কাশফুল আর নীলাকাশ জানান দিয়ে দিয়েছে মা আসছেন, নিউমার্কেট গড়িয়াহাট এ শপিং আর পুজোতে বেড়াতে যাওয়ার আনন্দের মাঝে এক ঝলকে জেনে নিন এবার পুজোয় দক্ষিন কলকাতার কোন কোন মণ্ডপে অবশ্যই লাইনে দাঁড়াবেন।
গতবারের মত এবারেও সুরুচি সঙ্ঘের থিম সং লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগমনীর বারতামুখর এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন। এই গান শুনতে পাওয়া যাবে সুরুচি সঙ্ঘের মণ্ডপে, সঙ্গে আবহ সৃষ্টি করবে মণ্ডপের ভাবনা ‘বাংলা আমার মা’ যেখানে সুজলা সুফলা বাংলাকে তুলে ধরা হবে লোকশিল্প এবং বাঙ্গালিয়ানার আমেজে। প্রতিমাও সেজে উঠবেন বাঙালি বেশে।
চেতলা অগ্রণীর এবারের ভাবনা ‘ইয়ে দুনিয়া দর্শন কা মেলা’ যা ফুটে উঠছে ‘বিসর্জন’ নাম নিয়ে। শিল্পী অনির্বাণের হাতে প্রতিমা এবং মণ্ডপ রূপ পাবে আকর্ষণীয় আঙ্গিকে।
এবার ও তাদের প্রতিমার চক্ষুদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এবং পুজোর আবহসঙ্গীত করছেন সেলিম চিশতী, থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আবহ সঙ্গীতে থাকছে নতুনত্ব। বেহালার বর্তমান অবস্থাকে মাথায় রেখে জনসমাগমের সুবিধার কথাও মাথায় রাখা হবে।
এবছর ৮৬তম বছরে পা রাখতে চলেছে মুদিয়ালি ক্লাব। প্রতিবছরের মত এ বছরেও তাদের চন্দননগরের সাবেকি প্রতিমা বিরাজ করবেন। সঙ্গে মণ্ডপের সাজে থাকবে রাজাস্থানি শিল্পকলার আমেজ, যাকে ফুটিয়ে তুলতে ব্যাবহার করা হচ্ছে লোহার উপর তামার পাত। ডোকরা শিল্পের আবহ খানিক পাওয়া যাবে এই মণ্ডপে।
শিকড়ের সন্ধানে মেতেছেন এবারের শিবমন্দির ক্লাব এর সদস্যরা। তাঁদের ভাবনা এ বছর সন্তানদের ফেলে দেওয়া বাবা মায়েদের নিয়ে, যা প্রকাশ পাবে ‘শিকড়ের টানে’ থিমের সাহায্যে।
১৯৪১ সাল থেকে চলে আসা এই পরিচিত দুর্গা পুজোর এবছর ৭৭তম দুর্গোৎসব। এবারে এই ক্লাব এর থিম গুজরাটের মধেরা গ্রামের অপরূপ সূর্য মন্দির। গুজরাটের অপুরব এই মন্দিরকে কলকাতায় ফুটিয়ে তুলছেন মিথুন দত্ত। সাবেকি প্রতিমা নির্মাণে রয়েছেন প্রদীপ রুদ্র পাল।
নারীসমাজ নিয়ে এবারের ভাবনায় বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘের উদ্যক্তারা। একদিকে যেমন উন্নতির শিখরে পৌঁছে গিয়েছেন নারীরা, অপর দিকে তারাই প্রতি নিয়ত অত্যাচারিত হয়ে চলেছেন সমাজের বুকে, এই নিয়েই তাদের ভাবনা ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’।
মণ্ডপের একদিকে দেখানো হবে ঝাঁ চকচকে উন্নত শহর, অপরদিকে থাকবে সমাজের অন্ধকার জগত। তবে প্রতিমা থাকবেন তাঁর সাবেকি রূপ নিয়েই।
৭০ বছরে পা দেওয়া এই বিখ্যাত পুজোর এবারের ভাবনা আধুনিকতার ভিড়েও প্রকৃতির মধ্যে বেঁচে থাকেন যারা, সেই আন্দামানের প্রাচীন আদিবাসীদের নিয়ে। থিমের নাম, ‘এখনো মানুষ’ ।
আন্দামান ও নিকবর দ্বীপপুঞ্জের জারোয়াদের জীবন যাপন কলকাতার বুকে ফুটিয়ে তুলবেন বিখ্যাত শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা। মণ্ডপ নির্মিত হবে জারোয়াদের বাসস্থানের আদলে। মণ্ডপের ভিতরে স্থান পেতে চলেছে বহু মডেল এবং জারোয়াদের ব্যাবহার করা জিনিসপত্র। থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রতিমাও সাজবেন নতুনভাবে।
সন্তোষপুর লেকপল্লির পুজো উদ্যক্তারা এবছর মেতেছেন হলুদ নিয়ে। তাঁদের মণ্ডপে এবারে একটা নয়, থাকছে অনেকগুলো চমক। প্রথমত তাঁরা মণ্ডপ গড়ে তুলছেন প্রায় চার টন হলুদের সাহায্যে, দুর্গার শুভশক্তি এখানে স্থান পেয়েছে হলুদ রূপে, অপরদিকে কীট পতঙ্গরা এই মণ্ডপে অসুরসম।
দ্বিতীয়ত এ পুজোতে এবারে হাত মেলাচ্ছেন রুপান্তরকামীরা, মণ্ডপসজ্জা থেকে মা এর শাড়ি নির্মাণ সবের দায়িত্ব নিয়েছেন শ্রী ঘটক এবং তাঁর ত্রয়ী ফাউন্ডেশন। এই সবটা মিলিয়ে এই পুজোর থিম ‘মা এর হেঁশেল’। যেখানে দুর্গা হয়ে উঠছেন অন্নপূর্ণা।
ধর্মের কাঁটাতার অতিক্রম করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভাবনায় ভাবিত হয়েছেন এবছরে চক্রবেড়িয়ার সদস্যবৃন্দ। পাইপ, হোমিওপ্যাথীর শিশি ও জলের সাহায্যে শিল্পী সিদ্ধার্থ চৌধুরীর ভাবনায় সেজে উঠছে মণ্ডপ।
থিমের নামকরণ করা হয়েছে ‘ইয়ম সর্ব’ যার অর্থ ‘আমরা সবাই’। মণ্ডপের আকার নির্মিত হয়েছে শালগ্রাম শিলার আদলে,যার ভিতরে ও দেওয়ালে থাকছে নিপুণ শিল্পকলা এবং উজ্জ্বল রঙের ব্যাবহার। প্রতিমায় থাকছে থিমের ছোঁয়া।
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম পুজো উদ্যক্তা ৬৬ পল্লির এবারের নিবেদন ‘বয়নের চালচিত্র’। বাংলার হারিয়ে যাওয়া বয়নশিল্প তাঁতকে এবারে মণ্ডপ সজ্জার ক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন শিল্পী অদিতি।
তাঁতশিল্পে নারীর যে অবদান আছে তাই ফুটে উঠছে তাঁদের ভাবনায়, এই শিল্পী নারীরাই এখানে হয়ে উঠেছেন দুর্গা। মাটি, বাঁশ এবং দড়ির সাহায্যে মণ্ডপ শিল্পীরা ফুটিয়ে তুলেছেন সূক্ষ্ম কারুকার্য। সব মিলিয়ে থিমের লড়াইএ ৬৬ পল্লিও কম পিছিয়ে থাকছেনা।
বালিগঞ্জ কালচারাল এবছর সেজে উঠছে সম্পূর্ণ শোলার সাজে। ‘মেয়ে এসেছে উলু দে/ শোলার সাজে ভরিয়ে দে’ এই ভাবনাকে মাথায় রেখেই অপূর্ব শোলার কারুকার্য দিয়ে সাজান হচ্ছে পুজো মণ্ডপকে।
শিল্পী বিমান সাহার মতে প্রতিমার শোলার সাজের সঙ্গে আমাদের বহুদিনের সম্পর্ক, বহুকালের এই শিল্পকে স্থান করিয়ে দেওয়া হয়েছে এবছরের পুজো ভাবনায়।
তাই দুর্গার সাবেকি শোলার সাজের সঙ্গে গোটা মণ্ডপেই দেখা যাবে অসামান্য কিছু শোলার কারুকার্য তবে নতুন ভাবে। আকর্ষণীও বিষয় হল এই শোলার কাজ করার জন্য ডায়মন্ড হারবারের বহু প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আনা হয়েছে অনেকজন লোকশিল্পীকে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…