পৃথিবী ও সূর্যের সম্পর্ক সেই সৃষ্টির আদি থেকে। আজ তাদের অবস্থান একই না আলাদ? প্রশ্ন উকি দেয় অনেক সময়। তবে শুরুর সময়কাল থেকেই এই দুইয়ের সমীকরণ বারবার বদলালেও, চিরন্তন সত্যের মতই একই থেকে যায় বারবার সূর্য ও পৃথিবী। জেনে নিন সেই সব মহাজাগতিক হিসেবের কিছু তথ্য।
রেডোমেট্রিক ডেটিং এবং প্রমাণের অন্যান্য উৎস অনুসারে পাওয়া যায় যে পৃথিবী 4.5 বিলিয়ন বছর আগে গঠিত হয়েছিল এবং সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ৯২.৯৬ মিলিয়ন মাইল। পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘূর্ণায়মান ৩৬৫.২৬ দিন, যা একটি আর্থ বছর হিসাবে পরিচিত। অর্থাৎ এই সময় পৃথিবী তার নিজের কক্ষপথে ক্লকওয়াইস ভাবে ৩৬৫.২৬ বার ঘোরে।
পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় তার নিজের কক্ষপথের সঙ্গে ৬৬.১/২ ডিগ্রী কোনে হেলে থাকে। আর এর ফলেই পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন ঘটে। সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে সময় লাগে প্রায় ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড। অসীম এই সৌরজগতের গ্রহগুলির মাঝে একমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের অস্তিত্ব আছে।
সূর্য, সোলার সিস্টেমের প্রায় কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত। এটি, গরম প্লাসমা দ্বারা গঠিত একটি নিখুঁত গোলক যার মধ্যে ডায়নামো প্রক্রিয়া মাধ্যমে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র উৎপন্ন হয়েছে। এর ব্যাস প্রায় ১.৩৯ মিলিয়ন কিলোমিটার যা কিনা পৃথিবীর ভরের প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার গুণ। এটি সৌরজগতের মোট ভরের ৯৯.৮৬%।
সূর্যের ভরের প্রায় তিন চতুর্থাংশ হাইড্রোজেন, বাকিটি হিলিয়াম , প্রচুর পরিমাণে ভারী উপাদান সহ অক্সিজেন, কার্বন, নিওন এবং লোহা। বর্তমানে এটি প্রায় 600 মিলিয়ন টন হাইড্রোজেন, প্রতি সেকেন্ডে হিলিয়ামে ফিউজ করে।
তারা-র শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী সূর্য, জি 2 ভি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। “হলদে বামন” সূর্যের অপর নাম কারণ তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ সবচেয়ে বেশি ঘটে এর হলুদ এবং সবুজ অংশে। ৫৭৭৮ কেলভিন তাপমাত্রা বিশিষ্ট সূর্যের রং প্রকৃত অর্থে সাদা কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত নীল আলোর প্রভাবে একে হলুদ দেখায়।
অবিরত নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশন এর মাধ্যমে এর কেন্দ্রে হাইড্রোজেন বিক্রিয়া করে হিলিয়াম উৎপন্ন হচ্ছে যার পরিমাণ প্রতি সেকেন্ডে ৬০০ মিলিয়ন টন। গণিতশাস্ত্র অনুযায়ী সূর্যের মডিউলাস +৪.৮৩। পৃথিবীর ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে সূর্য গড় দূরত্ব প্রায় 2.7 হাজার আলোকবর্ষ।
পৃথিবীর কক্ষপথের আকার উপবৃত্তাকার হবার দরুন সূর্য এবং পৃথিবীর দূরত্ব পরিবর্তিত হয় এবং জানুয়ারি মাসে পৃথিবী-সূর্যের দূরত্ব সবচেয়ে কম হয়। একে অনুসুর অবস্থান বলে। আবার জুলাই মাসে পৃথিবী-সূর্যের দূরত্ব সর্বোচ্চ হয়। একে অপসুর অবস্থান বলে। সূর্যের এই শক্তিই পৃথিবীর জীবনের উৎস।
পৃথিবীর জলবায়ু এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন ও সূর্যের এই শক্তির উপর ডিপেন্ড করে। সূর্যের কেন্দ্র থেকে ২৫ ভাগ পর্যন্ত ব্যাসার্ধের ১৫০ গ্রাম/ ঘন সেন্টিমিটার। এবং তাপমাত্রা ১ কোটি ৩৬ লক্ষ কেলভিন।কিন্তু পৃষ্ঠএর টেম্পারেচার ৫৮০০ ডিগ্রী কেলভিন। সূর্যের মোট এনার্জীর ম্যাক্সিমামটাই উৎপন্ন হয় এর কেন্দ্র ভাগে। আর এই শক্তি বাইরে এসে বাইরের স্তর গুলির মধ্যে বাহিত হয়। আইনস্টাইনের মাস এনার্জি ইকুইভ্যালেন্ট এর মাধ্যমে এটি ব্যাখ্যা করা যায়।
সূর্যের বয়স কত? এটা বের করার উপায় প্রত্যক্ষভাবে নেই কিন্তু পরোক্ষভাবে ভু-বিজ্ঞানীরা এর বয়স বের করতে সক্ষম হয়েছেন।পৃথিবীর এনসিয়েন্ট স্টোন এবং ম্যাটিওরিটি-র বয়স ৪৬০ বিলিয়ন ইয়ার।
সৌরজগতের সৃষ্টি এই সময় ধরে নিয়ে সূর্যের বয়স একই ধরা হয়। সূর্যের স্পেক্ট্রাম লাইনের বিশ্লেষণে দেখা গেছে আয়নিত এবং নিষ্ক্রিয় এই দুই প্রকার ধাতুর অস্তিত্ব রয়েছে।এছাড়াও উইক হাইড্রোজেন লাইনেরও সন্ধান পাওয়া গেছে।
সমগ্র সোলার সিস্টেমে গোল্ড এবং ইউরেনিয়াম এর মত কিছু ভারী ধাতুর প্রাচুর্য প্রমাণিত।প্রতি বর্গমিটারে সৌর ধ্রুবক এর মান.১৩৭০ ওয়াট।সূর্যের এই শক্তিকে ব্যবহার করে উদ্ভিদ তার সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া বজায় রাখে।
সমগ্র সৌরজগতে সূর্যের থেকে গ্রহগুলির দূরত্বের ক্রমানুসার হলো – মার্কারি, ভেনাস, আর্থ, জুপিটার, সাটেন, ইউরেনাস, নেপচুন এবং প্লুটো। ন্যাচারাল স্যাটেলাইট, এই আটটি গ্রহের মধ্যে রয়েছে কেবল মাত্র ছয়টির। এছাড়া সমগ্র সৌরজগতের রয়েছে ১৭৩ টি প্রাকৃতিক উপগ্রহ, কিছু ডফ প্লানেট এবং কয়েক কোটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তু যেমন বেশ কিছু উল্কা ধুমকেতু এবং ইন্টারস্টেলার ডাস্ট ক্লাউড। সৌরজগতে অবস্থিত গ্রহগুলির অধিকাংশই ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে অর্থাৎ এন্টি ক্লকওয়াইজ ভাবে ঘূর্ণায়মান থাকে।
সমগ্র সৌরজগতে, সূর্য ব্যতীত বাকি ৯০ ভাগ ভর বহন করে বৃহস্পতি এবং শনি।বুধ গ্রহের পার্থিব ভর ০.৫৫, শুক্রের ০.৮১৫, মঙ্গলের ০.১০৭। মধ্য সৌরজগৎ গঠিত হয়েছে জায়েন্ট মনস্টার এবং কিছু কিছু ছোট গ্রহের দ্বারা।এই অঞ্চলটির বৈজ্ঞানিক কোন নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বলা যায় মহাবিশ্বের এই অঞ্চলটির গঠিত হয়েছে জল, মিথেন বা অ্যামোনিয়ার দ্বারা।এই অঞ্চলটিকে অনেকে বহি: সৌরজগৎ বলেও অভিহিত করে। সাধারনত নেপচুনের পরে এই অঞ্চলের সূচনা বলে ধরা হয়।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…