ে ফেলবে।
• আড়াই টেবিল চামচ বেকিং সোডা, ১ টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, আর পরিমাণমতো পানি নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার কটন বাডের সাহায্যে এই মিশ্রণ নখের উপরে এবং নিচে লাগিয়ে নিন। ৩ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে হাত ধুয়ে নিন এবং ময়েশ্চারাইজার লাগান। প্রতি ৬ সপ্তাহ পর পর এই মিশ্রণ ব্যবহার করবেন। আস্তে আস্তে নখ সাদা হতে থাকবে।
• ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডার সাথে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ১০ মিনিট নখে রেখে এরপর ধুয়ে ফেলুন। তারপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
এটি মূলত দাঁত সাদা করার একটি ট্যাবলেট, কিন্তু এটি নখেও কাজ করবে। ডেনচার ক্লিনারে থাকে ডিলিউট সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট, যা কোমল ব্লিচ নামে পরিচিত। এই ট্যাবলেট যেকোন শক্ত পৃষ্ঠ থেকে (যেমন দাঁত, নখ) দাগ তুলে নেয়। ১ কাপ গরম পানিতে ১টি ডেনচার ক্লিনার ট্যাবলেট ফেলে দিন। ট্যাবলেট সম্পূর্ণ গলে গেলে ঐ মিশ্রণে নখ ৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এরপরে উষ্ণ গরম পানিতে হাত ধুয়ে শুকনো তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চেপে চেপে হাত মুছে নিন। সপ্তাহে ২ বার এই ট্যাবলেট ব্যবহার করবেন।
সাদা ভিনেগার নখের দাগ হালকা করে, কিন্তু রঙিন ভিনেগার উল্টো নখে দাগ তৈরি করে৷ তাই ভিনেগার ব্যবহারের সময় সাবধান। সাদা ভিনেগারে থাকা মাইল্ড এসিড দাগ তোলার কাজটি করে থাকে। ১ কাপ গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে নিন। তারপর এই পানিতে নখ ৭-৮ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন এবং পরে কুসুম গরম পানিতে হাত ধুয়ে ফেলুন। শুকনো তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চেপে চেপে মুছে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন।
টুখপেস্ট দিয়ে দাঁত সাদা করা যায়, সাথে নখও। এটি অল্পদিনেই নখ সাদা করবে। অল্প টুথপেস্ট নিয়ে নখের উপরে ও ভিতরে লাগিয়ে কয়েক সেকেন্ড রেখে দিন। এরপর হালকা নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। নখে টুথপেস্ট প্রতিদিনই ব্যবজার করতে পারেন। তবে পরামর্শ রইলো প্রতিদিনের চাইতে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করার।
নারিকেল তেলের মাসাজে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং চুল সুন্দর হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি হাত ও নখকেও গ্লোয়িং ইফেক্ট এনে দেয়? ৩-৪ ফোঁটা নারিকেল তেল নিয়ে হাতে ও নখে মাসাজ করবেন। কয়েকদিনেই টের পাবেন উল্লেখযোগ্য ফলাফল।
প্রফেশনাল মেনিকিওর নিয়মিত করালে নখের উজ্জ্বলতা সহজে হারায় না। চাইলে মেনিকিওর কিট কিনে ঘরেই বসে করতে পারেন মেনিকিওর। এই কিটে থাকে নেইল হোয়াইটেনিং পেন্সিল, যা দিয়ে সহজে নখ সাদা করতে পারবেন। মেনিকিওরের পরে নেইলপলিশ ব্যবহারের আগে নখে বেইস কোট দিয়ে দিবেন, এতে নখ নষ্ট হওয়ার ভয় কম থাকে। ডার্ক কালারের নেইলপলিশ নখকে কালো করে দেয় ও নখে দাগ ফেলে। তাই হালকা রঙের নেইলপলিশ ব্যবহার করুন। নেইলপলিশ তোলার সময়ে প্রথমে রিমুভার ব্যবহার করুন। তারপরে নেইল স্ক্রাব ব্রাশ ব্যবহার করুন বাড়তি যে দাগটুকু থাকবে তা তোলার জন্য। ডার্ক নেইলপলিশে নখ অতিরিক্ত কালো হয়ে গেলে অ্যাসিটোন অ্যালকোহলে তুলা ভিজিয়ে নখ মুছে নিন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…