স্বস্তিকা মুখার্জীর স্কিন কেয়ার রুটিন যা একেবারে ঘরোয়া

টলিউডে খুব কম অভিনেত্রীই আছেন যাঁদের সৌন্দর্য শুধু রূপে নয়, ব্যক্তিত্বেও। তেমনই একজন অভিনেত্রী ইনি। ভূতের ভবিষ্যৎ হোক কি দুপুর ঠাকুরপো বা সোশ্যাল মিডিয়ার বিতর্ক, সব ক্ষেত্রেই নিজের রূপ আর ব্যক্তিত্ব নিয়ে তিনি উপস্থিত।

ঠিক ধরেছেন, আমরা স্বস্তিকা মুখার্জীর কোথা বলছি। আর স্বস্তিকার অভিনয়ের পাশাপাশি আরও যে জিনিসটা আমাদের আকর্ষণ করে সেটা হল তাঁর স্কিন। ওইরকম চকচকে গ্ল্যামারাস স্কিন ধরে রাখা কিন্তু খুবই কঠিন। তা আপনিও চান নাকি সেরকম স্কিন?

কীভাবে নিজের যত্ন নেন স্বস্তিকা

স্বস্তিকা মুখার্জী কীভাবে নিজের ওমন সুন্দর স্কিন ধরে রেখেছেন সেটা জানলে আখেরে আপনারই লাভ। বিশ্বাস করুন, অভিনেত্রী বলেন যে, বিশাল দামী কিছু উনি ব্যবহার করেন তা কিন্তু নয়। ওনার রুটিন ফলো করলে যে আপনার লাখ লাখ টাকা খরচ হবে তাও কিন্তু নয়। খুব সহজেই উনি নিজেকে এভাবে মেইনটেইন করেছেন।

১. ঘরই প্রধান অবলম্বন

হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। কোনও বিশাল ব্র্যান্ড উনি ব্যবহার করেন না। যদিও করেন সেটা নির্দিষ্ট কিছুর জন্য। কিন্তু মূল ভিত্তি ওনার নিজের বাড়ির ঘরোয়া জিনিস। উনি মুখে ব্যবহার করেন চন্দন। ওনার মতে এটি নাকি খুব ভালো ট্যান রিমুভ করে।

মুখে যদি ব্রণ বা র্যানশের দাগ থাকে তাও সুন্দর ভাবে কমিয়ে দেয়। উনি কিন্তু কাজের সুবিধের জন্য দোকান থেকে চন্দন গুঁড়ো কিনে আনেন না। কারণ তাতে ভেজাল থাকতে পারে। উনি চন্দন ঘষে সেই চন্দন মুখে ব্যবহার করেন।

২. রোজের রুটিন

যেহেতু ওনার ব্যস্ত শিডিউল, তাই উনি বিশাল সময় ব্যয় করে কিছু যে করেন না বুঝতেই পারছেন। তবে রোজ যেটা উনি নিয়ম করে করেন সেটি হল ক্লিনসিং আর টোনিং। ভালো কোনও ক্লিনসার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেন। আর তারপর টোনার ব্যবহার করে নেব। টোনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে উনি গোলাপজল ব্যবহার করারই পক্ষপাতী।

৩. মায়ের টোটকা যুগ যুগ জিও

ঘরোয়া উপায়ে স্বস্তিকার যে বিশ্বাস তা কিন্তু মায়ের থেকেই পাওয়া। উনি বলেন ওনার মা ওনাকে মুলতানি মাটির প্যাক মাখতে বলেন। মুলতানি মাটির সঙ্গে সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে সেই প্যাক সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন তিনি ব্যবহার করেন।

এর পাশাপাশি তাঁর মা তাকে মালাই বা দুধের সর মাখতেও বলেন। এতে নাকি মুখ খুব কোমল থাকে। দুধের সর ফ্রিজে রেখে সময় মতো সেই সর মুখে, গলায় মাখতে হবে। ১৫ মিনিট মতো সর মুখে রেখে হাল্কা হাতে ঘষে তুলে ফেলতে হবে। এতেও নাকি মুখের স্কিন খুব ভালো থাকে।

৪. মেকআপ তোলা মাস্ট

আমরা অনেক সময়ে ব্যস্ততার মধ্যে বাইরে থেকে এসে মেকআপ তুলতে ভুলে যাই। কিন্তু স্বস্তিকা মুখার্জী তো আমাদের থেকেও অনেক বেশি ব্যস্ত। উনি যখন বাইরের কাজ থেকে এসে নিয়ম করে মেকআপ তুলতে পারেন তখন আমরাও পারব।

আসলে চোখের কাজল বা মুখের ভারী মেকআপ মুখে থেকে গেলে সেটা আমাদের স্কিনের ভিতরের দিকে ঢুকে স্কিনের পি.এইচ লেভেল নষ্ট করতে থাকে। এতে ত্বক ভিতর থেকে শুষ্ক হতে থাকে। ফলে সব মিলিয়ে ত্বক খারাপ হয়ে যায়, অনুজ্জ্বল হয়ে যায়। স্বস্তিকা তাই বাইরে থেকে এসে মেকআপ তুলে নেন।

৫. খাবারেও নজর দেন

আমরা জানি পেট পরিষ্কার না হলে স্কিন ভালো হতে পারে না। স্বস্তিকা তাই নিজের খাদ্যাভ্যাসের দিকে খুব ভালো নজর দেন। উনি অনেক অনেক জল খাওয়ার কথা বলেন। জল আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের করে রাখে। আমাদের শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখে। আর হাইড্রেশন বজায় থাকলে স্কিন এমনিতেই ভালো থাকবে।

আর উনি খুব বেশি করে ফল খান। ভাত, রুটি এই সব খাবারের থেকে বা বেশি তেল জাতীয় খাবার খাবারের চেয়ে ফল খাওয়া তো সবচেয়ে ভালো। ফলের রস আমাদের শরীরে অনেক ভিটামিন, মিনারেলের মাত্রা ঠিক রাখে। এর ফলে সার্বিক ভাবে আমাদের স্কিনের টোন ভালো হয়। এই পথেই চলে স্বস্তিকা আজ পেয়েছেন এতো ভালো স্কিন।

আপনারা দেখলেন এই সামান্য কিছু বেসিক জিনিস উনি মাথায় রেখেই এতো ভালো আছেন। এই কয়েকটা বিষয় কিন্তু আমরাও মনে রাখতে পারি আর স্বস্তিকা মুখার্জীর মতো খুব ভালো স্কিন পেয়ে আমাদের চারপাশের মানুষদের চমক দিয়ে দিতে পারি।