হাজার হোক, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ম্যাড়ম্যাড়ে শুকনো স্কিনকে রঙ-চং মেখে সাজাতে আপনারও ভালো নিশ্চয়ই লাগে না। তাই এবার আপনার ত্বককে সারাক্ষণ উজ্জ্বল রাখার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি বিখ্যাত অ্যারোমাথেরাপিস্ট কেয়া শেঠের পাঁচ পাঁচটি হট টিপস!
কেয়া শেঠ বলেন, ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং এক কথায় এটাই নাকি সুন্দর, ঝকঝকে, উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য। আর এই ‘সি.টি.এম.’ রুটিন নিয়ম করে ফলো করলেই নাকি শুধু আমি বা আপনি কেন, যে কেউই গ্লোইং, উজ্জ্বল স্কিন পেতে পারেন। কীভাবে?
আপনার ত্বককে ভেতর থেকে হাসতে দেবার জন্য এটা কিন্তু খুব জরুরি একটা জিনিস। আজকের ব্যস্ত জীবনে ঘরে বসে থাকা তো আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই রোজ আপনাকে রাস্তায় বেরোতেই হয়। আর রাস্তায় বেরোনো মানেই ধুলো, বালি, ময়লা, দূষণ—স্কিনের এক্কেবারে বারোটার একশেষ। তাই আপনার ত্বককে নিয়ম করে পরিষ্কার করতেই হবে। আপনার স্কিনের সাথে স্যুট করে, এমন কোনো ফেস ওয়াশ ব্যবহার করুন, কিন্তু দেখবেন সেই ফেস ওয়াশ যেন আপনার মুখের ন্যাচারাল ময়েশ্চার কেড়ে নিয়ে মুখকে রুক্ষ না বানিয়ে ফেলে!
বুঝতেই পারছেন, ত্বককে সুন্দর, উজ্জ্বল রাখার জন্য নিয়ম করে টোনিং করাটাও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনার ত্বকের উপযোগী যেকোনো টোনারই আপনি ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন কেয়া শেঠের ল্যাভেন্ডার ফেয়ারনেস ওয়াটারও।
এটা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়া নিয়ম করে যদি মুখে দু’বার করে ডাবের জল লাগাতে পারেন, তাহলে তার থেকে ভালো আর কিছুই হবে না। ডাবের জলের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আপনার মুখকে ইন্সট্যান্ট উজ্জ্বল করবে।
স্কিনকে উজ্জ্বল, স্মুদ লুক দিতে ও ত্বকের স্বাভবিক আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য নিয়ম করে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী কোনো ময়েশ্চারাইজার তো ব্যবহার করতে পারেনই, তাছাড়া কেয়া শেঠের টেট্রা হোয়াইটেনিং ক্রিম, সিরাম ইত্যাদিও ব্যবহার করতে পারেন।
এ তো গেল ‘সি.টি.এম.’-এর কথা। কিন্তু বুঝতেই পারছেন, ঝকঝকে, উজ্জ্বল দাগহীন ত্বক পাবার জন্য এটুকুই যথেষ্ট হতে পারে না। আরও কিছু তো দরকার। আজ্ঞে হ্যাঁ। আমরা বলছি এক্সফোলিয়েটিং-এর কথা।
ত্বকের মরা চামড়াকে তুলে ফেলার জন্য এর বিকল্প আর কিচ্ছু হতে পারে না। ভাবুন তো, মরা চামড়ায় যদি আপনার মুখটাকেই মরা মরা লাগে পার্টিতে, তাহলে আপনারও প্রেস্টিজ পাংচার, আপনার কর্তারও! তাই নিয়ম করে এক্সফোলিয়েটিং করে মরা চামড়াকে দূরে হটাতে ভুলবেন না।
একসাথে দুধ আর মুসুর ডালের গুঁড়ো মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। তারপর মুখে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন মিনিট দশেক ধরে। ধুয়ে ফেলার পর নিজেই চমকে যাবেন!
আর হ্যাঁ। যাই করুন না কেন, উজ্জ্বল মুখের গোপন রহস্য মানেই কিন্তু আপনার সিক্রেট ফেস প্যাক। তাই ত্বকের গোপন ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে গেলে নিয়ম করে ফেস প্যাকটি লাগাতে কিন্তু ভুলবেন না। আপনার জন্য কিছু কেয়া শেঠ স্পেশাল হোম-মেড ফেস প্যাকের সুলুক-সন্ধান দেওয়া গেল। দেখে নিন।
রাস্তায় বেরোচ্ছেন, রোদে ঘুরছেন। ট্যান তো পড়বেই। ট্যান তোলার উপায়ও অবিশ্যি আছে। অবাক হবেন না, ফল কিন্তু আপনার ত্বকের ট্যানকে রিমুভ করার জন্য দারুণ উপায় হতে পারে। ফলে থাকা ভিটামিন সি, ও অন্যান্য নানা মিনারেল আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় ও উজ্জ্বল করে।
পেঁপে, আঙুর, টমেটো পেস্ট করে মধু দিয়ে মিশিয়ে মুখে, গলায়, হাতে এবং যেখানে যেখানে ট্যান পড়েছে, লাগিয়ে নিন। ২০-২৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ দিন অন্তত করে দেখুন। দেখবেন ট্যান চলে গিয়ে আপনি আবার আপনার উজ্জ্বল ত্বক ফিরে পেয়েছেন।
যাই করুন না কেন, উজ্জ্বল ত্বক না হলে কিন্তু রাস্তায় কেউ আপনার দিকে তাকাবেও না, বন্ধুদের ভিড়েও পাত্তা পাবেন না। তাই ত্বককে উজ্জ্বল, সুন্দর রাখার জন্য এই ফেস প্যাকটি কিন্তু আপনার ত্বকের বিউটি রুটিনে থাকা মাস্ট।
শসার রস, আর দুধ একটা পাত্রে মিশিয়ে নিন। এবার ওতে পাতিলেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে আপনার মুখে মেখে ফেলুন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। রোজ করেই দেখুন।
আপনার ত্বকের যাবতীয় দাগ, ছোপ, পিগমেন্টেশন এক্কেবারে ভ্যানিশ হয়ে যাবে। শসায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আপনার ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
আর আপনার ত্বকের ঔজ্জ্বল্য যাতে সারাবছর বজায় থাকে, সেজন্য কিছু টুকরো টিপস ফলো করতে ভুলবেন না। বেশী করে জল খান, রোদে বেরোলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, আর ছাতা নিতে কক্ষনো ভুলবেন না।
কেয়া শেঠের এই ম্যাজিক পরামর্শ রোজ ফলো করেই দেখুন। একমাসের মধ্যেই আপনার ত্বক এক্কেবারে মাখনের মতো নরম আর উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। তারপর দেখবেন, রাস্তায় বেরোলে আপনার কর্তাটিও আপনাকে নিয়ে ইনসিকিয়োরিটিতে ভুগছেন!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…