দীর্ঘ গ্রীষ্মের দাবদাহ এই বছরে মানুষকে ব্যতিব্যস্ত করেছে। প্রথম দিকে বর্ষণের অভাব হলেও এবারে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা কিন্তু দাপটে ঝড়ো ইনিংস খেলে দিয়েছে। ফলত, পুজোর পর ১৬ই অক্টোবর নাগাদ আনুষ্ঠানিক ভাবে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিদায় নেওয়ায় বর্ষা-পরবর্তী একটা শিরশিরে আবহাওয়া সৃষ্টি করেছে।
ক্রমাগত চলা নিম্নচাপ এর ফলে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গ উভয়ই মুসলধারায় ভেসেছে। নাগাড়ে মুখভার করে থাকা আকাশের সাথে যুৎসই হিসেবে জুটেছে হ্যালোউইন। এইরকম গা ছমছম এ পরিবেশে সান্ধ্য আড্ডায় গরম পেয়ালায় চা আর হালকা শীতের অনুভূতি থাকলে সোনায় সোহাগা তো হয়ই। কার্তিকমাসের শুরুতেই মৃদুমন্দ বাতাস, সকালের মিঠে রোদ আর ভোরের মাঠে-ঘাটে অস্পষ্ট কুয়াশা বয়ে আনছে শীত সংবাদ। ডিসেম্বরের শুরুতেই গোটা বাংলা জুড়ে দেখা দেবে শীত এবছর।
গত কয়েকদিন থেকেই কলকাতা সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ঘোরাঘুরি করছে কুড়ির আশেপাশে। তাই রাত্তিরে পাখা তো দুরস্থ, বরং সাথে গায়ে দিতে হচ্ছে চাদর বা কাঁথাও।সকালে যারা মর্নিং ওয়াক করতে বেরোচ্ছেন তারাও মাথা ও শরীর ভালোভাবে ঢেকেই বেরোচ্ছেন।বাজারে ওঠা রকমারি সবজি, ধানের ক্ষেতে শিশির স্নাত ধানের শীষ এবং পিঠেপুলি আয়োজন একে উপযুক্ত সাহচর্য দান করছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর কি বলছে তা কিন্তু শোনার জন্য গোটা বাংলা বসে। তাহলে অপেক্ষার জল ঘোলা না করে বরং বলেই ফেলি। আবহাওয়া দপ্তরের কথা অনুযায়ী আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতা শহরসহ গোটা বাংলা জুড়ে নেমে আসতে চলেছে ঠাণ্ডা আবহাওয়া। তবে শীত জাঁকিয়ে বসার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। দিনের বেলায় হালকা গরম থাকলেও রাতে ও ভোরের দিকে তাপমাত্রা যথেষ্ট কম থাকবে।
আবহাওয়া দপ্তরের সুত্র অনুযায়ী কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস মত, সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে কয়েকদিন। বৃষ্টি হওয়ার আপাতত কোন সম্ভাবনা নেই।
শীত উপভোগ করার অন্যতম প্রধান উপকরণ হলো খাদ্য। ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলো, শিম, মটরশুঁটি,টমেটো, ধনেপাতা, বিট ইত্যাদি ইতিমধ্যে বাজারে উপস্থিত হয়েছে। শীতে শরীরের বিশেষ চাহিদা পূরণে এদের জুড়ি মেলা ভার। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, এন্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন যার স্বাস্থ্য সম্মত গুরুত্ব অপরিসীম।
এছাড়াও নানা রকমের ঘরোয়া মিষ্টি খাবার সময় এই শীত। নানা রকমের পিঠে পুলি, আরও কত কি!
শরৎ ও শীতের এমন সন্ধিক্ষণে একটা মনোরম আমেজ মানুষের মনে ছাপ ফেলে। রাতের আকাশের নীচে জমা হওয়া কুয়াশার পরত ও হিমেল হাওয়া কিন্তু শুস্কতাও নিয়ে আসে। পাল্লা দিয়ে বাড়ে ভাইরাসের কারিগরি। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়। তাই গলা খুসখুস, কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে নির্দিষ্ট সময়ে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করা, গরম জামাকাপড় এর ব্যবহার ও ভেষজ উপাদান যেমন- মধু, তুলসীপাতা, আদা এগুলির সেবন অবশ্যই আপনাকে শীতে মোকাবিলা করার রসদ যোগাবে।
গ্রামাঞ্চলে অবশ্য পারদ পতনের অনুভব আরো বেশি হচ্ছে। তবে নভেম্বর এর আরো কয়েকটা দিন গেলেই শীত তার প্রভাব বিস্তার করে দাঁত নখ বের করে থাবা বসবে কলকাতা সহ অন্যান্য জেলা গুলোতেও তাতে সন্দেহ এর অবকাশ নেই। সবমিলিয়ে মাঠের সোনালী ধানের নবান্নের বার্তা, গাছের বিবর্ণ পাতা ঝরা রূপ, সাথে বাজারে শীতের পসরা সাজিয়ে বসা দোকানির বিকিকিনি জানান দিচ্ছে শীতকে সাদরে বরণ করে নিতে প্রস্তুত সবাই।
তাই প্রকৃতিতে এই পরিবর্তন এর স্বাদ নিশ্চই নিন কিন্তু সেই সাথে নিজের ও নিজের পরিবারের ও খেয়াল রাখুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…