রোজ রোজ মশালাদার খাবার খেতে খেতে মুখে অরুচি ধরে যায়। তখন মনে হয় হাতের কাছে থাকা উপকরণ আর অল্প তেল মশলা দিয়ে যদি কিছু বানিয়ে নেওয়া যায় তাহলে মন্দ হয় না। তবে অল্প মশলা দিয়ে বানিয়ে নেওয়া খাবারের রেসিপির মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলুুুর রেসিপিই করা হয় , কিন্তু যাদের আলু খাওয়া মানা তাদের জন্য কী উপায়? হ্যাঁ, সেই সকল মানুষের কথা ভেবেই আজকে অল্প তেল মশলা দিয়ে বানানো পটলের কয়েকটি রেসিপির কথা বলবো।
প্রথমে পটল গুলো পুড়িয়ে নিন তারপর খোসা ছাড়িয়ে মেখে নিন। এরপর অন্য একটি কড়াইতে কালো জিরে, লঙ্কা কুচি ,পেঁয়াজ কুচি ,রসুন কুচি, আদা কুচি, টমেটো কুচি দিয়ে দিন তারপর সব নেড়েচেড়ে আগে থেকে মেখে রাখা পটল মাখাটা এর মধ্যে দিয়ে দিন। একটু লবণ, হলুদ দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিয়ে নামিয়ে নিন।
কড়াইয়ে তেল দিয়ে দিন তারপর তেল গরম হয়ে গেলে লঙ্কা দিয়ে দিন, এরপর নুন হলুদ মাখিয়ে পটল গুলো কড়াইতে দিয়ে দিন। এরপর পটল ভাজা ভাজা হয়ে গেলে সরষে ও লঙ্কা বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। তারপর কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিন আধ কাপ পরিমানমতো জল। এইবার একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। পটলগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
কতগুলো পটল একটু চেঁচে নিয়ে দুদিকের মুখ অল্প বাদ দিয়ে চারিদিকে কিছুটা চিরে নিয়ে নুন মাখিয়ে রেখে দিতে হবে। অন্য একটি কড়াইতে তিল শুকনো ভেজে নিতে হবে। ভাজা তিলগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে কাঁচালঙ্কা ও টমেটোর সাথে বেটে নিতে হবে একসাথে। এরপর কড়াইতে তেল দিতে হবে, তেল গরম হয়ে উঠলে পটলগুলো ভেজে তুলে নিতে হবে। এবার কড়াইতে রসুন বাটা দিয়ে নাড়তে হবে, কিছুক্ষণ পর তিল, কাঁচালঙ্কা ও টমেটো বাটার মিশ্রণটা দিয়ে দিতে হবে। এরপর তেল ছেড়ে গেলে আগে থেকে ভেজে রাখা পটল দিয়ে দিতে হবে। এরমধ্যে আন্দাজমতো নুন চিনি ও জল দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন, এরপর কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখুন। মিনিট দশেক পরে নামিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন তিল পটল।
প্রথমে কয়েকটি পটল নিয়ে সেই পটলের খোসা ছাড়িয়ে ছোটো ছোটো করে কেটে নিন। তারপর এরমধ্যে নুন হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর কড়াইয়ে তেল দিন, তেল গরম হয়ে উঠলে তাতে কালোজিরে ও লঙ্কা ফোঁড়ন দিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে নিন। এরপর এই তেলের মধ্যে পটলগুলি দিয়ে দিন ও একটু নেড়েচেড়ে নিন (যদি কেউ চান তাহলে পটলের সাথে আলুও ছোট ছোট করে কেটে কড়াইতে দিয়ে দিতে পারেন)।
এরপর অল্প জলের ছিটে দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝে মাঝে ঢাকা খুলবেন একটু করে পটল নাড়বেন আবার ঢেকে দেবেন, প্রয়োজন বুঝলে একটু জলের ছিটা দিয়ে দেবেন। এইভাবে নাড়তে নাড়তে পটলগুলি যখন সেদ্ধ হয়ে যাবে, তখন ভাজা জিরেগুঁড়ো কড়াইতে ছড়িয়ে নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।
প্রথমে পটলগুলো ভালো করে ধুয়ে পটলের দু ধার কেটে মাঝে মাঝে খোসা ফেলে দিতে হবে এরপর ছুরি দিয়ে মাঝ বরাবর চিরে দিতে হবে। এরকমভাবে সবপটল গুলি কাটা হয়ে গেলে নুন আর হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে তেল দিতে হবে, তেল গরম হয়ে এলে পটলগুলি দিয়ে উল্টেপাল্টে লাল করে ভেজে নিতে হবে। এরপর আলাদা একটি কড়াইয়ে দুই টেবিল চামচ তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে উঠলে তেজপাতা দিয়ে ভেজে নিতে হবে, তারপর দিতে হবে পেঁয়াজ কুচি।
তেলের মধ্যে পেঁয়াজকুচি খুব ভাল করে ভেজে নিতে হবে তারপর দিতে হবে টমেটো কুচি আর কাঁচা লঙ্কা চেরা। এরপর একটু লঙ্কা গুঁড়ো হলুদ গুঁড়ো দিতে হবে। একটু নাড়াচাড়া করার পর তার মধ্যে দিতে হবে ভাজা পটল আর পোস্ত বাটা। এরপর এক থেকে দু কাপ মতো জল দিয়ে দিন আর পরিমান মত লবন দিয়ে একটা ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। মাঝে দু-একবার ঢাকা টা খুলে নাড়াচাড়া করে দেবেন। এরকমভাবে মিনিটপাঁচেক ঢাকা দিয়ে রাখলেই পটল পোস্ত হয়ে যাবে।
প্রথমে পটলগুলি কেটে ভালোমতো জল দিয়ে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখুন। এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে দিন, তেল গরম হয়ে এলে পটলগুলো এক এক করে ভেজে তুলে নিন। এবার কড়াইতে দুই চামচ তেল দিয়ে তাতে কালোজিরে ফোরং, শুকনো লঙ্কা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, নুন ও টক দই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে কষিয়ে নিন ও আগে থেকে ভেজে রাখা পটলগুলি কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিন ও একটু নাড়াচাড়া করতে থাকুন। এরপর কড়াইতে এককাপ মতো জল দিয়ে একটু ফুটিয়ে নিলেই পটলের তেল ঝাল হয়ে যাবে।
প্রথমে ছুরি দিয়ে পটলের গায়ের খোসাটা চেঁচে নিয়ে পটলের মুখের অংশটা সামান্য একটু কেটে নিন। এরপর একটা চামচের সাহায্যে ভেতরে থেকে পটলের বীজগুলি বের করে নিন। এরপর ভালো করে পটল গুলো ধুয়ে নিয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন। এরপর পুর তৈরি করবার জন্য কড়াইতে গরম তেলের ওপর পেঁয়াজ বাটা, টমেটো বাটা, রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে ভেজে নিয়ে আদা বাটা, জিরেগুঁড়ো ধনেগুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, নুন ও সামান্য একটু জল দিয়ে ভাল করে কষতে থাকুন।
মশলার থেকে তেল ছেড়ে গেলে চিকেনের কিমাগুলো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে এবার কাজু বাদাম আর কিসমিস দিয়ে চিকেনটা সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত কষুন। চিকেন সিদ্ধ হয়ে গেলে গরম মশলা গুঁড়ো দিয়ে দিন। চিকেনের পুরটা ঠান্ডা হয়ে গেলে আগে থেকে নুন হলুদ মাখানো পটলগুলোর মধ্যে পুরটা ভরে দিয়ে গরম তেলে ভেজে নিন।
পটলের দরমার কারি বানাতে কড়াইতে তেল গরম করে তার মধ্যে গোটা গরম মশলা, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ও হাফ টেবিল চামচ চিনি দিয়ে সবটা একটু নেড়েচেড়ে নিন তারপর কড়াইতে আদা বাটা, জিরেগুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, একটু জল দিয়ে ভালো করে মশলাটা কষিয়ে নিন। কষানো হয়ে গেলে ভেজে রাখা পটল গুলো এবার দিয়ে দিন আর একটু জল আন্দাজমতো দিয়ে ফুটতে দিন। মিনিটখানেক পর ঢাকা সরিয়ে নামিয়ে নেবেন পটলের দোরমা।
প্রথমে পটলগুলো লম্বা করে কেটে নিয়ে একটু নুন হলুদ মাখিয়ে রাখুন। এইবার কড়াইতে তেল দিন। তেল গরম হয়ে উঠলে পটল গুলো এক এক করে ভেজে তুলে নিন। এরপর কড়াইতে বড়িগুলো দিয়ে এক এক করে ভেজে নিন, এইবার তেলের মধ্যে জিরে, কাঁচা লঙ্কা , টমেটো বাটা, আদা বাটা, লঙ্কা বাটা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। এর সাথে পরিমাণমতো নুন দিন। এরপর সব মশলাগুলো কষতে থাকুন, কিছুক্ষণ কষানোর পরে হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, অল্প জল দিয়ে নাড়তে থাকুন।
এরপর এই কড়াইয়ের মধ্যে আগে থেকে ভেজে রাখা পটলগুলি দিয়ে একটু নাড়িয়ে চাড়িয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। (আলু খাওয়া মানা না থাকলে পটলের সাথে আলুগুলোও ভেজে নিয়ে একসাথে আলু পটল গুলো কড়াইয়ে দিয়ে দিতে পারেন) এরপর সমস্ত সবজি সিদ্ধ হয়ে গেলে আগে থেকে ভেজে রাখা বড়িগুলো দিয়ে দিন ও এর সাথে একটু ভাজা জিরেগুঁড়ো দিন, তারপর মিনিট খানেক ফুটতে দিয়ে নামিয়ে নিন আর গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন আলু পটল বড়ির তরকারি।
প্রথমে পটলগুলো ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর পটলের দুই দিকে একটু চিরে নিয়ে নুন,হলুদ মাখিয়ে রেখে দিন। কড়াইয়ে তেল গরম হয়ে গেলে পটলগুলো হালকা করে ভেজে নিয়ে অন্য একটি পাত্রে তুলে রাখুন। এরপর কড়াইতে ঘি ,হিং ও আদা বাটা দিয়ে নেড়ে নিয়ে তারমধ্যে ভাজা পটল গুলি , দই, এলাচ গুঁড়ো, লঙ্কা কুচি দিয়ে ভালোমতো নাড়াচাড়া করুন। এরপর এতে জল দিয়ে মিনিট পাঁচেকের জন্য ঢেকে রাখুন, সমস্ত রান্না ফুটে উঠলে নামিয়ে নিন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…