একদিকে ভালোবাসার মাস অন্যদিকে আবার কিছুদিন আগেই গেল সরস্বতী পুজো, যা কিনা বাঙালির স্পেশাল ভ্যালেন্টাইন ডে। আর বাঙালির এই প্রেমময় মরশুমকে আরও বেশী স্পেশাল করে তুলতে, ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছিল নানান প্রেমের ছবি। তবে হইচই ও পিছিয়ে থাকেনি, হইচইতেও মুক্তি পেয়েছিল খাঁটি ভালোবাসার এক ওয়েব সিরিজ ‘টুরু লাভ’। ছিল একঝাঁক নতুন মুখ। কিন্তু ফাইনালি কি টুরু লাভের সন্ধান দিতে পারলো এই ওয়েব সিরিজ? দেখে নিন রিভিউ।
সিরিজ কেমন লাগলো তা বলার আগে সিরিজের গল্পটা একটু বলে নেওয়া দরকার। এক ব্যবসায়ীর ছেলে অরিত্র। যার বিয়ে ঠিক হয় তিয়াশার সঙ্গে। তিয়াশাকে দেখা মাত্রই সরল মনের ছেলে অরিত্র মন দিয়ে ফেলে তিয়াশাকে। যদিয় এটা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। কিন্তু অরিত্র এটাকে লাভ ম্যারেজে পরিনত করতে চায়। বিয়ের আগেই তিয়াশাকে প্রপোজ করার কথাও ভাবে।
কিন্তু স্বাধীনচেতা তিয়াশা বিয়ের পাকা কথার দিন অরিত্রকে নিজের রোজগারে হীরের আংটি দিয়ে প্রপোজ করার শর্ত দেয়। অরিত্র জেদের বশে চলে আসে কলকাতায় রোজগারের সন্ধানে। কিন্তু মনের মত চাকরি পাওয়া কি এতো সোজা? চাকরি না পেয়ে হতাশায় একদিন আত্মহত্যা করতে চায় অরিত্র, আর তখনই বন্ধুর মত পাশে দাঁড়ায় বৃন্দা। তারপরই গল্প অন্যদিকে মোড় নেয়।
এই ওয়েব সিরিজে ছিল বেশ কিছু নতুন মুখ। টেলিদুনিয়ার বেশ কিছু মুখকে দেখা গেছে। যেমন বৃন্দার চরিত্রে ছিল ঊষসি রায়, তিয়াশার চরিত্রে রাজনন্দিনী পাল এবং অরিত্রর ভূমিকায় ঋসভ বসু। এছাড়াও ছিল টেলিদুনিয়ার অনেক চেনা মুখ।
গল্প শুনে তো বুঝতেই পারছেন এই ওয়েব সিরিজ প্রেমের রঙে সাজিয়েছেন পরিচালক। যারা লাভ স্টোরি দেখতে ভালোবাসেন তাঁদের জন্যই পরিচালক এনেছিলেন একদম খাঁটি প্রেমের গল্প। যেখানে কোন রহস্য নেই, থ্রিলার নেই, নেই কোন মারামারি হানাহানি। ভালোবাসার মাসে শুধুই প্রেমময় একটি ওয়েব সিরিজ উপহার দিতে চেয়েছিলেন অভিজিৎ চৌধুরী।
সেরিজটি দেখে যে খুব ভালো লেগেছে তা বলতে না পারলেও, অভিনয় নিয়ে বলতে গেলে ঊষসি রায়কে নিজের চরিত্রে ভালোই লেগেছে। একদিকে আধুনিক অন্যদিকে স্পর্শকাতর, বুদ্ধিমতী। এই চরিত্রের মাধুর্যকে ধরে রাখতে পেরেছেন ঊষসি। অন্যদিকে অরিত্রর ভূমিকায় ঋসভ বসুও বেশ চেষ্টা করেছেন চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার।
আবার স্বাধীনচেতা মেয়ে তিয়াশার চরিত্রে রাজনন্দিনীকেও ভালো লেগেছে। বেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই অভিনয় করেছেন রাজনন্দিনী। এছাড়াও ছবিতে তালপাতার সেপাইএর গানও খারাপ নয়। কিন্তু গল্প আরেকটু মজবুত হতে পারত। তবে প্রেমের মরশুমে হালকা মেজাজে এরম একটি প্রেমের ওয়েব সিরিজ একবার দেখে নেওয়া যেতেই পারে, মন ভালো করতে তাও আবার কোন খরচা না করে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…