অতিরিক্ত মেদ এখন একটি জাতীয় সমস্যার মত। বিশ্ব জুড়ে সবাই এই সমস্যার কম বেশি শিকার। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য আমরা কি না করি। জিম থেকে শুরু করে ডাক্তার, রোজ দৌড়নো থেকে শুরু করে না খেয়ে থাকা এত পরিশ্রম করেও সবসময় তেমন ভালো ফল পাওয়া যায় না। কিন্তু খুব ভালো হত না যদি এত ছোটাছুটি না করে বাড়িতে বসেই এই সমস্যার সমাধান করা যেত। সেই উপায় আছে।
শুরুটা হোক সকাল থেকেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে সাধারন চা খাবার পরিবর্তে খান গ্রিন টি। এটা আমরা সবাই জানি গ্রিন টি ওজন কমাবার জন্য প্রমাণিত। শরীরের বিভিন্ন অংশের ওজন কমাতে সাহায্য করে গ্রিন টি। প্রতিদিন যদি তিন থেকে চার কাপ গ্রীন টি খাওয়া যায় তাহলে ওজন কমবে, একটু আদা দিয়ে গ্রীনটি খেতে পারেন আরও ভালো কাজ হবে। আর মিষ্টি চাইলে মধু ব্যবহার করুন চিনি বন্ধ করুন।
আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা, রসুন রোগা হতে সাহায্য করে। রোজ সকালে খালি পেটে দু কোয়া রসুন এবং তারপর লেবুর রস বা লেবু জল খেতে পারেন। একটু গরম জলে লেবুর রস ফেলে তারপর তাতে একটু নুন দিয়ে খেতে পারেন। এটিতে দারুন কাজ হয়।
রোগা হতে চাইলে কিন্তু মিষ্টিকে একটু ভুলে থাকতে হবে সে আপনি যতই মিষ্টি পাগল হননা কেন। চিনি বর্জন করতে হবে। শুধু চিনি না, চিনি জাতীয় খাবার, মিষ্টি, নরম পানীয় ভুলতে হবে কারণ এগুলি ভীষণ ভাবে ওজন বাড়ায়। কিন্তু যদি মিষ্টি খেতেই হয় তাহলে কিছু কিছু খাবারে চিনির বদলে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
রোগা হতে চাইলে প্রতিদিন বেশি করে জল খেতে হবে। কারণ জল শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বার করে। এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান যেগুলি মেদ বাড়াতে সাহায্য করে সেগুলি শরীর থেকে বার করতে সাহায্য করে জল। জল শরীরকে পরিষ্কার রাখে। জল ক্লিনজারের মত কাজ করে।
অনেকেই সকালে হাঁটার সময় পাননা। চিন্তা নেই দুপুরে বা রাতে খাবার পর হাঁটতে পারেন। খাবার পর সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পরা একদমই ভালনা। তাই খাবার পর হাঁটলে হজমও ভালো হয় আর শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরিও নষ্ট হয়ে যায়।
তাড়াতাড়ি রোগা হতে চাইলে নিজের ঘর নিজেই পরিষ্কার করুন। এতে দুটো সুবিধাই হবে ঘর পরিষ্কারও হবে আর অতিরিক্ত মেদও ঝরে যাবে। কারণ ঘর মোছার সময় পেটে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এবং রোজ এই চাপ পড়তে থাকলে মেদ কমে যাবে। তবে এর জন্য বসে ঘর মোছার প্রয়োজন।
রাতে ভালো ঘুম অবশ্যই দরকার। কিন্তু দিনের বেলা ঘুম একদমই ভালো না। যেটা প্রায় সব বাঙালির প্রিয় ভাত ঘুম। কিন্তু সেটা অতিরিক্ত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রাতে বেশি করে ঘুমতে চেষ্টা করুন আর দিনের ঘুমকে বর্জন করুন। রাতে তাই সঠিক সময় শুয়ে পরুন।
রোজ জগিং করুন। রোজ ঠিক মত জগিং করলে বছরে ছয় থেকে সাত কেজি ওজন সহজেই কমানো যায়। কারণ এতে খুব ক্যালোরি বার্ন হয়। আর জগিং বা হাঁটার সময় অন্য কোন কাজ যেমন ফোনে কথা বলা বা ফোন দেখা বার বার এটা করবেন না। হাঁটাতে মন দেবেন পুরোপুরি। আর পারলে জোরে জোরে হাঁটবেন এতে ভালো কাজ হবে।
অনেকের দেখা যায় হাতের কিছু কিছু অংশ ঝুলে যায়। এটাও অতিরিক্ত মেদের কারণে হয়। এর জন্য প্রতিদিন আপনার ঘরের জানলা পরিষ্কার করুন। অবাক লাগছে? হ্যাঁ এটা কিন্তু হাতের ব্যায়াম। কারণ জানলা পরিষ্কার করার সময় হাত ওপর ও নীচ করতে হয় বার বার। এতে হাতে চাপ পড়ে ও অতিরিক্ত মেদ নিয়ন্ত্রণে আসে।
একটু বেশি করে ফাইবার যুক্ত খাবার খান। ফাইবার মেদ কমাতে সাহায্য করে। আর নুন কম খান। এবং বাড়ির খাবার খান।
ঘরে বসে সহজে রোগা হতে চাইলে আর দেরি না করে, কাল থেকে আমাদের দেওয়া টিপস ট্রাই করা শুরু করে দিন। নিজেকে সুন্দর রাখতে হলে শরীর ফিট রাখা খুবই দরকার।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
Khub vhalo laglo