শরীরের সর্বত্র ফ্যাটের বন্টন অনেকসময় সমান হয় না ফলে দেহের বাকি অংশের তুলনায় হাত বা বাহু মোটা দেখায়। হাতের পেশিতে চামড়া ঢিলে হয়ে ঝুলে পড়তে দেখা যায়, যেটা দেখতে লাগে খুবই বিচ্ছিরি। এর ফলে স্লিভলেস ড্রেস একদম বর্জনীয় হয়ে পড়ে।
এই নিয়ে দুঃখ বা মন খারাপ করবেন না যেন! আমরা নিয়ে এসেছি সহজ দশটা উপায় আপনার প্রিয় হাতের পেশিকে স্থূলতা থেকে রক্ষা করে সৌন্দর্যের চমক দিতে।
১. ক্লক এক্সারসাইজ:
হাতের মাংসপেশিকে বাগে আনতে সবচেয়ে কার্যকরী সমাধান হয় দড়ি লাফ খেলা। তাতে মেদ দ্রুত দূর হয়। হাতের পেশিতে টান পড়ে কিন্তু সেটা সবার পক্ষে করা সম্ভব হয় না।
তাই ট্রাই করতে পারেন ক্লক এক্সারসাইজ। এটা অভ্যাস ও চর্চা করতে আপনার সুবিধেই হবে।
ঋজু হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ুন এবং হাত দুটো আনুভূমিক ভাবে শরীরের দুপাশে নিয়ে আসুন ও টানটান করে নিন ঠিক ঘড়ির কাঁটার মতো।
এবার দুটো হাত একসাথে ওপর থেকে নিচে ঘোরাতে থাকুন ঘড়ির কাঁটার সাথে সামঞ্জস্য রেখে। ১মিনিট মতো জারি রাখুন।
যাদের বাইশেপের পেছনের অংশে চর্বি বেশি তাদের জন্য এই ব্যায়াম খুবই উপযোগী। এর জন্য প্রয়োজন দুটো ডাম্বেল।না পেলে ভর্তি দুটো জলের বোতল নিয়েও কাজ চালাতে পারেন।
দুটো ডাম্বেল বা জলের বোতল নিয়ে ওপরের দিকে ধরে কাঁধ থেকে মাথার ওপরে তোলার চেষ্টা করুন। দুটো হাত যেন একই সময়ে এই কাজ করে।
সাধ্যমত চেষ্টা করুন পুল আপ করতে। ১০-১৫ বার এর বেশি একসাথে করবেন না। মাঝে ব্রেক নিতে পারেন কিছুক্ষন এর জন্য।
৬. সিজর এক্সারসাইজ:
এটার জন্য যোগা ম্যাটে পদ্মাসনে বসে পড়ুন। তারপর ডান হাত সোজা ভাবে ওপরের দিকে তুলুন।
দিয়ে মাথার ওপর দিয়ে বাঁকিয়ে আনুন ও বামহাত কোমরের কাছে নিয়ে এসে কাঁচির মতো পশ্চার তৈরি করুন। যেজন্য এই ব্যায়াম এর নাম সিজর এক্সারসাইজ।
এইভাবে হাত বদল করে পজিশন রিপিট করুন। শ্বাস নিন করার সময় ও নর্মাল ব্রিথিং চালু রাখুন। প্রাত্যহিক অভ্যাসে খুবই কার্যকরী ফল পেতে পারেন।
৭. ওয়েট লিফটিং:
এটি একটি অত্যন্ত সাধারণ অনুশীলন। যেটা পেশির নমনীয়তা আনবে ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়াবে। মাসল বিল্ড হবেনা কিন্তু আপনার অপ্রয়োজনীয় চর্বি হবে গায়েব।
স্টিকে ওয়েট রিং লাগিয়ে নিজের ক্ষমতা মতো হাত দিয়ে উঠিয়ে মাথার উপরে তোলার চেষ্টা করুন।
তবে সাবধান প্রথমে ট্রেনার এর অধীনে করাই শ্রেয়। নিজের শক্তির বাইরে ওজন তোলার ঝুঁকি নেবেন না কোনো অবস্থাতেই।
৮. চিনিকে না বলুন:
সোডা, কেক, পেস্ট্রি আমরা সবাই জানি কতটা ক্ষতি করে আমাদের ডায়েট প্ল্যান এর, তবু জ্ঞানপাপী হয়ে আমরা চিনির ফাঁদে পড়েই যাই যেটা আমাদের চামড়ার টানটান ভাবের বারোটা বাজায়।
তাই ডায়েটে এডেড সুগার বা প্রিজারভেটিভ রাখবেন না। কফি বা চায়ে সুগার কাউন্ট কম করুন।
বটল, ক্যান ড্রিংক বা জুস বেশি নেবেন না। এর বদলে ফ্রুটস বা ওটস নিতে পারেন।
৯. প্রোটিনের মাত্রা বাড়ান:
আপনার তুলতুলে মাংসল হাত থেকে মুক্তি পেতে প্রোটিনে জোর দেওয়া খুবই প্রয়োজন। স্লো মেটাবলিক রেট, কর্মবিহীন জীবনযাত্রা হাতে ফ্যাট সঞ্চয়ের সুবিধে করে দেয়।
প্রোটিন আপনার মেটাবলিজম বুস্ট করে তাতে করে আপনি বেশি করে ক্যালোরি বার্ন করে মাসল বিল্ড আপ করতে পারবেন।