টলিপাড়ার নায়কের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। একেবারে একে ওপরকে টেক্কা দেয় বিভিন্ন চরিত্রে। তাদের ছবি এখন পাড়ি দেয় বিদেশেও। সেখানেও প্রশংসিত হয় তাদের অভিনয়। কিন্তু প্রত্যেক চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার পেছনে থাকে নিরলস পরিশ্রম। কিন্তু প্রত্যেক ছবিতে পরিশ্রমের জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নেন তারা জানেন? চলুন দেখে নেওয়া যাক এইমুহূর্তে টলিউডের দামী নায়কদের লিস্টে কারা রয়েছেন।
প্রথমেই বলতে হচ্ছে আমাদের টলিউডের বুম্বা দার কথা। একসময় ইনি একাই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। একের পর ছবিতে এখনো তার অভিনয় আমাদের মুগ্ধ করে। শোনা যায় প্রতি ছবি পিছু তিনি নাকি তার পারিশ্রমিক ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা।
বুম্বা দার পরেই অন্যতম সুপারহিট নায়ক বলতে যার কথা মাথায় আসে সে হল দেব। শুরুটা হয়েছিল ২০০৫এ ‘অগ্নিশপথ’ ছবির মাধ্যমে। যদিও সেই ছবি ফ্লপ হয়ে যায়। এরপর ২০০৭এ ‘অ্যাই লাভ ইউ’ ছবির পর থেকে বাড়তে থাকে তার জনপ্রিয়তা। তারপর থেকে একের পর ছবি। শোনা যায় প্রতি ছবি পিছু তিনি নাকি চার্জ করেন ১.৫ থেকে ২ কোটি টাকা।
অভিনেতা দেবের সাথে সমানতালে এগিয়ে রয়েছেন যিনি তিনি হলেন জিৎ। তার শুরুটা হয়েছিল ২০০২এ ‘সাথী’ ছবির হাত ধরে। এই ছবি বেশ সুপারহিট হয়। এবং তারপর থেকেই জিৎএর নাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এরপর একের পর এক কমার্শিয়াল ছবিতে তিনি সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনিও প্রত্যেক ছবি পিছু ১.৫ থেকে ২ কোটি টাকা চার্জ করে থাকেন।
এরপরই আসছে অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার নাম। ইনিও কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। বুম্বা দা, দেব, জিৎএর মত টলিউডের সুপারহিট নায়কদের মাঝে জেয়গা করে নিয়েছেন নিজের পরিশ্রম ও অভিনয় ক্ষমতা দিয়ে। প্রতি ছবিতে এই পরিশ্রমের জন্য পারিশ্রমিক বাবদ তিনি নিয়ে থাকেন ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ্য টাকা।
টলিউডের হার্টথ্রব তিনি। ২০০৯এ ‘ক্রস কানেকশন’ ছবির মাধ্যমে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তিনি। তারপরই ব্যোমকেশ চরিত্রে বিভিন্ন ছবিতে জেয়গা করে নেন দর্শকদের মনে। বিশেষ করে টিনেজারের মনে। বেশ অল্প দিনের মধ্যেই নিজের স্মার্ট লুক এবং অভিনয় দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। শোনা যায় প্রতি ছবি পিছু তার চার্জ নাকি ৪০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা।
টলিউডের অন্যতম ট্যালেন্টেড অভিনেতা হলেন ইনি। যদিয় তাকে খুব একটা নিয়মিত দেখা যায় না। কিন্তু তিনি যেকটি ছবিতে কাজ করেন, সেই ছবিগুলিতে তার অভিনয় হয় দেখবার মত। সম্প্রতি রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় ‘পরিনিতা’ ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসা পায় যথেষ্ট। প্রতি ছবি পিছু তিনি নাকি নিয়ে থাকেন ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক।
একটা সময়ে টলিউডে তিনি তেমন জেয়গা পাননি, কিন্তু এখন তিনি তার পরিশ্রম আর অভিনয় দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। টলিউডের ভালো ভালো ছবি তাকে ছাড়া ভাবা যায়না। তবে শুধু টলিউড নয় বলিউডেও ইনি জনপ্রিয়। বাংলার সাথে প্রচুর ভালো হিন্দি ছবিতে তিনি কাজ করে ফেলেছেন। কাজ করে ফেলেছেন বিগ বি, দীপিকা পাড়ুকনের সঙ্গেও। তার প্রতিটি ছবিই যেন স্পেশাল হয়। এবং অভিনয়ও যথেষ্ট প্রশংসিত। প্রতি ছবি পিছু তার পারিশ্রমিক প্রায় ৪০ লক্ষের কাছাকাছি থাকে।
নেই কোন সিক্স প্যাক। দেখা যায় না সুপারহিট কমার্শিয়াল ছবিতে হিরোর চরিত্রে। তবুও তিনি রয়েছেন জনপ্রিয়তার শিখরে। কারণ তার সাবলীল অভিনয়। অভিনয় করতে ভালোবাসেন এবং প্রতিবার সেরা অভিনয়টাই দর্শক পান তার থেকে। স্পেশাল চরিত্র ছাড়া তাকে খুব একটা দেখা যায় না। ছবি পিছু তার পারিশ্রমিক ২০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা।
অনেক ছোট বয়স থেকেই তিনি পা রেখেছেন বাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। তার ফলে অভিনয়ে যথেষ্ট দক্ষ তিনি। বেশ কিছু সুপারহিট কমার্শিয়াল ছবিতে তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন তার দারুণ অভিনয় দিয়ে । যদিয় এখন তাকে সেই ভাবে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে না। তবুও শোনা যায় প্রতি ছবি পিছু তিনি নাকি নেন ৩০ – ৪০ লক্ষ টাকা।
এই মুহূর্তে দুজনই টলিউডের নতুন মুখ। কিন্তু জনপ্রিয়তাও বাড়ছে ধীরে ধীরে। বনি সেনগুপ্ত রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় ‘বরবাদ’ ছবি দিয়ে শুরু করেন তার ক্যারিয়ার। প্রথম ছবিতেই বেশ জনপ্রিয় হন তিনি। এরপর একের এক ছবিতে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে টলিউডের বেশ চেনা মুখ হয়ে উঠেছেন।
অন্যদিকে ইয়াশ দাসগুপ্তও এখন নতুন। কিন্তু ইতিমধ্যেই বেশ চেনা ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ২০১৬তে ‘গ্যাংস্টার’ ছবির মাধ্যমে পা রাখেন টলিউডে। প্রথম ছবিতেই যথেষ্ট নাম করেন। এরা দুজনেই প্রত্যেক ছবি পিছু চার্জ করেছেন প্রায় ২০ – ২৫ লক্ষ টাকা।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখি ছবির বাজেট, ইনডর, আউটডর শুটিং এসবের ওপর ভিত্তি করে অভিনেতাদের পারিশ্রমিক পরিবর্তন হয়। বড় বাজেটের ছবি হলে পারিশ্রমিক বেশি হয়। তাই এখানে দেওয়া পারিশ্রমিকের একটু এদিক ওদিক হতেই পারে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…