অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের মতো শিক্ষাও আমাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আমাদের সকলেরই অধিকার আছে পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতার জন্য সেই বড় হওয়ার স্বপ্নে অনেক বাধা আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা হয় আর্থিক কারণে। অনেক সম্ভাবনাময় ভাল ছাত্র শুধু মাত্র টাকার জন্য নিজেদের পড়াশোনা বেশি দূর টেনে নিয়ে যেতে পারে না।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কিছু স্কলারশিপ রয়েছে যা সব বাধা কাটিয়ে এই সব ভাল ছাত্রদের নিজেদের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে দিতে সাহায্য করবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক বিদ্যালয় স্তরে সেই স্কলারশিপগুলো কী কী।
এটি একটি জনপ্রিয় স্কলারশিপ যা অনেককে সাহায্য করেছে। এটি মূলত অনগ্রসর শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য। একাদশ শ্রেণি থেকে এই স্কলারশিপের টাকা পাওয়া যায়। আর টাকার পরিমাণ বেশ ভাল, মাসে ৮০০০ টাকা।
মূলত পরীক্ষার নম্বর দেখে আর ছাত্রের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট দেখে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭৫% নম্বর রাখতেই হবে। তার পাশাপাশি পারিবারিক আয় বছরে আড়াই লক্ষ টাকার মধ্যে হতে হবে। আর কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেও কিন্তু এই স্কলারশিপ পাওয়া যেতে পারে।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। সমগ্র প্রক্রিয়াটাই অনলাইনে হয়। প্রথমে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর্ম জমা দিতে হয়। একটি আই.ডি নম্বর আসবে যেটা দিয়ে এবার লগ.ইন করতে হবে। তারপর পরবর্তী ফর্ম আর ২০ কেবি থেকে ৫০ কেবির মধ্যের স্ক্যান করা ছবি আর ১০ কেবি থেকে ২০ কেবির মধ্যে স্ক্যান করা সই আপলোড করতে হবে।
এরপর মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট, বাড়ির আর্থিক উপার্জনের শংসাপত্র, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক পাসবইয়ের স্ক্যান করা ছবি আপলোড করতে হবে। এই সব ছবির ফাইল সাইজ ৪০০ কেবির মধ্যে হতে হবে। এবার দুটো ভেরিফিকেশন সারটিফিকেট আসবে যার একটা আবেদকের নিজের আর আরেকটা যে সংস্থায় সে আছে। আবেদককে নিজের প্রতিলিপিটি সংস্থার প্রধানকে দিয়ে সই করিয়ে স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
এটিও মূলত এস.সি, এস.টি ও ও.বি.সি ছাত্রদের জন্য। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা এই সুবিধে নিতে পারে। দিনের হিসেবে ১৬০ থেকে ১২০০ টাকা পাওয়া যায় এই স্কলারশিপের আওতায়।
এখানে মূলত আর্থিক পরিস্থিতি দেখা হয়। এস.সি ও এস.টির ক্ষেত্রে পারিবারিক বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার মধ্যে ও ও.বি.সির ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকার মধ্যে থাকতে হবে।
সেপ্টেম্বরের থেকে নভেম্বরের মধ্যে এই আবেদন জমা করতে হয়। প্রথমে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে লগ.ইন করতে হবে। তারপর হোমপেজে স্টুডেন্টস রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর সিটি বা শহর বেছে নিতে হবে। এবার আবেদন পত্র স্ক্রিনে ভেসে আসবে। সেটা ভাল করে পূরণ করে সাবমিট করে দিলেই আবেদন জমা পড়ে যাবে।
এটি মূলত এস.সি ও এস.টি ছাত্রছাত্রীদের জন্য। নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা এই সুবিধে নিতে পারে। মাসে ১৫০ থেকে ৭৫০ টাকার মতো টাকা পাওয়া যায় এই স্কলারশিপে।
এক্ষেত্রেও ছাত্রছাত্রীদের পারিবারিক বার্ষিক আয়ের পরিমাণ এক লক্ষ টাকা অতিক্রম করা চলবে না।
সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যায়। প্রথমে ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টাল এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এবার হোমপেজে নিউ রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করতে হবে ও প্রয়োজনীয় সব তথ্য সেখানে দিতে হবে। তাহলেই আবেদন করা হয়ে যাবে। এখানে শংসাপত্র বা অন্য কোনও প্রতিলিপি আপলোড করতে হয় না।
মূলত উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এর পরবর্তী স্তরেও কেউ চাইলে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। মাসে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত টাকা পাওয়া যায়।
ছাত্রছাত্রীদের মাতৃভাষা হিন্দি কোনওভাবেই হলে চলবে না।
এক্ষেত্রে আবেদন অনলাইনে হয় না। ছাত্রছাত্রীদের বিকাশ ভবনের স্কলারশিপ বিভাগ থেকে বেলা ১২টা থেকে ৪টের মধ্যে মার্কশিটের আসল প্রতিলিপি দেখিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বাধিক প্রচারিত প্রকল্প এই কন্যাশ্রী প্রকল্প। ইউনাইটেড নেশন অর্গানাইজেশন এই প্রকল্পকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই প্রকল্প মূলত মেয়েদের জন্য। মেয়েরা যাতে স্কুলে পড়াশোনা করতে পারে, তাদের যাতে টাকার অভাবে পড়া বন্ধ হয়ে না যায়, যাতে মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া না হয়, তার জন্যই এই প্রকল্প নেওয়া হয়।
কে১ ও কে২ এই দুভাবে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধে পেতে পারে মেয়েরা। প্রথম ক্ষেত্রে বার্ষিক ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। বয়স হতে হবে ১৩ থেকে ১৭ এর মধ্যে। আবেদককে অবিবাহিত হতে হবে ও পারিবারিক বার্ষিক আয় এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার বেশি হলে চলবে না। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে একবারে ২৫০০০ টাকা দেওয়া হয়। বয়স ১৮ ও ১৯ এর মধ্যে হতে হবে এবং তাকে অবিবাহিত হতে হবে। এক্ষেত্রেও পারিবারিক বার্ষিক আয় এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার মধ্যে হতে হবে।
যে স্কুলে পড়ছে সেই স্কুলের থেকে আবেদন পত্র নিতে হবে। সেটা পূরণ করে অভিভাবকের সই করাতে হবে এবং সব প্রতিলিপির সঙ্গে স্কুলে জমা দিতে হবে। বিভাগের প্রধান সব তথ্য দেখে অফিস স্ট্যাম্প দেবেন। অয়াপ্লিকেশন নম্বরটা নিয়ে রাখতে হবে সেখান থেকে। স্কুল থেকেই আপলোড করে দেওয়া যাবে।
এবার তাহলে পড়াশোনা আর তেমন ভাবনার বিষয় রইল না, কি বল! মন দিয়ে সকলে পড়। সরকারি প্রকল্প তো সঙ্গে রইলই।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…