অতীত বস্তুটাই এমন যে ফুরিয়েও তার রেশ থেকে যায়। বর্তমানকে সে ডাকে হাতছানি দিয়ে। পেছন ফিরে তাকালে এক অদ্ভুত মুগ্ধতা ও ভালোলাগায় আচ্ছন্ন করে আমাদের ৯০ এর দশক। আমরা যারা বড়ো হয়ে উঠেছি সেই সময় তার স্মৃতি এখনো মনের মনিকোঠায় উজ্জ্বল হয়ে আছে।
সেইসব দিনের খাবার, গান, টিভি শো ও নানা সরঞ্জাম আজো সম্মোহিত করে আমাদের, বাঁচার রসদ যোগায়। এগুলো মনে করলেই সেইসব সময়ে ফিরতে ইচ্ছে করে। যদিও জানি তা আর সম্ভব নয়। বর্তমান যান্ত্রিক ল্যাপটপ আর ফোনের প্রজন্ম অনেকটাই সেসব বিষয় নিয়ে অজ্ঞাত। তাদের কাছে তুলে ধরছি আমাদের সেই স্বর্ণযুগ।
এখনকার মতো ভ্যানিলা, চকোলেট, বাটারস্কচ বা ব্ল্যাকফরেস্ট কেক না থাকলেও সেই সময় ছিল সবাইকার জন্য ৫টাকা দামের বাপুজী কেক একদম হৃদয়ের কাছাকাছি। স্কুলের টিফিনেও এর স্বাদ নিয়েছেন অনেকেই। এখনো কাঁচের জারে দেখলে মন নিশপিশ করে নিশ্চই।
তৎকালীন সময়ে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। রেডিও চালিয়ে পরিবারের সদস্যরা গোল হয়ে বসে মনোযোগ দিয়ে শুনতো আকাশবাণী ও নানা অনুষ্ঠান। আর মহালয়ার সকালে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের অমর কণ্ঠস্বরে মহিষাসুরমর্দিনী কেই বা ভুলেছে!
বাড়িতে নতুন জামাই এর আপ্যায়ন থেকে শুরু করে গ্রীষ্মকালে দুদণ্ড স্বস্তির মাধ্যম পর্যন্ত বাঙালি বাড়িতে তালপাখা এক আলাদা ঐতিহ্য বহন করে এসেছে। বর্তমানে তার জায়গা করে নিয়েছে এসি ও প্লাস্টিক এর ফ্যান।
মা ঠাকুমাদের মসলাবাটার সবচেয়ে জরুরি উপকরণ ছিল এই সিল নোড়া। সমস্ত গোটা মসলা পিষে তা চালান হতো হরেকরকম তরকারিতে। শীতকালে ওই সিলেই বেটে দেয়া হতো ছাদে নকশা বড়ি। বর্তমানে ব্লেন্ডার এর যুগে এটি অচল হয়েছে বলা চলে।
হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মতো তখন মেসেজ আদানপ্রদান অতটা সুবিধেজনক ছিলোনা। সবার বাড়ি বাড়ি ল্যান্ডফোন ও ছিলোনা। ডায়ালে নম্বর ঘুরিয়ে তবেই লাগতো কল। আর্জেন্ট কল থেকে যুবকযুবতীদের প্রেমালাপ সবই চলতো ফোনেই।
অডিও ক্যাসেটে কুমার শানু, উদিত নারায়ণ, অলকা যাগ্নিকরা ছিলেন শ্রোতাদের কাছে তারকা। আশিকি এর গান হোক বা পাপা কেহতে হে এর সুরে তখন বিভোর হতো কিশোর কিশোরীরা। বর্তমানে অনলাইনে ইউটিউব এর যুগে এগুলো বাজার হারিয়েছে।
ছুটির দিনগুলো বা স্কুল ফেরত সময়গুলো ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যেত এই পোর্টেবল ভিডিও গেমে। ভিডিও গেম কিনে দেবার জন্য মা বাবার কাছে জেদ ধরেনি এরকম বাচ্চা বোধহয় পাওয়া যাবেনা। টেট্রিস ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় গেম। এন্ড্রয়েড এর যুগে এসব অতীত এখন।
বাঙালি বাড়িতে আভিজাত্যের প্রতীকস্বরূপ। কলের গান আজও অনেকেরই কানে লেগে থাকবে বেগম আখতারের গজল। ইয়া বড় বড় ক্যাসেটে অনুরণিত হতো সেকেলে বাদ্যযন্ত্রের ঝংকার। এখন শোপিস হিসেবেই বেশি ব্যবহৃত হয়।
ছেলেবেলা স্মৃতিবিজড়িত লজেন্স হলো আমপাচক। আমের টকস্বাদের হজমিগুলি টাকা বাঁচিয়ে খাবার আনন্দই আলাদা ছিল।
কালার ব্যালেন্স, আলোর মাত্রা মাপা ও ক্যামেরাম্যানের মুন্সিয়ানার নজির বহন করতো ব্ল্যাক এণ্ড হোয়াইট ছবিতে। ডিজিটাল ক্যামেরা ও পরে ডিএসএলআর এর অস্তিত্ব করেছে ম্লান।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…