প্রতিদিন ঠিকঠাক ক্লিয়ার হয় তো? এই ক্লিয়ার হওয়া নিয়েই ‘টয়লেট’, অক্ষয় কুমারের সিনেমা, দেখেছেন নিশ্চয়ই। একটা মেয়ে বিয়ের পর তার স্বামীর ঘর থেকে চলে আসছে কারণ সেখানে বাথরুম নেই।
ভাবুন কি সাহস! প্রধানমন্ত্রী যবে থেকে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর কথা বলেছেন, তবে থেকে তো আমাদের পুরুষদের মাথায় হাত দেওয়ার যোগাড়। আগে বিদ্যা বালান এই টয়লেট নিয়ে এতো প্রচার করেছিলেন যে তা দেখে তো গ্রামের মেয়েদের মাথা ঘুরে গেছে। আর এবার তো অক্ষয় কুমার গোটা একটা সিনেমাই বানিয়ে ফেললেন। ভাবুন দেখি কান্ড! ‘খতরো কি খিলারি’ পুরুষদের জন্য কি খতরাই না এনে দিয়েছেন! কিন্তু, আমরা একটু অন্যভাবে দেখব বিষয়টা। টয়লেট না থাকলে কি ভালোই না হত আসুন আপনাদের দেখাই।
বেকার টাকা দিয়ে সার কিনতে যাবেন কেন বলুন তো? ক্ষেতে শৌচ করার সবচেয়ে ভালো দিক তো এটাই যে ফসলগুলো ভালো সার পাবে। ভাবুন তো, এতো টাকা দিয়ে রাসায়নিক সার, ইউরিয়া, এই সব কিনে দোকানদারের পকেট গরম না করে ক্ষেতে গিয়ে বসে পরলেই হল। গরুর গোবর যদি ভালো সার হয়, তাহলে আমাদেরটাও উর্বরতা বাড়াবে। পেটও হাল্কা হবে, ফসলও বেড়ে উঠবে। বেকার কেন টাকা নষ্ট করবেন বলুন তো। ক্ষেত থেকে এতো কিছু পাচ্ছেন, ক্ষেতকে কিছু দিয়ে তো যান।
মর্নিং ওয়াক যে করেন, ভেবে দেখেছেন কি গ্রামের মানুষদের আলাদাভাবে এই সময়টাও দিতে হয় না। যখনি চাপ আসে, গাড়ু নিয়ে ক্ষেতে দে দৌড়! এবার ওতখানি হাঁটলে বা দৌড়ালে পেটে তো এমনিতেই চাপ পড়বে। তারপর বসলেই অল ক্লিয়ার। আলাদা করে কোনো ওষুধই খেতে হবে না। মানে আপনার মর্নিং ওয়াকের সময় বেঁচে গেল, ওষুধ খরচাও বেঁচে গেল। গ্রামের মানুষদের স্বাস্থ্য কি এমনি এতো ভালো দাদা!
দেখুন, গ্রামে তো জলের সমস্যা আজও কমলো না। এবার টয়লেট বানালে তার জন্য আলাদা জলের ব্যবস্থা। এতো ঝামেলা করে কি লাভ বলুন দেখি! ঝোপের আড়ালে বসে পরলেই তো ল্যাটা চুকে গেল। আপনারা শহরে নাকি টয়লেট-পেপার না কি ব্যবহার করেন। আমাদের কচু পাতায় কাজ তো দিব্যি চলে যায়। বড় বড় পাতা, মুছে নিয়ে ফেলে দিন; ব্যস! এতে শরীরও হাল্কা হল, জলটাও বাঁচল।
এবার দেখুন সারাদিন তো কাজ করতেই হবে, নইলে খাবো কি! এই কাজের চক্করে লোকেদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হয়ই না প্রায়। তাই বলি, একটু সামাজিক হন। একা কাজ না সেরে সবাইকে নিয়ে সারুন। এতে সবার সঙ্গে দেখা হবে সক্কাল-সক্কাল, কুশল মঙ্গল জানা হবে। একা টয়লেটে না ছেড়ে ক্ষেতে ছাড়তে গেলে কাছাকাছি বসে হাল্কা পেটে হাল্কা মনে হাল্কা চালে গজল্লা করা যাবে। পি.এন.পি.সি’র জন্য আলাদা সময় আর দিতে হবে না। ভালো না ব্যাপারটা!
দেখা করতে যাবেন মনের মানুষের সাথে? ছুতো খুঁজে পাচ্ছেন না! হাতে ঘটি নিন আর দৌড়োন। কেউ কিচ্ছু বলতে পারবে না। এবার দেখুন জিনিসটা কতক্ষনে বেরোবে, এতে তো আপনার হাত নেই। যত খুশী সময় নিন আর প্রেম করুন। তারপর দায় চাপিয়ে দিলেই হল কোষ্ঠকাঠিন্যের ওপর। তা কয়েকদিন একটু তেল-ঝাল কম খেতে হবে; তাতে কি! ঝোপের আড়ালে ভালো কিছু খেতে, থুরি, পেতে হলে তো এটুকু করতেই হবে।
এবার সিদ্ধান্ত আপনার ওপর। মানবজাতির সেবা অনেকভাবেই তো করলেন। এবার একটু এভাবে করে দেখুন না। নিজের মতে চলুন, নিজের শৌচ নিজের পছন্দ মতো জায়গায় করুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…