রেফ্রিজারেটরে সব খাবার ঠিক থাকলেও দুধ ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে যায়। কারণ পাস্তুরিত দুধের উৎপাদনকালে ৯০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা হলেও বাকি ১০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া থেকেই যায়। ঐ ১০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া পরবর্তীতে দুধে পচন প্রক্রিয়া শুরু করে এবং ফ্রিজের শীতলতাও এই পচন রোধ করতে পারেনা।
রেফ্রিজারেটরে সব খাবার ঠিক থাকলেও দুধ ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে যায়। কারণ পাস্তুরিত দুধের উৎপাদনকালে ৯০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা হলেও বাকি ১০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া থেকেই যায়। ঐ ১০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া পরবর্তীতে দুধে পচন প্রক্রিয়া শুরু করে এবং ফ্রিজের শীতলতাও এই পচন রোধ করতে পারেনা।
আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ফেটে যাওয়া দুধ থেকে ৬ রকমের খাবারের রেসিপি। তো শুধু শুধু দুধ ফেলে না দিয়ে জেনে নিন কিভাবে এটা দিয়ে খাবার বানাবেন।
প্রথমে একটা বাটিতে ময়দা, বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার, লবণ আর চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর আরেকটা বাটিতে ডিম, নষ্ট দুধ আর মাখন ফেটিয়ে রাখুন। এবার দুইটি মিশ্রণ একসাথে মিশিয়ে ডো বানিয়ে ২ ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিন। ২ ঘন্টা পরে ডো বের করে ডোনাটের শেপে কেটে ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে নিন। তৈরি হয়ে গেল নষ্ট দুধ থেকে বানানো মজাদার ডোনাটস।
নষ্ট দুধ দিয়ে চাইলে শুধু ছানা যেমন বানাতে পারবেন, তেমনি ছানার মিষ্টিও বানাতে পারবেন। যা যা লাগবে –
প্রথমে দুধের সাথে লেবুর রস/ভিনেগার মিশিয়ে হালকা আঁচে ২ থেকে ৩ মিনিট নাড়ুন। এক পর্যায়ে দেখবেন ছানা কাটতে শুরু করেছে৷ পুরোপুরি ছানা হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এরপরে এর সাথে ঠান্ডা পানি মিশিয়ে ছানা ছেঁকে নিন। বাড়তি পানিটা ঝরানোর জন্য ছানা সুতি কাপড়ে মুড়ে ভালো করে চিপে নিন। একটা বাটিতে পানি ঝরানো ছানার সাথে চিনি মিশিয়ে নিন ভালো করে। এরপর ইচ্ছামত শেপ দিয়ে মিষ্টি বানিয়ে নিন।
নষ্ট দুধ থেকে ছানা বের করে কাটলেটও বানাতে পারেন। এটা করতে যা যা লাগবে –
প্রথমে কিছু কাজ করতে হবে। ডিম ফেটিয়ে আলাদা বাটিতে রাখুন, পেঁয়াজ ভেজে বেরেস্তা করে রাখুন, পাউরুটির বাদামি অংশ কেটে ফেলে দিন৷ পাউরুটি ছিড়ে ছিড়ে টুকরা করে নিন। এগুলো করা হলে পাউরুটির টুকরা, ছানা, লবণ, বিট লবণ, জিরা গুঁড়া, বেরেস্তা, রসুন কুচি, মরিচ, ধনেপাতা একসাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। এবারে কাটলেটের শেপ দিয়ে ডিমে চুবিয়ে তারপর ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে ডুবো তেলে ভাজুন। গরম গরম পরিবেশন করুন সস বা চাটনি দিয়ে।
কেক বানাতে যা যা লাগবে –
একটা বাটিতে ময়দা, বেকিং সোডা, চিনি, দুধ আর পানি ভাল করে মিশিয়ে নিন। আরেকটা বাটিতে ডিম আর মাখন ফেটিয়ে নিন, তারপর এই মিশ্রণটা প্রথম বাটির মিশ্রণের সাথে যোগ করুন। দুটো মিশ্রণ ভালোমতো মেশানো হয়ে গেলে বেকিং ট্রেতে ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ২৫ মিনিট বেক করুন। বের করা হয়ে গেলে কেটে পরিবেশন করুন। এই কেক একবার খেলে বারবার খেতে মন চাইবে।
মজাদার কালাকান্দ বানাতে যা যা লাগবে –
প্রথমে ফেটে যাওয়া দুধের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে হালকা আঁচে ছানা বানিয়ে নিন। এরপরে ৪ কাপ ভালো দুধ জ্বাল দিয়ে ২ কাপ করে নিন। তারপর এই দুধে ছানা মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি যখন ঘন হয়ে যাবে তখন নামিয়ে নিন। এরপরে ঠান্ডা করে পছন্দমতো শেপে কালাকান্দ কেটে নিন।
দারুণ সুস্বাদু ভাপা সন্দেশ বানাতে যা যা লাগবে –
প্রথমে দুধের সাথে লেবু আর পানি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ছানা তৈরি করে নিন। একটা সুতি কাপড়ে ছানাটা ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা পানিতে ছানা ধুয়ে তারপর ছানা আলতো করে চেপে পানি ঝরিয়ে তুলুন। ছানায় একটু পানি থাকলেও সমস্যা হবে না।
এরপরে ছানাটা মিক্সারে ঢেলে পিষে নিন একবার। পেষা ছানায় গুঁড়া দুধ, কাজুবাদাম দিয়ে আবারো পিষুন। এক পর্যায়ে ভ্যানিলা এসেন্স আর অল্প পানি দিয়ে আবারো পিষে ঘন তরল মিশ্রণের মত বানান। এবারে সন্দেশ বানানোর পালা।
চুলায় একটা বড় কড়াইতে অল্প পানি নিয়ে বসিয়ে দিন আর চুলার আঁচ একদম কমিয়ে রাখুন। এবার একটা স্টিলের টিফিন বক্সে ব্যাটার পেপার বিছিয়ে তার উপর ঘি ব্রাশ করে নিন এবং দুধ-বাদামের মিশ্রণটা ঢেলে দিন। ঢালা হলে উপরে জাফরান ছড়িয়ে টিফিন বক্সের মুখটা ফয়েল পেপার দিয়ে ভাল করে মুড়ে দিন এবং কড়াইয়ের মাঝখানে বসিয়ে দিন।
তারপর কড়াইটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৪০ মিনিট ভাপে রাখুন। ৪০ মিনিট পরে ফয়েল সরিয়ে টুথপিক দিয়ে দেখুন মিশ্রণটা জমে শক্ত হয়েছে কিনা। না জমলে আরেকটু রাখুন ভাপে। যখন জমে আসবে তখন নামিয়ে প্লেটে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা হলে শেপ করে কেটে উপরে পেস্তাকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…