ঠাকুমা-দিদিমার এইসব টিপস মেনে চললে খাবার হবে দ্বিগুণ সুস্বাদু!
যাঁরা ঠাকুমা-দিদিমার সান্নিধ্য পেয়েছেন, তাঁরা জানেন ঠাকুমা-দিদিমার হাতের রান্না কতখানি সুস্বাদু। ঠাকুমা-দিদিমার হাতের রান্নার সেই স্বাদ কিন্তু চাইলেও ভোলা যায় না। তা সে যে খাবারই হোক না কেন, হতে পারে তাঁদের হাতে তৈরি চা বা অন্য কোনও খাবার।
সত্যি কথা বলতে আগেকার দিনে ঠাকুমা-দিদিমারা তাঁদের রান্নায় যে কেবল মশলা মেশাতো তা নয়, তাঁদের রান্নায় থাকত অনেক ভালোবাসা। আর এই ভালোবাসার সামনে যত নামী-দামী মশলা হোক না কেন, তার কোনও কিছুই কিন্তু কাজ করে না।
জেনে নেওয়া যাক সেইসব জাদুময় মশলার কথা!
বানানোর আগের দিন কাবলি ছোলা ভেজানোর সময়ে তার সঙ্গে ২ চামচ চানা ডাল মিশিয়ে নিন। এরপর পরের দিন সকালে তা সেদ্ধ করে নিন। এতে পাঞ্জাবী ছোলার গ্রেভি খুব ভালো হবে। তবে এছাড়াও যদি পাঞ্জাবী ছোলার সঙ্গে ডালিমের বীজ গুঁড়ো করে ছেকে নিয়ে মেশান তাহলে পাঞ্জাবী তড়কার রঙ কিন্তু একদম বাজারের মতোই হবে।
আলু ক্যাপসিকাম দিয়ে বানানো তরকারি আপনি নিশ্চয় বহুবার খেয়েছেন। তবে এই রোজকার তরকারিতে আপনি যদি অন্যরকম স্বাদ পেতে চান তাহলে আলু অর্ধেক রান্না হওয়ার পর তাতে ক্যাপসিকাম যোগ করুন। এরপর তাতে দিন এক চিমটে ম্যাজিক। কী এই ম্যাজিক? তা হল লাল লঙ্কার গুঁড়ো। যখনই আপনার সবজি রান্না শেষ হবে, তারপরই লাল গুড়ো লঙ্কা মিশিয়ে একবার নাড়িয়ে গ্যাস অফ করে রান্নাটি ঢেকে দিন।
প্রতিদিন যদি আপনি নরম রুটি খেতে চান, তাহলে তার সহজ একটি টোটকা হল হাল্কা গরম জলে ময়দা বা আটা মেখে নিন, সেইসঙ্গে যোগ করুন গরম দুধ। এরপর এতে সামান্য নুন মিশিয়ে ময়দা মেখে নিন। আর ময়দা সেট হওয়ার জন্য কম করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় দিন।
বাড়িতে যখনই রাজমা বানাবেন, তখন দেশি ঘি ব্যবহার করুন। এটি রাজমার স্বাদ কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি বেসনের কারি তৈরি করার সময়ে এতে গ্রেট করা আদা, কাঁচালঙ্কা, এবং ধনে যোগ করুন। পাশাপাশি বেসনের কারি বানানো সময়ে এতে যোগ করুন মেথি। আপনার হাতে তৈরি এই কারি কিন্তু মানুষ বহুদিন পর্যন্ত মনে রাখবে।
গাজরের হালুয়া তৈরি করার সময় সবথেকে কঠিন কাজ হয়ে ওঠে, সবার শেষে গাজরকে শুকিয়ে ফেলা। তবে গাজরের হালুয়া বানানোর সময়ে সবার শেষে আপনি যদি আধ কাপ পরিমাণ নারকেলের দুধ মিশিয়ে দেন, তাহলে গাজরের হালুয়া কিন্তু তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে যাবে। পাশাপাশি তা শুকোনোর জন্য বেশি পরিশ্রম করতে হবে না। দ্বিতীয়ত, হালুয়ার গাজর কাটার সময়ে কয়েকটি গাজর ছোট ছোট টুকরো করে কেটে দিন। সব গাজর কুচোবেন না। এতে করে আপনার হালুয়ার স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
সুজির হালুয়াও বহু মানুষ বানান কিন্তু সঠিক বানানোর পদ্ধতি সকলে জানেন না। এক্ষেত্রে প্রথমে দেশি ঘিয়ে সুজি অল্প আঁচে নেড়ে নিন। এরপর বানাতে হবে সিরাপ। সেক্ষেত্রে যতটা সুজি, তার তিনগুণ জল, আর সুজির সমান পরিমাণ চিনি নিতে হবে। চিনি জলের মধ্যে ভালো করে মিশে যাওয়ার পর তাতে অল্প অল্প করে সুজি মেশান। আর যদি আতি সুস্বাদু হালুয়া বানাতে চান তাহলে যে পরিমাণ সুজি সেই পরিমাণ দেশি ঘি নেবেন। তবে সেক্ষেত্রে ক্যালোরীর পরিমাণ কিন্তু অনেকটাই বেড়ে যাবে, তাই বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া এভাবে বানাবেন না।
আলু সবজির গ্রেভি হোক বা বাঙালী কারি-এই সব রান্নার স্বাদ দ্বিগুণ করে দেয় দেশী ঘি। গরমকালে ধনেপাতা না থাকলে কসুরি মেথি ব্যবহার করতে পারেন। স্বাদে কোনও তফাত হবে না। দেশি ঘি-এর মধ্যে হিং, জিরে এবং লাল লঙ্কা মিশিয়ে নিন।
যেকোনও গ্রেভি বানানোর সময় আপনি যদি দেখেন যে গ্রেভি পাতলা হয়ে গেছে, তাহলে তার মধ্যে সেদ্ধ করা আলু চটকে নিয়ে মিশিয়ে দিন, তাহলে দেখবেন গ্রেভি ঘন হয়ে গিয়েছে।
বিশেষ টিপস
দুধ ফুটে ওঠার পর তা কিছুক্ষণ অল্প আঁচে রেখে দিন। এতে তাৎক্ষনিকভাবে দুধ ফেটে যাওয়ার ভয় নেই। তবে গরমকালে এই টোটকা ট্রাই করবেন না। তবে দুধ ফুটিয়ে আপনি যদি ফ্রিজে রাখতে না পারেন, তাহলে তাতে সবুজ এলাচ দিয়ে দিন এতে দুধ কাটবে না।
চা খেয়ে যদি অ্যাসিডিটি হয়, তাহলে মৌরি চা পান করুন। আর গরমের দিনে এতে যোগ করুন পুদিনা পাতা।স্বাদই আলাদা হবে।
View Comments
I am interested
Thakuma /didimar shomoy ei shob recipe chilo???
খুব ভালো লাগল। অনেক উপকারী কথা গুলো লিখেছেন।
ভালো লাগলো। আরো
গুছিয়ে ছবির সাথে প্রেসেন্ট করেন।
Thank You.