Most-Popular

ঠাকুমার বানানো ট্রাডিশানাল কই মাছের রেসিপি

কথায় আছে ‘কই মাছের জান’। এমনটা বলার কারণ হল, কই মাছ সহজে মরে না। এমনকি অনেকে এও বলেন যে, কই মাছ নাকি, যে রান্না করে তাকেও দেখতে পায়। তবে যা-ই বলুন না কেন, কই মাছ স্বাদে কিন্তু অসাধারণ।

বাজারে মোটামোটি সারা বছরই কই মাছ উপলব্ধ থাকে। আর যদি দেশি পাকা কই হয়, তাহলে অবশ্যই বাজার থেকে কিনে আনুন আর বানিয়ে ফেলুন এই কই মাছের ভাপা তাও আবার ভাতের মধ্যেই।

নিচের ভিডিও দেখে ঠাকুমার থেকে শিখে নিতে পারেন এই রেসিপি

উপকরণঃ

  • পাকা কই মাছ – ৩টে
  • কই মাছের ডিম (না পেলে নাও দিতে পারেন)
  • শুকনো লঙ্কা বাটা
  • কাঁচা লঙ্কা বাটা
  • ৩ কোয়া রসুন
  • ধনে বাটা
  • জিরে বাটা
  • হলুদ গুঁড়ো
  • নুন
  • সর্ষের তেল

পদ্ধতিঃ

প্রথমে কই মাছের আঁশ ছাড়িয়ে ভালো করে কেটে নিতে হবে। যদি মাছ কাটার অভ্যেস না থাকে তাহলে দোকান থেকে কাটিয়ে আনাই ভালো। আর পাকা কই মাছ যদি পান তাহলে তার তেল ও ডিমও পাবেন। সেগুলো কিন্তু একেবারেই ছাড়বেন না।

প্রথম ধাপঃ

প্রথমে মাছে দেওয়ার জন্য মশলাটা তৈরি করে নিন। এর জন্য শুকনো লঙ্কা এবং পাকা ও কাঁচা লঙ্কা এবং রসুন একসঙ্গে পেস্ট বানিয়ে নিন। শিল পাটায় বেটে নিলে একেবারে মা-ঠাকুমার হাতের অথেন্টিক স্বাদটি পাবেন, কিন্তু তা যদি সম্ভব নাও হয়, তাহলে এমনি মিক্সারেও পেস্ট করে নিতে পারেন।

দ্বিতীয় ধাপঃ

এবার টুকরো করা মাছে একে একে লঙ্কার পেস্ট, ধনে বাটা, জিরে বাটা, হলুদ গুঁড়ো, নুন, সর্ষের তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। দেখবেন মশলা যেন সবকটি মাছের টুকরোর গায়ে লেগে থাকে। মাছের ডিম বা তেল থাকলে সেগুলোতেও হালকা করে মশলা মাখিয়ে নিন।

তৃতীয় ধাপঃ

এবার একটি টিফিন বক্সের মধ্যে খানিকটা তেল মাখিয়ে নিন, যদি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে থাকেন, তাহলে আর বাড়তি তেল না দিলেও চলে। এবার টিফিন বক্সের মধ্যে একে একে মশলা মাখানো মাছগুলি দিয়ে দিন। মাছের মাথাগুলো একেবারে প্রথমে দেবেন, তাহলে ভালো করে সেদ্ধ হবে। আর ওপর থেকে মাছের ডিম ও তেল দিয়ে দেবেন। এবার তার ওপর থেকে কয়েকটা কাঁচা-পাকা লঙ্কা সাজিয়ে দিয়ে টিফিন বক্সের মুখ বন্ধ করে দিন।

চতুর্থ ধাপঃ

এই রেসিপির ইউএসপি হল ভাতের মধ্যে হবে গোটা রান্নাটা। এর জন্য কিছুই না এমনিতে ভাপা রান্না যেমন ভাবে করেন তেমন ভাবেই হবে গোটা ব্যাপারটা, তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ২ বার করে জ্বালানী খরচ করতে হবে না।

এক্ষেত্রে প্রথমে যেমনভাবে ভাত বসান যেমন করেই চাল ধুয়ে ভাত ফুটতে দিন। কিছুক্ষণ পরে ভাতের মধ্যে থেকে কিছুটা জল বা ফ্যান ফেলে দিয়ে তার মধ্যে টিফিন বক্সটা বসিয়ে দিন। এই সময় কিন্তু বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করবেন, কারণ হাড়ি থেকে গরম ভাপ বেরবে, তা হাতে লাগলে কিন্তু ফসকা পরে যেতে পারে। তাই সাবধানে বসিয়ে হাঁড়ির মুখ ঢাকা দিয়ে দিন।

এরপর ভাত সেদ্ধ হয়ে এলে ঢাকনা খুলে টিফিন বক্স বের করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা হলে টিফিন বক্স খুলে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ভাপা কই।

Indrani Mukherjee

View Comments

Recent Posts

মুখের রোমকূপ বা পোরস ঢাকার মেকাপ টিপস

আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…

2 বছর ago

থুঁতনির জেদি ব্ল্যাকহেডস তোলার ৬টি উপায়

পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…

2 বছর ago

মেয়েরা বিয়ের কথা শুনে লজ্জায় যে ১০টি জিনিস অজান্তেই করে

আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…

2 বছর ago

ঘরের দেওয়ালে নোনা ধরছে? দূর করুন ঘরোয়া কৌশলে

বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…

2 বছর ago

ময়েশ্চারাইজার কেন এত উপকারি ত্বকের যত্ন নিতে? ব্যবহারের সঠিক নিয়ম।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…

2 বছর ago

নারকেল তেল দিয়ে ত্বকের যত্ন! উজ্জ্বল, চকচকে ত্বকের গোপন রহস্য!

প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…

2 বছর ago