আমাদের হাত এবং পা আমাদের শরীরের সবচেয় দরকারী অংশ। শরীরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাপ পরে আমাদের হাত এবং পায়েই উপরেই। আমরা প্রত্যেকদিন তীব্র রোদে যাতায়াত করি, ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক সাবান হাতে পায়ে লাগাই, বা অন্য কোন দূষণযুক্ত কেমিক্যাল আমাদের হাত পায়ের সংস্পর্শে আসার ফলে আমাদের হাত এবং পা শুষ্ক হয়ে ওঠে।
এই শুষ্ক ত্বকের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই আজ আমি এই প্রতিবেদনটি লিখছি। তাহলে জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া পদ্ধতিতে শুষ্ক হাত এবং পা নরম করে তোলার ৫টি উপায়।
স্নান করার আগে প্রত্যেকদিন ঝামা পাথর দিয়ে আমাদের শুষ্ক হাত এবং পায়ে ঘষতে হবে যাতে পুরোনো এবং মরে যাওয়া কোষগুলি খোসে পরে যায়। পুরোনো এবং মরে যাওয়া কোষগুলি আমাদের ত্বককে শুষ্ক করে তোলে তাই কোনো কিছু লাগানোর আগে এই পদ্ধতিটি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে ২-৩ বার পালন করলেই আমাদের শুষ্ক হাত এবং পা নরম হয়ে উঠবে।
শুষ্ক ত্বকে ভ্যাসলিন লাগালে সেটা আমাদের শুষ্ক হাত এবং পাকে নরম এবং মসৃণ করে তোলে। প্রত্যেক দিন রাত্রি বেলা ঘুমানোর আগে ভ্যাসলিনের একটা মোটা স্তর লাগাতে হবে আমাদের হাতে এবং পায়ে।তারপর ৫-৭ মিনিট ধরে ভালো করে মালিশ করতে হবে। এর পর হাতে গ্লাভস এবং পায়ে মোজা পড়তে হবে যাতে ময়েশ্চার আমাদের ত্বকের ভিতর পর্যন্ত পৌঁছায়। ওই মোজা ও গ্লাভস পরেই ঘুমিয়ে পড়তে হবে। কিছু দিন এই পদ্ধতি মেনে চললেই আমাদের শুষ্ক হাত এবং পা নরম হয়ে উঠবে।
এক চামচ তেল এবং ২ চামচ চিনি ভালো করে মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তেলটি নারকেল তেল, অলিভ তেল বা সূর্যমুখীর তেল হলে সবচেয় বেশি কার্যকরী। এই মিশ্রণটি শুষ্ক হাত এবং পায়ে বেশ কিছুক্ষন মালিশ করতে হবে। ২-৩ মিনিট ঘষার পর হাত পা ধুয়ে ফেলতে হবে।প্রত্যেক দিন এই পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। কিছুদিন ধরে এই মিশ্রণটি লাগালে আমরা সহজেই নরম হাত এবং পা পেয়ে যেতে পারি।
মধু একটি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। এই মধু শুষ্ক হাত এবং পাকে নরম করতে খুবই কার্যকরী। আমাদের ত্বকের ভিতর ময়েশ্চার ঢুকিয়ে দেয় মধু।মধুর ফল পাওয়ার জন্য আমাদের হাত এবং পায়ে মধু মালিশ করতে হবে।মধুর সাথে গ্লিসারিন বা মধুর সাথে লেবু মালিশ করলে মিশ্রণটি আরো উপকার দেবে। মালিশ করার পর ১০-১৫ মিনিটের অপেক্ষা করতে হবে তারপর উষ্ণ গরম জল দিয়ে হাত এবং পা ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রত্যেকদিন একবার কি দুবার করে ওই পদ্ধতি মেনে চললেই আমরা পেয়ে যেতে পারি অতি নরম এবং মসৃণ ত্বক খুবই তাড়াতাড়ি।
ঘৃতকুমারীতে ময়েশ্চারাইজ করার গুন আছে। খুব তাড়াতাড়ি এবং সহজেই ঘৃতকুমারী আমাদের শুষ্ক হাত পাকে নরম করে তোলে। ঘৃতকুমারীর ফল পাওয়ার জন্য একটা ঘৃতকুমারী কেটে তার থেকে জেলটা বার করে নিতে হবে। এই জেলটি আমাদের হাত এবং পায়ে মালিশ করতে হবে। মালিশের পর ১৫-২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই পদ্ধতিটি দিনে ১-২ বার নিয়ম করে মেনে চললেই আমরা খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক হাত এবং পায়ের থেকে রেহাই পেতে পারি।
আমাদের কারোরই শুষ্ক ত্বক পছন্দ না। তাই শুষ্ক ত্বককে নমনীয় করে তুলতে আমাদের অবশ্যই উপরের পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি মেনে চলতে হবে। একটি পদ্ধতি পালন করলেই আমরা খুব তাড়াতাড়ি নরম ত্বক পেয়ে যেতে পারি।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…