যত মনোযেগ সহকারে আপনি সুন্দর সুন্দর শাড়ি কেনেন, ব্লাউজ সেলাই করার সময়েও কি ততটাই মনোযোগ দেন? যদি তা না হয়, তবে আপনার জানা দরকার যে, আপনার ব্লাউজ যে কেবল আপনার শাড়ির সৌন্দর্যকে খোলতাই করতে পারে, তা নয়, বরং শাড়ির সৌন্দর্য বিগড়েও দিতে পারে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, এমন কোন কোন বিষয় রয়েছে যা ব্লাউজ সেলাই করার আগে আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
আপনার শাড়িটি যতই সুন্দর হোক না কেন, তার ব্লাউজটি যদি খারাপ ফিট হয় তবে পুরো শাড়ির সৌন্দর্যটিই নষ্ট হতে পারে। সুতরাং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি যখন ব্লাউজটি সেলাই করতে যাবেন তখন কিছু বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন।
যে কোনও কাপড় বা পোশাক তখনই আপনাকে মানাবে, যখন এর ফিটিংস ঠিকঠাক হবে। একই নিয়ম ব্লাউজের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এমনকি যদি আপনার দর্জির কাছে আপনার ব্লাউজের মাপ আগে থেকে থেকেও থাকে, তাহলেও প্রত্যেকবার ব্লাউজ বানানোর আগে অবশ্যই নিজের মাপ দিন। বিশেষত যখন আপনি নিজের ব্লাউজ ডিজাইনে গলা বা পিঠের কাছের ডিজাইন আলাদাভাবে তৈরি করছেন।
এমনকি হাতের দৈর্ঘ্যের ওপরেও বিশেষ গুরুত্ব দিন। প্রত্যেক ব্যক্তির শারীরিক গঠন আলাদা। সুতরাং যে ব্লাউজটি অন্য কাউকে পরে দেখতে ভালো লাগছে তার মানে আপনাকেও ভালো লাগবে, এমনটা নাও হতে পারে। আপনার শরীরের সাথে মেলে এমন দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ব্লাউজের হাতা বানান।
ব্লাউজের ফেব্রিক ব্লাউজের সেলাইয়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ, ফেব্রিকটি মোটা না পাতলা, সুতি না রেশম ইত্যাদি। একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখন যে, আপনার ফেব্রিকটি যদি পাতলা বা ট্রান্সপারেন্ট ব্লাউজ বা স্বচ্ছ হয় ,তাহলে ব্লাউজে অবশ্যই লাইলিন দেবেন। এতে ব্লাউজ অনেকদিন ভাল থাকে। লাইলিন দেওয়ার সময় কাপড়ের রঙটি সঠিকভাবে বাছা হচ্ছে কি না তা অবশ্যই দেখে নেবেন। অন্যথায় আপনার লাইলিনটি আপনার ব্লাউজের রঙ পরিবর্তন করে দিতে পারে। এছাড়াও, যদি আপনার ফেব্রিক সুতির হয়, তাহলে সেটাকে ধুয়ে ইস্ত্রি করার পর তবেই সেলাই করুন।
এটি ব্লাউজের কাপড়ের ওপর তৈরি হওয়া নকশা বা প্যাটার্নের ওপরেও বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার বুকের ভারি হয় তবে ব্লাউজের সামনের অংশে বা গলায় ভারী কাজ থাকা উচিত নয়। যদি তা না হয়, তবে আপনার বুক আরও ভারী দেখাবে। একইভাবে যদি আপনার হাতগুলি খুব মোটা হয় তবে হাতে বেশি করে সুতোর কাজ বা নকশার থাকলে তা আপনার হাতগুলিকে আরও ভারী লুক দেবে। অতএব, আপনার শরীরের গঠন অনুযায়ী ব্লাউজ সেলাই করুন।
ব্লাউজের নেকলাইনও ব্লাউজের একটি প্রয়োজনীয় দিক। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার ঘাড় লম্বা এবং পাতলা হয়, তবে আপনি একটি উঁচু গলা বা হাইনেক ব্লাউজ সেলাই করতে পারেন। যদি আপনার মুখের ওজন বেশি হয়, বা আপনার ঘাড় ছোট হয়, তবে আপনার উচিত গোলা গলার ব্লাউজ তৈরি করা।
এছাড়াও, ব্লাউজের পিছনের অংশটি তৈরি করার সময়, মনে রাখবেন যে যদি আপনার পিঠ পরিষ্কার না হয় বা পিঠের অংশটি দেখতে সুন্দর না হয়, তবে কী-হোল বা পিক-এ-বু ডিজাইন বানিয়ে নিতে পারেন। আর যদি পিঠ খুব সুন্দর হয় তবে আপনি একটি ব্যাকলেস ব্লাউজটি সেলাই করতে পারেন।
আজকাল ফ্যাশন বৈপরীত্যের ওপর টিকে রয়েছে। তবে বৈপরীত্যটি করার সময়, মনে রাখবেন যে আপনার ব্লাউজে অবশ্যই এমন কিছু আছে যা সেই শাড়ির সঙ্গে মেলে। যেমন সূচিকর্ম, প্যাটার্ন, ফেব্রিক বা রঙ। এমনটাও নয় যে আপনি এতটাই বৈপরিত্য আনতে গেলেন যাতে লোকেরা মনে করেন যে আপনি অন্য কোনও শাড়ির ব্লাউজ পরে এসেছেন।
একটি বিশেষ বিষয় – যদি আপনার ব্লাউজের নেকলাইনে কাজ করা থাকে, তাহলে শাড়িটি এমনভাবে পরুন যাতে আপনার ব্লাউজের নেকলাইনটি দৃশ্যমান হয়।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…