কথায় বলে, মাছে-ভাতে বাঙালি। বাঙালির রসনায় মাছ থাকবেনা, তা কি কখনো ভাবা যায়? এমনিতে আমরা বাঙালিরা বিভিন্ন সবজি যেমন আলু, কাঁচাকলা, বেগুন ইত্যাদি ভর্তার সাথে সাথে মাছের ভর্তার সাথে সুপরিচিত। মাছ ভাজা, মাছের কোপ্তা-কালিয়ার সাথে সাথে মাছের ভর্তাও কিন্তু জিভে জল আনার দৌড়ে এগিয়ে থাকে।
আজ বাংলাদেশের স্পেশাল মাছের ভর্তার রেসিপি ৭ রকমের নিয়ে হাজির হয়েছি আপনার রান্নাঘরে। থাকছে ছোট ও বড় মাছের ভর্তার রেসিপিসহ ভিন্ন মেজাজের আরো মাছের রেসিপি। তো আর দেরি কেন? ঝটপট পড়ে ফেলুন ৭টি রেসিপি আর লেগে যান কোমড় বেঁধে, খুন্তি-কড়াই হাতে।
প্রথমে চিংড়ির খোসা ও লেজ ফেলে ভালো করে ধুয়ে নিন। একটি কড়াইতে তেল গরম করে এরপর ওতে চিংড়ি, হলুদ গুঁড়া, এবং লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। তারপর ঐ একই কড়াইতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, এবং কাঁচামরিচ দিয়ে ভালো করে ভেজে নিন। ভাজা ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে শিলপাটায় আদার টুকরা দিয়ে মিহি করে বেটে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু চিংড়ি ভর্তা।
প্রথমে মাছ ভালো করে ধুয়ে লবণ ও হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন, বা চাইলে ভেজেও নিতে পারেন। এরপরে কাঁটা বেছে ফেলে দিন। এবার একটি কড়াইতে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, ও তেল একসাথে দিয়ে ভেজে নিন। ভাজার পরে এর ভিতর সিদ্ধ/ভাজা টাকি মাছ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে আরেকটু ভেজে নিন। নামানোর ২ মিনিট আগে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন। এরপরে অল্প গরম থাকতে থাকতে হাতে মেখে ভর্তা করুন।
প্রথমে মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। এবার একটি কড়াইতে অল্প সরিষার তেল দিয়ে তাতে লবণ ও ধনেপাতা বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে হালকাভাবে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে পাটায় লবণ ও ধনেপাতাসহ বেটে নিলেই হয়ে গেল মজাদার কাচকি ভর্তা।
প্রথমে ইলিশ মাছের টুকরাগুলো ভাল ধুয়ে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, এবং লবণ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এবার একটি কড়াইতে তেলে মাছের টুকরাগুলো ভেজে নিন, ঠান্ডা হলে কাঁটা বেছে নিন। তারপর আরেকটি কড়াইতে পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, কাঁচামরিচ কুচি একসাথে মচমচে করে ভেজে নিন। এরপর মাছের সাথে সব উপকরণ মিশিয়ে হাতে মাখিয়ে ভর্তা তৈরি করুন।
প্রথমে মাছ ধুয়ে নিন, এরপর হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে কম তেলে অল্প আঁচে ভেজে আলাদা করে রাখুন। ঠান্ডা হলে কাঁটা বেছে রাখবেন। এবার বাকি তেলে পেঁয়াজ কুচি ও শুকনো মরিচ ভেজে নিন। সবশেষে মাছের সাথে সব উপকরণ হাতে মাখিয়ে তৈরি করুন রুই ভর্তা।
মাছের টুকরাগুলো প্রথমে অল্প হলুদ ও লবণ দিয়ে অল্প আঁচে লালচে করে ভেজে তুলে রাখুন এবং কাঁটা বেছে নিন। ঐ মাছ ভাজার কড়াইতেই শুকনা মরিচগুলো ভেজে নিন। এবার একটা বাটিতে ভাজা শুকনা মরিচের সাথে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, লবণ, ধনেপাতা কুচি, এবং সরিষার তেল মিশিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। এবার এই মিক্সচারের সাথে মাছের টুকরাগুলো মেখে নিলেই ভর্তা তৈরি।
চাইলে ক্যানড টুনা মাছ দিয়েও ভর্তা তৈরি করতে পারেন।
প্রথমে ক্যানে থাকা তেলসহ টুনা মাছ বের করে সরাসরি ভেজে ফেলুন, ভাজার জন্য বাড়তি কোন তেলের প্রয়োজন নেই। মাছ ভাজা হয়ে গেলে শুধু মাছটা তুলে ঐ তেলে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, কাঁচামরিচ, এবং শুকনা মরিচ একসাথে হালকা করে ভেজে নিন। সবশেষে এই ভাজা উপকরণের সাথে ভাজা মাছ, ধনেপাতা কুচি, লবণ, সরিষার তেল, এবং গ্রেট করা লেবুর খোসা মাখিয়ে নিলেই পেয়ে যাবেন সুস্বাদু টুনা মাছের ভর্তা।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…