চুলের আগা ফাটা একটা অত্যন্ত পরিচিত সমস্যা। মেয়েরা কম-বেশি সকলেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। আর চুলের আগা ফাটা থাকলে এমনিতেই চুল খুব খারাপ দেখতে লাগে। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে পার্লারে গিয়ে চুল কেটে আসেন। কিন্তু মন থেকে তো আর চুল কাটতে ইচ্ছে করে না। জানি অনেক কিছু ব্যবহার করেছেন। কিন্তু মনের মতো সমাধান পাননি, তাই তো? এবার আর কোনও চিন্তা নেই। আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে চুলের আগা ফাটা সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তার জন্য আজকের আর্টিকেল পড়া খুবই জরুরি।
নানা কারণে চুলের আগা ফেটে যেতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হল আবহাওয়ার অদলবদল। এই যে এখন আস্তে আস্তে আমরা শীতের মরশুম থেকে গরমের দিকে যাচ্ছি, এর ফলে কিন্তু আমাদের চুলের উপর প্রভাব পড়ে। চুলের আগা ফেটে যেতে পারে। এর পরের কারণ হল রোদ বা সূর্যের আলো। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি আমাদের চুল শুষ্ক করে দেয়। আর শুষ্ক চুলের আগা যে তাড়াতাড়ি ফাটবে এটা তো বলাই বাহুল্য।
চুলকে সবসময়ে আর্দ্র রাখা খুব দরকার। আর চুল আর্দ্র রাখার জন্য দরকার ঠিক পরমাণে জল খাওয়া, সবজি খাওয়া। আপনি যদি জল না খান তাহলে চুল শুকিয়ে গিয়ে আগা ফেটে যাবেই। আর সবচেয়ে বেশি যে কারণের জন্য চুলের আগা ফাটে তা হল চুলে হিট দিলে। পার্লারে গিয়ে চুলে স্ট্রেটনিং বা কারলিং করার সময়ে অনেক হিট দেওয়া হয় চুলে। এছাড়া অনেক কেমিক্যাল প্রোডাক্টও ব্যবহার করা হয়। আর এই সব কারণে তখন চুলের আগা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
সমস্যার উৎস তো জানলেন, এবার পালা সমস্যা সমাধানের। খুব বেশি কিছু করতে হবে না। শুধু ঘরে বসে কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করুন আর কিছু নিয়ম মেনে চলুন। দেখবেন এতেই হবে কেল্লাফতে।
আজ আপনাদের দুটো হেয়ার মাস্কের কথা বলব, যা চুলের জন্য অনবদ্য কাজ দেয়।
উপকরণঃ একটা ডিম, এক চামচ মধু, ২ চামচ অলিভ অয়েল
পদ্ধতিঃ একটি পাত্রে সবকটি উপকরণ মিলিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। তারপর তা সারা মাথায় লাগিয়ে দু ঘণ্টা রেখে দিন। এবার শুকিয়ে গেলে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এটি সপ্তাহে তিন দিন করতে পারেন।
উপকরণঃ যে কোনও ভালো ময়েশ্চারাইজার, তিন চামচ অলিভ অয়েল
পদ্ধতিঃ যে কোনও ভালো ময়েশ্চারাইজার নিন। এবার তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন অলিভ অয়েল। ভালো করে দুটো উপকরণ মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রেখে দিন এক ঘণ্টা মতো। তারপর কোনও মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। এটা সপ্তাহে দু দিন করতে পারেন।
আমাদের যেমন খাবার না দিলে আমরা মরে যাব, তেমনই চুলে তেল না দিলেও কিন্তু আমাদের চুল শুকিয়ে মরে যাবে। আর চুলের আগা তো ফাটবেই। তাই চুলের খাদ্য তেল চুলকে নিয়মিত দেওয়া খুবই দরকার। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন চুলে তেল লাগাতেই হবে। তেল লাগিয়ে চুল খুলে রাখা ঠিক নয়। চুল বিনুনি করে শুতে হয়। পরের দিন শ্যাম্পু করে নিতে হবে। দেখবেন এতে চুল পুষ্টি পাচ্ছে আর চুলের আগা ফাটছে না।
আমরা সবাই জানি যে বিয়ার চুলের জন্য খুব ভালো। কিন্তু বিয়ার আগা ফাটা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে সেটা কিন্তু খানিক অজানা। কিন্তু এবার থেকে বিয়ার চুলে এই কারণেও ব্যবহার করুন।
উপকরণঃ পরিমাণ মতো বিয়ার
পদ্ধতিঃ প্রথমে হাল্কা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তারপর উপর দিয়ে বিয়ার দিয়ে দিন ও ৫ মিনিট মতো রাখুন। দেখবেন এতে চুল মলায়েম থাকছে, শুকিয়ে যাচ্ছে না। আর চুল শুকিয়ে না গেলেই আগা ফাটবে না।
তাহলে, আর তো কোনও চিন্তা থাকার কথা নয়। শুধু রোদে যাওয়ার সময়ে মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার করুন। চুলে ঘন ঘন রঙ করাও বন্ধ করুন। দেখবেন এতেই আপনার চুল সুন্দর থাকছে আর আগা ফাটাও চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…