এখন তো বর্ষার সময়, মানে সর্দি খানিক লেগেই থাকে। আর সর্দি মানেই নাক বন্ধ হওয়া। তার মানে আপনি অনেক কিছুরই গন্ধ পাবেন না। এর সঙ্গে থাকবে নাক জ্বালা। কিন্তু নাক বন্ধ হয়ে গেলে সেই বন্ধ নাক ছাড়িয়ে গন্ধ ফিরত পাবেন কিকরে! শুধু দোকানে গিয়ে কিছু নাক খোলার জিনিস ব্যবহার করে লাভ নেই। ঘরোয়া ভাবেই এই কাজ সহজে হতে পারে।
সর্দি হলে আমরা নাকে গন্ধ পাই না। নাক বন্ধ হয়ে যায় বলি আমরা। কিন্তু কেন এমন হয়! আসলে আমাদের নাকের উপরের দিকে স্মেল নার্ভ থাকে। এই স্মেল নার্ভ সরাসরি যুক্ত থাকে আমাদের ব্রেনের সঙ্গে। সর্দি হলে নাকে যখন মিউকাস জমে থাকে, তখন বাইরের কোনও কিছুর গন্ধ এই মিউকাস ভেদ করে স্মেল নার্ভের সংস্পর্শে আসতে পারে না। আর তাই স্মেলের অনুভূতি আমাদের মাথা অবধি যায় না। তাই সর্দি হলে আমরা গন্ধ পাই না অনেক কিছুর।
বেশ কিছু ঘরোয়া কাজ করা যায় গন্ধের অনুভূতি ফিরিয়ে আনার জন্য। সাধারণ ছোট কিছু জিনিস দিয়ে এই নাকের ঘ্রাণ ফিরিয়ে আনা যায়।
আপনারা সকলেই নিশ্চয়ই জানেন যে ইউক্যালিপটাস গাছের পাতার খুব ভালো একটা গন্ধ আছে। আর সেই গন্ধটা এতই স্ট্রং যে সর্দির সময়ে আপনি যদি সেই পাতার স্মেল নেন তাহলে নাক তাড়াতাড়ি ছেড়ে যাবে। ইউক্যালিপটাস পাতা না পেলে হাতের কাছে, আপনি ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েলের স্মেল নিতেই পারেন। এতেও কিন্তু আপনার নাক ছেড়ে স্মেল নার্ভ সক্রিয় হয়।
সর্দির জন্য আদা যে ভালো তা তো আমরা জানি। কিন্তু এই আদার গন্ধই আপনার স্মেল নার্ভ সক্রিয় করতেই পারে সহজে। আদা চা তৈরি করে যখন খাবেন তখন সেই চায়ের গন্ধ নিন নাকের মাধ্যমে। খুব তাড়াতাড়ি এতে নাক খুলে যায়।
রসুনের ঝাঁঝালো গন্ধ আপনার স্মেল নার্ভের জন্য খুব ভালো। আপনি গরম ভাতের মধ্যে রসুন নিয়ে কাঁচা সরষের তেল দিয়ে যখন খাবেন সেই গন্ধটা কিন্তু আপনার নাকের জন্য খুব ভালো। সর্দির মধ্যে এই গন্ধও খুব ভালো কাজ দেয়। শুধু রসুনের গন্ধও খুব ভালো স্মেল নার্ভ সক্রিয় করার জন্য। এছাড়াও গরম জলে কয়েক কোয়া রসুন থেঁতো করে দিয়ে, তাতে অল্প নুন দিয়ে সেই জল খেলেও নাক তাড়াতাড়ি খুলে যায়।
পাতিলেবুতে আছে অনেক ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান। এই সবের জন্য পাতিলেবু মিউকাস সরিয়ে ফেলতে খুব ভালো কাজ দেয়। সকালে এবং বিকেলে, দিনে দু’বার লেবুর জল খেতে হবে। হাল্কা গরম জলে খানিক পাতিলেবুর রস আর মধু নিয়ম করে রোজ খেলে নাকের মিউকাস সরে গিয়ে গন্ধের অনুভূতি ফিরে আসে।
ক্যাস্টর অয়েল নাকের জন্য খুবই ভালো। বিশেষ করে সর্দির সময়ে নাকের জ্বল পড়া, নাক জ্বালা করা এই সবের জন্য ক্যাস্টর অয়েল খুব ভালো। দু ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল দুই নাকে গরম করে দিয়ে নাক টানুন। দিনে দু বার অবশ্যই করবেন। দু থেকে তিন দিনের মধ্যে নাকের মিউকাস সরে যাবে।
পুদিনা পাতার মধ্যে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান আছে প্রচুর পরিমাণে। তাই পুদিনা বন্ধ নাক খোলার ক্ষেত্রে দারুণ কাজ দেয়। দশ থেকে পনেরোটা পুদিনা এক কাপ জলে নিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণে এক চামচ মধু দিয়ে সেই উষ্ণ জল খানিক খানিক পান করতে থাকুন। এই পুদিনার গন্ধেই আপনার স্মেল নার্ভ সক্রিয় হবে।
হিং আর কর্পূরের গন্ধ আমাদের ব্রেনের জন্য খুব ভালো। সর্দির সময়ে নাক বন্ধ হলে এই মিশ্রণ একবার অবশ্যই ট্রাই করুন। কর্পূর আর হিং এই দুইয়েরই গন্ধ খুব স্ট্রং। এই গন্ধই আপনার স্মেল নার্ভ জাগিয়ে তুলবে। আপনি যে ঘরে থাকেন সেখানে এই মিশ্রণ রাখতে হবে। আপনার নাকের কাছে যেন গন্ধ যায় সেই জায়গায় রাখতে হবে এই দুই উপাদান। একটি পাত্রের মধ্যে কর্পূর আর হিং রেখে দিন একসঙ্গে। আর মাঝে মাঝে স্মেল নিন। নাক একেবারে ছেড়ে যাবে।
লবঙ্গ সর্দি বা জ্বরের সময়ে যে কত ভালো কাজ দেয় তা আর নতুন করে বলার নয়। লবঙ্গ শুধু মুখে রাখলেই তার গন্ধে নাক খুলে যায়। আবার কেউ যদি লবঙ্গ একটু পুড়িয়ে সেই গুঁড়ো একটা পাত্রে রেখে মাঝে মাঝে স্মেল নেন তাতেও অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।
এই তো সামান্য ঘরোয়া জিনিস। এর মধ্যে যে কোনও একটি ব্যবহার করলেই আপনার নাক ছেড়ে যাবে আর আপনি সব কিছুর স্মেল পাবেন আবার আগের মতো।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…