শসা সবজির মধ্যে এমন একটি সবজি যা আমাদের শরীরকে গরমকালে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্যে করে। একথা আমার সবাই জানি। কিন্তু এটা জানেন কি? যে শসা স্কিনের শুষ্কতা কাটিয়ে তুলতে সাহায্যে করে, পাশাপাশি স্কিনকে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। তাহলে আসুন আজ জানা যাক শসার ফেস মাস্ক কিভাবে বানানো হয় ও ব্যবহার করা হয়। আমি এই তিনটি ফেস মাস্ক নিয়মিত ব্যবহার করে থাকি। বিশ্বাস করুন স্কিন সবসময় ফ্রেশ থাকে। দেখতেও ভালো লাগে।
শসা স্কিনের যাবতীয় ময়লা পরিষ্কার করার সাথে সাথে স্কিনে অক্সিজেনের যোগান ঘটায়। ফলে স্কিন প্রাকৃতিক ভাবে সতেজ থাকে। তাছাড়া অ্যালোভেরাতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান সমূহ ত্বকের যত্নে অসাধারণ কাজ করে। বিশেষ করে গরমের সময় স্কিনে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এসব থেকে স্কিনকে প্রোটেক্ট করতে অ্যালোভেরা সাহায্য করে।
প্রয়োজনীয় উপকরন
শসার পেস্ট এক বাটি ও ২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
একটি কাঁচের বাটিতে প্রথমে শসার পেস্ট নিন। খেয়াল রাখবেন যেন একেবারে মিহি ভাবে পেস্টটি বানানো হয়। এবার ওতে ২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান। আমি পিওর অ্যালভেরা জেল মেশাই। যদি আপনাদের কাছে অ্যালোভেরা গাছ না থাকে তাহলে বাজার চলতি ভালো কোন অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
যাই হোক এবার দুটি উপকরনকে ভালো করে মিশিয়ে নিন। রেডি আপনার ফেস্ক মাস্ক। এবার মুখে, গলায় ও ঘাড়ে ভালো করে ফেস মাস্কটি লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট মত রেখে দিন। আমি সাধারণত ২০ মিনিট মত রাখি। তারপর ভালো করে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২দিন করে ব্যবহার করুন।
শসা ও বেসনের ফেস মাস্ক স্কিনের রাফনেশ দূর করে। স্কিনের উজ্জলতা বাড়াতে বেসন দারুন কাজে আসে। এই ফেস মাস্কটি স্কিনের সতেজতা বজায় রাখার পাশাপাশি সান ট্যান দূর করে অনায়াসে।
প্রয়োজনীয় উপকরন
শসার পেস্ট এক বাটি ও ২ চা চামচ বেসন।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
একটি কাঁচের বাটিতে প্রথমে শসার পেস্ট নিন। খেয়াল রাখবেন যেন একেবারে মিহি ভাবে পেস্টটি বানানো হয়। এবার ওতে ২ চা চামচ বেসন মেশান। এবার দুটি উপকরনকে ভালো করে মিশিয়ে নিন। রেডি আপনার ফেস্ক মাস্ক। এবার মুখে, গলায় ও ঘাড়ে ভালো করে ফেস মাস্কটি লাগান। ২০ থেকে ৩০ মিনিট মত রেখে দিন। আমি সাধারণত ৩০ মিনিট মত রাখি। তারপর ভালো করে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২দিন করে ব্যবহার করুন।
এই মাস্কটি নিয়ে বিস্তারিত লেখার আগে একটা বিশেষ বক্তব্য যে যাদের স্কিন খুবই সেন্সিটিভ তারা অবশ্যই এই মাস্কটি ট্রাই করুন। স্কিনের ৯০ শতাংশ সমস্যা এই মাস্কটি দূর করে দেবে কথা দিলাম।
প্রয়োজনীয় উপকরন
শসার পেস্ট এক বাটি ও ৪ চা চামচ টকদই।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
একটি কাঁচের বাটিতে প্রথমে শসার পেস্ট নিন। খেয়াল রাখবেন যেন একেবারে মিহি ভাবে পেস্টটি বানানো হয়। এবার ওতে ৪ চা চামচ টকদই মেশান। এবার দুটি উপকরনকে ভালো করে মিশিয়ে নিন। রেডি আপনার ফেস্ক মাস্ক। এবার মুখে, গলায় ও ঘাড়ে ভালো করে ফেস মাস্কটি লাগান। ৩০ মিনিট মত রেখে দিন। তারপর ভালো করে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২দিন করে ব্যবহার করুন।
আজকের এই তিনটি মাস্কের মধ্যে প্রথম দুটি মাস্ক যেকোনো স্কিনে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু সেন্সিটিভ স্কিন যাদের তাদের বলবো আপনারা শসা ও দইয়ের মাস্ক ব্যবহার করুন সেক্ষেত্রে এই মাস্কটি আপনারা সপ্তাহে ৪ দিন ব্যবহার করতে পারেন সময় থাকলে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…