একটা ছোট্ট বাড়ির স্বপ্ন আমাদের সকলেরই থাকে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেরই সেই স্বপ্ন পূরণ হয় না। তার একটা বড় কারণ হল, আমাদের সকলেরই বাড়ি করার মতো টাকা থাকে না। আর আজকাল বাড়ি করার জন্য জিনিসের দাম যে পরিমাণে বেড়ে গেছে। তাতে অনেকের সেই সাধ্য নাও হতে পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে একটি স্কিম করা হয়েছে, যেখানে আপনার এই বাড়ি তৈরি করার স্বপ্ন পূরণ করতে আপনার সঙ্গে থাকবে সরকার। সেই স্কিমের নাম গীতাঞ্জলী স্কিম। তাহলে জেনেনি কী এই গীতাঞ্জলী স্কিম।
এই স্কিম হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি প্রকল্প যেখানে বাড়ি তৈরি করার জন্য আপনারা সাহায্য পেতে পারেন। যারা ‘Economically weaker section’ তাদের জন্য মূলত এই স্কিম। প্রথমে এই স্কিমের জায়গায় ছিল ‘আমার ঠিকানা’ স্কিম। কিন্তু ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল থেকেই এই স্কিম উঠে যায় আর তার বদলে আসে এই গীতাঞ্জলী স্কিম। ‘আমার ঠিকানা’ স্কিম এই গীতাঞ্জলী স্কিমের মধ্যেই মিশে যায়। এটি মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্দিরা আবাস যোজনার মতোই কাজ করে।
ক. মূলত গরীব মানুষদের জন্যই এই স্কিম কাজ করে। শহর বা গ্রামাঞ্চল, দু ক্ষেত্রেই এই স্কিম কাজ করে। এই দুই অঞ্চলের গরীব মানুষরা এই স্কিমের সাহায্যে বাড়ি পেতে পারবে।
খ. আবার বন্যা বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে যারা ঘর হারিয়েছেন, তাঁদের জন্যও এই স্কিম অর্থাৎ তাঁরাও এই স্কিমের আওতায় এসে বাড়ি পাবেন।
গ. যদি সরকারের কোনও প্রোজেক্টের জন্য কিছু ভাঙতে হয়, কোনও বাড়ি যদি ভেঙে ফেলতে হয় বা কোনও ক্ষতি হয়, তাহলেও কিন্তু পুনর্বাসনের জন্য এই গীতাঞ্জলী স্কিমের আওতায় বাড়ি পাওয়া যায়।
ঘ. আপনার পরিবারের মাসিক আয় যেন ৬০০০ টাকা ছাড়িয়ে না যায়।
ঙ. আর একটা কথা মনে রাখার মতো। আপনার নামে আগে যদি কোনও বাড়ি থাকে তাহলে কিন্তু আপনি এই স্কিমের সুবিধে পাবেন না। তবে আপনার নিজস্ব জমি থাকতে পারে। আর না থাকলেও কোনও সমস্যা নেই। আপনার জন্য গ্রুপ হাউসিং-এর ব্যবস্থা করা হবে।
মূলত দুটো ক্যাটাগরী মেনে এখানে টাকা দেওয়া হয়। বছরে একবারে টাকা দেওয়া হবে।
ক. শহর বা গ্রামাঞ্চলের জন্য উভয় ক্ষেত্রেই দেওয়া হবে ৭০০০০ টাকা।
খ. আর একটু দুর্গত জায়গায় যাদের বাড়ি, মানে পাহাড়ি অঞ্চলে বা সুন্দরবনে, তাদের জন্য দেওয়া হবে ৭৫০০০ টাকা।
মনে রাখা ভালো, এই টাকা কিন্তু ধার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে না। এটা সরকার আপনাকে সাহায্য করছে। মানে এই টাকা ফেরত দিতে হবে না। টাকাটা দুই ধাপে ৫০% করে পাবেন। প্রথম বারে ৩৫০০০ টাকা পাওয়ার পর সেই টাকায় বাড়ি তৈরির যে কাজ করলেন তার একটা খতিয়ান জমা দিন সংশ্লিষ্ট ব্লক অফিসে। সেখানে তারপর সব খতিয়ে দেখে পরবর্তী ৩৫০০০ টাকা দেওয়া হবে। টাকা পুরোটাই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে।
গীতাঞ্জলী স্কিমে আবেদন করার জন্য অনলাইন পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয় না। আপনি গ্রামে থাকলে পঞ্চায়েত অফিসে আর নইলে অন্যান্য জায়গার মানুষরা বিডিও অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন। সেখান থেকেই আপনাকে ফর্ম দেওয়া হবে। আপনি সেটা পূরণ করে আবার ওই অফিসেই জমা দিয়ে দিন। সেখান থেকেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
এবার তাহলে আর শুধু অন্যের বাড়ি দেখে আফসোস করা নয়। আপনার নিজের বাড়ির স্বপ্নও পূরণ করুন গীতাঞ্জলী হাউসিং স্কিমের সাহায্যে। আর মাসে মাসে বাড়ি ভাড়ার টাকা না গুনে নিশ্চিন্তে নিজের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে নিন। সঙ্গে এই রকম আরও অনেক স্কিম সম্বন্ধে জানতে চোখ রাখুন দাশবাসে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…